প্রিন্স রায়
পুনর্বাসন ছাড়াই ২০টি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বেসরকারি নির্মাণসংস্থার বিরুদ্ধে৷ শুধু হুমকিই নয় , ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি রাতের অন্ধকারে মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুত্ সংযোগ৷ অভিযোগ , ভরাট করা হয়েছে পুকুরও৷ ঘটনাটি তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের৷ আচমকা প্রোমোটারের থাবায় মাথার উপর ছাদ খোওয়ানোর প্রবল আশঙ্কায় রয়েছেন শ ’খানেক মানুষ৷ সমস্যার সমাধান চেয়ে রবিবার চিঠি দিয়ে তাঁরা পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ইতিমধ্যে পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর৷ দমদম স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাস্তার উপরে রয়েছে প্রায় ১১৫ কাঠা জমি৷ রয়েছে চারটি পুকুর৷ ওই জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস ২০টি পরিবারের৷ জমিটিকে স্থানীয়রা দেবোত্তর সম্পতি বলেই দাবি করছেন৷ অভিযোগ , ইন্দ্রজিত্ রায় নামে এক স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় জমিটি দখলে নিয়েছে একটি বেসরকারি নির্মাণসংস্থা৷ দক্ষিণ দমদমের তৃণমূল নেতা ও পুলিশকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদেই তিনি ওই জমি পাইয়ে দিয়েছেন নির্মাণসংস্থাকে৷ নির্মাণ ব্যবসাতেই যুক্ত ইন্দ্রজিত্ রায়ের অবশ্য দাবি , ‘ওই প্রজেক্টের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ ’ দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় ইন্দ্রজিত্কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন৷
জমি নেওয়ার পর থেকেই নির্মাণসংস্থা ২০টি পরিবারকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ৷ আক্রান্ত সুদেব বসু বলেন , ‘প্রথম দিকে নির্মাণসংস্থা বলেছিল , আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ তবে গত ১০ দিন ধরে ওরা তা দিতে অস্বীকার করছে৷ আমরা প্রতিবাদ করায় ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে৷ ’ ১৮ বছর ধরে এখানেই বাস তপতী মান্নার৷ তিনি বলেন , ‘চোখের সামনে ওরা একটা পুকুরও ভরাট করেছে৷ আমাদের বলছে , উঠে যেতে৷ ইলেকট্রিক লাইনও কেটে দিয়েছে৷ ’ বিদ্যুত্ সংযোগ চলে যাওয়ায় পড়াশোনায় ভীষণ সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরায়া পারভিন৷ এখানে বসবাসকারীদের বক্তব্য , ‘আমরা সরে যেতে রাজি , তবে বিকল্প বাসস্থান ছাড়া জায়গা ছেড়ে যাব না৷ ’ নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ওঁরা৷ চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন , আমাদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে প্রোমোটারের গুন্ডাবাহিনী৷ ঘর ছেড়ে চলে না গেলে মেশিন দিয়ে ঘর ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷
রাতের বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চাপা দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে৷ ওই চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পুরো ঘটনাটি ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই পরিবারগুলির উপর নির্মাণসংস্থার হুমকি বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ৷ বিমান মান্না বলেন , ‘মঙ্গলবারও আমাদের পুলিশের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়েছে৷ ’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ২) ধ্রুবজ্যোতি দে -র বক্তব্য , ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব৷ এমন হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ’ পুকুর ভরাট সম্পর্কে দমদম থানা জানিয়েছে , দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে পুকুর ভরাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ তদন্ত শুরু হয়েছে৷
পুনর্বাসন ছাড়াই ২০টি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বেসরকারি নির্মাণসংস্থার বিরুদ্ধে৷ শুধু হুমকিই নয় , ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি রাতের অন্ধকারে মেশিন দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুত্ সংযোগ৷ অভিযোগ , ভরাট করা হয়েছে পুকুরও৷ ঘটনাটি তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের৷ আচমকা প্রোমোটারের থাবায় মাথার উপর ছাদ খোওয়ানোর প্রবল আশঙ্কায় রয়েছেন শ ’খানেক মানুষ৷ সমস্যার সমাধান চেয়ে রবিবার চিঠি দিয়ে তাঁরা পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ইতিমধ্যে পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর৷ দমদম স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাস্তার উপরে রয়েছে প্রায় ১১৫ কাঠা জমি৷ রয়েছে চারটি পুকুর৷ ওই জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস ২০টি পরিবারের৷ জমিটিকে স্থানীয়রা দেবোত্তর সম্পতি বলেই দাবি করছেন৷ অভিযোগ , ইন্দ্রজিত্ রায় নামে এক স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় জমিটি দখলে নিয়েছে একটি বেসরকারি নির্মাণসংস্থা৷ দক্ষিণ দমদমের তৃণমূল নেতা ও পুলিশকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদেই তিনি ওই জমি পাইয়ে দিয়েছেন নির্মাণসংস্থাকে৷ নির্মাণ ব্যবসাতেই যুক্ত ইন্দ্রজিত্ রায়ের অবশ্য দাবি , ‘ওই প্রজেক্টের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ ’ দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় ইন্দ্রজিত্কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন৷
জমি নেওয়ার পর থেকেই নির্মাণসংস্থা ২০টি পরিবারকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ৷ আক্রান্ত সুদেব বসু বলেন , ‘প্রথম দিকে নির্মাণসংস্থা বলেছিল , আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ তবে গত ১০ দিন ধরে ওরা তা দিতে অস্বীকার করছে৷ আমরা প্রতিবাদ করায় ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে৷ ’ ১৮ বছর ধরে এখানেই বাস তপতী মান্নার৷ তিনি বলেন , ‘চোখের সামনে ওরা একটা পুকুরও ভরাট করেছে৷ আমাদের বলছে , উঠে যেতে৷ ইলেকট্রিক লাইনও কেটে দিয়েছে৷ ’ বিদ্যুত্ সংযোগ চলে যাওয়ায় পড়াশোনায় ভীষণ সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরায়া পারভিন৷ এখানে বসবাসকারীদের বক্তব্য , ‘আমরা সরে যেতে রাজি , তবে বিকল্প বাসস্থান ছাড়া জায়গা ছেড়ে যাব না৷ ’ নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ওঁরা৷ চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন , আমাদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে প্রোমোটারের গুন্ডাবাহিনী৷ ঘর ছেড়ে চলে না গেলে মেশিন দিয়ে ঘর ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷
রাতের বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চাপা দেবে বলেও হুমকি দিচ্ছে৷ ওই চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পুরো ঘটনাটি ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই পরিবারগুলির উপর নির্মাণসংস্থার হুমকি বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ৷ বিমান মান্না বলেন , ‘মঙ্গলবারও আমাদের পুলিশের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়েছে৷ ’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ২) ধ্রুবজ্যোতি দে -র বক্তব্য , ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব৷ এমন হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ’ পুকুর ভরাট সম্পর্কে দমদম থানা জানিয়েছে , দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে পুকুর ভরাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ তদন্ত শুরু হয়েছে৷