অ্যাপশহর

আজব স্নায়ুর অসুখ নিয়ে কথা

মল্লিকবাজারের এই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে সেখানকার চেয়ারম্যান রবিন সেনগুপ্ত এবং প্রধান স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হৃষিকেশ কুমার জানান, গত আট বছরে এসসিএ-১২ অসুখে আক্রান্ত ১১০ জন রোগীকে দেখেছেন তাঁরা।

EiSamay.Com 27 Jul 2019, 3:12 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হাত-পা কাঁপে, হাঁটা-চলায় ভারসাম্য থাকে না শরীরে। দেখে মনে হয় যেন পার্কিনসন্স। সে অসুখেরই চিকিৎসা হয় অধিকাংশ রোগীর। কিন্তু সারে না। কারণ, রোগটা যে আদৌ পার্কিনসন্সই নয়। রোগটা আসলে স্পাইনো-সেরিবেলার অ্যাটাক্সিয়া টাইপ-১২ বা সংক্ষেপে এসসিএ-১২। এবং তা মূলত মাড়ওয়ারিদের মধ্যে আগরওয়াল সম্প্রদায়ের ভিতরেই সীমাবদ্ধ এ দেশে। তাই এমন রোগী ও তাঁদের পরিজন এবং চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে শুক্রবার একটি যৌথ মঞ্চ (কনসোর্টিয়াম) গড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিল স্নায়ু চিকিৎসার প্রসিদ্ধ হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস-কলকাতা (আইএনকে)।
EiSamay.Com nerves


মল্লিকবাজারের এই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে সেখানকার চেয়ারম্যান রবিন সেনগুপ্ত এবং প্রধান স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হৃষিকেশ কুমার জানান, গত আট বছরে এসসিএ-১২ অসুখে আক্রান্ত ১১০ জন রোগীকে দেখেছেন তাঁরা। এর মধ্যে ১০৯ জনই আগরওয়াল। ৪২ রকম স্পাইনো-সেরিবেলার অ্যাটাক্সিয়ার মধ্যে টাইপ-১২ আদতে এমন এক স্নায়ুর অসুখ যা মূলত একটি দুষ্ট জিনের জন্য এই সম্প্রদায়ের মধ্যেই আবর্তিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। কেননা, রক্ষণশীল এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিয়ের চলটাই প্রায় নেই। স্নায়বিক মুভমেন্ট ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় সারা দুনিয়ায় স্বনামধন্য যে চিকিৎসক, সেই কৈলাস ভাটিয়া সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের ব্যর্থতা যে রোগটা প্রথম চিহ্নিত হয় ২০০৮-এ। হৃষিকেশের মতো চিকিৎসকদের কল্যাণে কলকাতাতেই বোঝা গেল, এ দেশে রোগটা মূলত একটি সম্প্রদায়েই সীমাবদ্ধ।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল