পড়ুয়াদের ট্যাব-স্মার্টফোনের ভাউচার নিয়ে বিপাকে স্কুল
Covid 19 আবহে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনতে রাজ্য সরকারের তরফে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে টাকা। আর এই স্মার্টফোনের ভাউচার জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Ei Samay 28 Oct 2021, 5:05 pm
হাইলাইটস
- ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার ভাউচার বার বার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
- এই নির্দেশিকায় মহা ফাঁপরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। কারণ-এখন স্কুল বন্ধ।
- ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই স্কুল মুখো হচ্ছে না। ফলে তারা স্কুলে জমা দিচ্ছে না ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার বিল।
এই সময়, কলকাতা ও মেদিনীপুর: স্কুলশিক্ষা দফতর উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাব অথবা স্মার্ট ফোন কেনার টাকা পাঠিয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিন-চার দিনের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের থেকে ট্যাব ও স্মার্ট ফোন কেনার অরিজিনাল বিল বা ভাউচার সংগ্রহ করে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোডের পাশাপাশি শংসাপত্র (ইউসি) জমা দিতে হবে। এই নির্দেশিকায় মহা ফাঁপরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা। কারণ-এখন স্কুল বন্ধ। ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই স্কুল মুখো হচ্ছে না। ফলে তারা স্কুলে জমা দিচ্ছে না ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার বিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলেন, 'সরকারের নির্দেশিকার ফলে আমরা প্রচণ্ড সমস্যায়। ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার ভাউচার বার বার চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।' কলকাতার এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কথায়, 'ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশ ওই বিল ভাউচার বিদ্যালয়ে জমা দিচ্ছে না। বারবার বলা সত্ত্বেও আমাদের কাছে খবর, অনেকেই এখনও ট্যাব কেনেনি। তা সত্ত্বেও আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে ইউসি জমা দিতে। অনেকে হয় তো পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছে। আমরা অসহায় বোধ করছি।'
একই কথা শালবনির মৌপাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়ার। তিনি বলেন, আমরা এখনও ভাউচার আপলোডের কাজ শুরু করিনি। ভাউচার সংগ্রহ হওয়ার পর তবেই আপলোড করা সম্ভব।'
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির দাবি, 'স্কুলে অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ ভাবে প্রধানশিক্ষকদের শংসাপত্র দিতে হয় না। ট্যাব কিনতে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে টাকা বিলি হয়নি। আমাদের ইউসি দেওয়ার কথাও নয়।'
তাঁর সংযোজন, 'স্কুলশিক্ষার প্রধান সচিব ও কমিশনারকে জানিয়েছি, আমাদের ওই বিলের ভাউচার এবং ইউসি জমা দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হোক। স্কুল বন্ধ থাকায়, ওই কাজ আমাদের তরফে এখন সম্ভব হচ্ছে না। সে কথাও আমরা জানিয়েছি।'
একই কথা শালবনির মৌপাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়ার। তিনি বলেন, আমরা এখনও ভাউচার আপলোডের কাজ শুরু করিনি। ভাউচার সংগ্রহ হওয়ার পর তবেই আপলোড করা সম্ভব।'
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির দাবি, 'স্কুলে অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ ভাবে প্রধানশিক্ষকদের শংসাপত্র দিতে হয় না। ট্যাব কিনতে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে টাকা বিলি হয়নি। আমাদের ইউসি দেওয়ার কথাও নয়।'
তাঁর সংযোজন, 'স্কুলশিক্ষার প্রধান সচিব ও কমিশনারকে জানিয়েছি, আমাদের ওই বিলের ভাউচার এবং ইউসি জমা দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হোক। স্কুল বন্ধ থাকায়, ওই কাজ আমাদের তরফে এখন সম্ভব হচ্ছে না। সে কথাও আমরা জানিয়েছি।'