অ্যাপশহর

অবশেষে বৃহস্পতিবার চালু হয়ে যাচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ

বিতর্ক, রাজনৈতিক চাপানউতোর পিছনে ফেলে দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে বৃহস্পতিবার সাধারণ মানুষের জন্য মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হতে চলেছে। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই দিন নবনির্মিত ব্রিজটির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

EiSamay.Com 29 Nov 2020, 5:13 pm
এই সময়:বিতর্ক, রাজনৈতিক চাপানউতোর পিছনে ফেলে\B \Bদীর্ঘ অপেক্ষার শেষে বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর সাধারণ মানুষের জন্য মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হতে চলেছে। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই দিন নবনির্মিত ব্রিজটির উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশ কিছু দিন টানাপোড়েনের পর শুক্রবারই যাবতীয় জট কেটেছিল। কলকাতার বাকি অংশের সঙ্গে বেহালা হয়ে দক্ষিণ শহরতলির যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মাঝেরহাট ব্রিজের সুরক্ষা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট মিলেছিল রেলের কাছ থেকে।
EiSamay.Com the majherhat bridge is finally going to be opened on thursday
নতুন মাঝেরহাট ব্রিজ।


২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট ব্রিজ। এটি জাতীয় সড়কেরও অংশ। পূর্ত দপ্তরের আওতায় এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন এই 'কেবল স্টেইড' সেতুর নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদই ব্রিজের প্রায় আশি শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেতুর মূল অংশ বা ভায়াডাক্ট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নবনির্মিত ব্রিজটির মোট দৈর্ঘ্য ৬৩৬ মিটার। তার মধ্যে জুলাইয়ের শেষাশেষি প্রায় ৪০০ মিটারের কাজ হয়ে গিয়েছিল। পুজোর মুখে শেষ হয়েছিল কেবল বসানোর কাজও।

সাধারণের ব্যবহারের জন্য ব্রিজটি খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় সুরক্ষা ছাড়পত্র। পূর্ত দপ্তরের অনুযোগ ছিল, অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে রেল। কারণ, ব্রিজের যে অংশটি রেললাইনের উপরে রয়েছে, সেই ৭০ মিটারের কাজের তদারকি রেলই করেছে। পূর্তবিভাগের কর্তাদের যুক্তি ছিল, রেলই সুরক্ষা শংসাপত্র দেবে। অন্য দিকে, রেলকর্তাদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক সুরক্ষা শংসাপত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এ নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপি রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। ব্রিজ চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তারাতলা এলাকা। শুক্রবারই অবশ্য রেল জানিয়ে দেয়, পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে সব নথি মিলেছে। নবান্নে পূর্ত দপ্তরের কর্তারাও জানান, সুরক্ষা সংক্রান্ত ছাড়পত্র রেল পাঠিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৮ মিটার চওড়া ব্রিজটি এখন চার লেনের। অর্থাৎ পরিবহণের মাত্রা আগের চেয়ে দ্বিগুন হবে। ব্রিজের এক দিকে থাকবে পথচারীদের জন্য ফুটপাথ। এ ধরনের কেবল স্টেইড সেতুর আয়ু অন্যান্য ধরনের সেতুর চেয়ে প্রায় দশ শতাংশ বেশি বলেই দাবি পূর্তকর্তাদের।

মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে বিজেপির আন্দোলনকে 'নাটক' আখ্যা দিয়ে শনিবারও ফের প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মিছিলে নেতৃত্বে দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিজেপি আন্দোলনের নামে নাটক করেছে। ওরা ভেবেছিল, এতে বাংলার মানুষ ভাববে, আন্দোলন হল আর ব্রিজ খুলে গেল। বাংলার মানুষ কিন্তু মোটেই বোকা নয়। এই নাটকের জন্য পুলিশের গার্ডরেলগুলো ভেঙে দেওয়া হল। পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হল। আসলে কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম ভেবেছিল, পুলিশ গুলি চালাবে, আর তা নিয়ে ওরা রাজনীতি করবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ধৈর্যশীল প্রশাসক। তাঁর দক্ষ প্রশাসনেই ব্রিজ খুলছে।'

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল