অ্যাপশহর

রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুমকি দিলেন বিজয়বর্গীয়

রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷

EiSamay.Com 9 Apr 2017, 10:19 am
এই সময় : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন , তখন রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷ শনিবার কলকাতায় বিজেপি রাজ্য দন্তরে সাংবাদিক বৈঠক তাঁর হুঁশিয়ারি , ‘প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগতরা সীমান্ত টপকে ঢুকে পড়ছে৷ এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক৷ চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ ’
EiSamay.Com the central question of law and order in the state had threatened to intervene bijayabargiya
রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুমকি দিলেন বিজয়বর্গীয়


একই সঙ্গে জাল নোটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন , ‘মালদহে জাল নোটের কারবারিদের রমরমা বেড়েই চলেছে৷ ’ শুধু তাই নয় , শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে কোনও রাখঢাক না করেই কৈলাস বলেন , ‘বাংলায় অরাজকতা চলছে৷ তৃণমূল মারছে তৃণমূলকেই৷ ’ বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে এ দিন দাবি করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েই তিনি বলেন , ‘আমি বলছি না , কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করবেই৷ তবে চাইলে যে করতেই পারে , সেটা জানিয়ে রাখতে চাইছি৷ ’ তবে বিজয়বর্গীর এ হেন প্রচ্ছন্ন হুমকিকে ফাঁকা আওয়াজ বলেই মনে করছে শাসক দল তৃণমূল৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জবাবে বলেন , ‘করে দেখুক না৷ এত ক্ষমতা! শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি৷ ’গত এক বছরে বেশ কয়েকবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷

এমনকি , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিয়েও একই দাবি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষরা৷ কিন্ত্ত আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ যে সহজ ব্যাপার নয় , তা দিলীপদের প্রকারন্তরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ বরং দিলীপদের পরামর্শ দিয়ে তাঁরা সেই সময় বলেছিলেন , দু-পাঁচজন রাজ্য বিজেপির নেতার দাবির উপর উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷ সেটা করলে জনমানসে বিজেপিরই মুখ পুড়বে৷ তার চেয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উচিত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের পক্ষে জনমত তৈরি করা৷ যাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষের ভিতর থেকে এই দাবিটা ওঠে৷ কিন্ত্ত সেই কাজ করতে গেলে রাজ্যের কোনায় কোনায় শক্তিশালী সংগঠন প্রয়োজন , সেটা দিলীপদের জানাতে ভোলেননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা৷ তবে এ দিন বিজেপির শীর্ষনেতা কৈলাস নিজেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

কেননা , কৈলাস এ দিন সরাসরি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের হুমকি না -দিয়ে ইঙ্গিতে তিনি মমতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন , কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অস্ত্রটি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পিছপা হবে না বিজেপি৷ এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সারদা -ইস্যুতে তৃণমূল এবং সিপিএমকে একসঙ্গে আক্রমণ করেছেন কৈলাস৷ তিনি বলেন , ‘চিটফান্ডগুলি তৈরি হয়েছিল সিপিএমের জমানায়৷ কিন্ত্ত এগুলি ফুলেফেঁপে উঠেছিল তৃণমূলের মদতে৷ দুই দলই গরিবের টাকা লুঠ করেছে৷ আমাদের কাছে দুই দলই সমান শত্রু৷ ’ বিজেপির অন্দরের খবর , ইদানীং সিপিএমের কয়েকটি কর্মসূচিতে উপচে পড়া ভিড় কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে দিলীপ ঘোষদের৷ তাই তৃণমূলের পাশাপাশি এ দিন সিপিএমকেও সমান ভাবে আক্রমণের পথে হেঁটেছেন বিজয়বর্গীয়৷

সূত্রের খবর , রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করে কৈলাস রাজ্য নেতাদের বলেন , জেলায় জেলায় সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় বিজেপিতে যোগ দেয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল