Partha Chatterjee Latest News: ''ভালো থাকিস'', চোখে জল পার্থর
Partha Chatterjee-র সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও (Arpita Mukherjee) মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে। একটা সময়ে দু'জনকেই কোর্ট লকআপ থেকে আনা হয় এজলাসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে সেখানে তাঁর পায়ে হাত ছুঁইয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল এক তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker)।
হাইলাইটস
- মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে লক্ষ্য করে চটি ছুড়েছেন ছাপোষা গৃহবধূ।
- সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে সেখানে তাঁর পায়ে হাত ছুঁইয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল এক তৃণমূল কর্মীকে।
- পার্থ ও অর্পিতা আদালতে হাজির হতেই এজলাস আইনজীবীদের ভিড়ে ভরে যায়।
এই সময়: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি এবং ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে রাশি রাশি টাকা, গয়না উদ্ধারের পরে দল ও মন্ত্রিসভার যাবতীয় দায়িত্ব থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে লক্ষ্য করে চটি ছুড়েছেন ছাপোষা গৃহবধূ। কিন্তু বুধবার সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে সেখানে তাঁর পায়ে হাত ছুঁইয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল এক তৃণমূল কর্মীকে।
এ দিন পার্থর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে। একটা সময়ে দু'জনকেই কোর্ট লকআপ থেকে আনা হয় এজলাসে। শুনানি চলাকালীন এজলাস ভিড়ে ঠাসা থাকলেও দু'জনকে হাজির করানোর সময়ে ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এজলাস থেকে ফের লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল কর্মী দেবনাথ রায় ওরফে দেবু। প্রণাম করে বলেন, ''ভেঙে পড়বে না দাদা। আমরা আছি তোমার সঙ্গে। নিশ্চিন্ত থাকো। কিছু হবে না।'' এ কথা বলে দেবু পার্থর পিছন পিছন এগিয়ে যান লিফট পর্যন্ত। লিফটে ওঠার সময়ে পার্থকে ছলছল চোখে বলতে শোনা যায়, ''তোরা ভালো থাকিস।'' এর পরে আদালত চত্বরে রাখা চেয়ারে বসে দেবু বেশ খানিকক্ষণ দু'চোখ হাত দিয়ে চেপে বসে থাকেন। পেটানো চেহারার যুবকের সাফ কথা, ''আজ অনেকে অনেক কিছু বলছেন। দিদি দল করেছেন যে দিন, সে দিন থেকেই আমরা তৃণমূল করি। দিদি দল করেছেন, এটা যেমন আমার কাছে সত্য, তেমন যে যা-ই বলুন, আমাদের দলে বক্সিদা, পার্থদার অবদান কোনও দিন ভোলা যাবে না।''
মঙ্গলবারের চটি ছোড়ার ঘটনার পরে এ দিন হাসপাতাল ও কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা আরও অনেকটা বাড়ানো হয়। জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ-অর্পিতা থাকার সময়ে অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনের যাতায়াত বন্ধ ছিল। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েকটি গেটে তালা দেওয়া হয়। কোর্ট চত্বরেও ছিল এক ছবি। অর্পিতার গাড়ি থামানো হয় কোর্ট লকআপ গেটের সামনে। গাড়ি থেকে নামতেই দেখা যায় তাঁর চোখ-মুখ বেশ ফোলা এবং গম্ভীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কোর্ট লকআপে পৌঁছেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে অর্পিতা জানতে চান, ''স্যর (পার্থ) এসেছেন?'' পুলিশকর্মীরা তাঁকে বলেন, ''হ্যাঁ, এসেছেন।'' ব্যাঙ্কশাল কোর্টের মূল প্রবেশপথ দিয়ে পার্থকে এবং লকআপ গেট দিয়ে অর্পিতাকে লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থকে এ দিন দৃশ্যত বেশ কাহিল লেগেছে। দু'জনকে একই ভাবে আলাদা গেট দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বের করা হয়।
পার্থ ও অর্পিতা আদালতে হাজির হতেই এজলাস আইনজীবীদের ভিড়ে ভরে যায়। পরে অবশ্য আইনজীবীদেরই একাংশ বিচারককে অনুরোধ করেন, এজলাসে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য এজলাস ফাঁকা করে দিতে হবে। পরে আবার শুনানির সময়ে সবাই এজলাসে থাকতে পারবেন। এর পরেই এজলাস ফাঁকা করে দেওয়া হয়। হাজিরা দিতে দেওয়ার সময়ে পুলিশের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তরপাড়ার তৃণমূলকর্মী দেবুকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন পার্থ। বলেন, ''কী রে, কেমন আছিস? দল কী করল? তোরা তো সব দেখেছিস। ভালো থাকিস।'' দেবু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। রায়ের কথা শুনে আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে দেবু বলেন, ''মঙ্গলবার দাদার দিকে কেউ জুতো ছুড়েছিল। তাই আজ প্রণাম করে গেলাম। পার্থদার প্রতি আমাদের আজও আস্থা অটুট। ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ, আমি কিছু পাওয়ার জন্য দল করিনি। আমি দিদির নেতৃত্বে বক্সিদা ও পর্থদার অভিভাবকত্বে দলের কাজ করেছি শুরুর দিন থেকে। ভবিষ্যতেও করব।''
এ দিন পার্থর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও মেডিক্যাল পরীক্ষার পরে আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে। একটা সময়ে দু'জনকেই কোর্ট লকআপ থেকে আনা হয় এজলাসে। শুনানি চলাকালীন এজলাস ভিড়ে ঠাসা থাকলেও দু'জনকে হাজির করানোর সময়ে ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এজলাস থেকে ফের লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল কর্মী দেবনাথ রায় ওরফে দেবু। প্রণাম করে বলেন, ''ভেঙে পড়বে না দাদা। আমরা আছি তোমার সঙ্গে। নিশ্চিন্ত থাকো। কিছু হবে না।'' এ কথা বলে দেবু পার্থর পিছন পিছন এগিয়ে যান লিফট পর্যন্ত। লিফটে ওঠার সময়ে পার্থকে ছলছল চোখে বলতে শোনা যায়, ''তোরা ভালো থাকিস।'' এর পরে আদালত চত্বরে রাখা চেয়ারে বসে দেবু বেশ খানিকক্ষণ দু'চোখ হাত দিয়ে চেপে বসে থাকেন। পেটানো চেহারার যুবকের সাফ কথা, ''আজ অনেকে অনেক কিছু বলছেন। দিদি দল করেছেন যে দিন, সে দিন থেকেই আমরা তৃণমূল করি। দিদি দল করেছেন, এটা যেমন আমার কাছে সত্য, তেমন যে যা-ই বলুন, আমাদের দলে বক্সিদা, পার্থদার অবদান কোনও দিন ভোলা যাবে না।''
মঙ্গলবারের চটি ছোড়ার ঘটনার পরে এ দিন হাসপাতাল ও কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা আরও অনেকটা বাড়ানো হয়। জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থ-অর্পিতা থাকার সময়ে অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনের যাতায়াত বন্ধ ছিল। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েকটি গেটে তালা দেওয়া হয়। কোর্ট চত্বরেও ছিল এক ছবি। অর্পিতার গাড়ি থামানো হয় কোর্ট লকআপ গেটের সামনে। গাড়ি থেকে নামতেই দেখা যায় তাঁর চোখ-মুখ বেশ ফোলা এবং গম্ভীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কোর্ট লকআপে পৌঁছেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে অর্পিতা জানতে চান, ''স্যর (পার্থ) এসেছেন?'' পুলিশকর্মীরা তাঁকে বলেন, ''হ্যাঁ, এসেছেন।'' ব্যাঙ্কশাল কোর্টের মূল প্রবেশপথ দিয়ে পার্থকে এবং লকআপ গেট দিয়ে অর্পিতাকে লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থকে এ দিন দৃশ্যত বেশ কাহিল লেগেছে। দু'জনকে একই ভাবে আলাদা গেট দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বের করা হয়।
পার্থ ও অর্পিতা আদালতে হাজির হতেই এজলাস আইনজীবীদের ভিড়ে ভরে যায়। পরে অবশ্য আইনজীবীদেরই একাংশ বিচারককে অনুরোধ করেন, এজলাসে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য এজলাস ফাঁকা করে দিতে হবে। পরে আবার শুনানির সময়ে সবাই এজলাসে থাকতে পারবেন। এর পরেই এজলাস ফাঁকা করে দেওয়া হয়। হাজিরা দিতে দেওয়ার সময়ে পুলিশের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তরপাড়ার তৃণমূলকর্মী দেবুকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন পার্থ। বলেন, ''কী রে, কেমন আছিস? দল কী করল? তোরা তো সব দেখেছিস। ভালো থাকিস।'' দেবু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। রায়ের কথা শুনে আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে দেবু বলেন, ''মঙ্গলবার দাদার দিকে কেউ জুতো ছুড়েছিল। তাই আজ প্রণাম করে গেলাম। পার্থদার প্রতি আমাদের আজও আস্থা অটুট। ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ, আমি কিছু পাওয়ার জন্য দল করিনি। আমি দিদির নেতৃত্বে বক্সিদা ও পর্থদার অভিভাবকত্বে দলের কাজ করেছি শুরুর দিন থেকে। ভবিষ্যতেও করব।''