এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নন্দীগ্রাম মামলায় ফের নয়া মোড়। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ভোট পুনর্গণনা মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরাতে চেয়ে আবেদন BJP বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর অভিযোগ, 'কলকাতা হাইকোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।' শীর্ষ আদালতের কাছে BJP বিধায়কের আবেদন, 'কলকাতা হাইকোর্ট বাদে দেশের যেকোনও হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হোক।'
নন্দীগ্রামে ভোটে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন BJP প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। পুনর্গণনার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন Mamata Banerjee। মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে দাঁড়ানোর পর বুধবার বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে অনলাইনে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সমস্ত পক্ষের দলিল শোনার পর নন্দীগ্রামে ভোটে ব্যবহৃত EVM, ব্যালট পেপার সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদে রাখতে হবে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফিও। এই নির্দেশের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কলকাতা হাইকোর্টকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন Suvendu Adhikari । এই কারণে মামলা সরানোর আর্জি বিধায়কের।
বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম আসনটি। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানিয়েছিলেন Mamata Banerjee। BJP-র তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতার পুরনো সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশ হয়। প্রাথমিকভাবে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে দেখা যায় Suvendu Adhikari ব্যালেট কাউন্টিংয়ে ১৯৫৩ ভোটে ওই আসনে জয়ী হয়েছেম। এরপরই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রভাব খাটিয়ে ওই আসনে জিতেছেন শুভেন্দু। দলের পক্ষ থেকে এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। মামলার শুনানি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুরু হতেই পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় তৃণমূল।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে কেন সেই মামলা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টে আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর করা নন্দীগ্রাম মামলার এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতাদের একাংশও। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien) দু’টি ছবি টুইট করেন। যেখানে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় দেখা গিয়েছিল বিচারপতি চন্দকে। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মামলা যে বিচারপতির এজলাসে দেওয়া হয়েছে, সেই কৌশিক চন্দ আগে BJP-র ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।মামলা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের কাছে আবেদনও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ । তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা ও অপমান করার অভিযোগে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই টাকা হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের জমা দিতে হবে।জরিমানার টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীদের পরিবারের সাহায্যে খরচ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন শুভেন্দু
নন্দীগ্রামে ভোটে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন BJP প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। পুনর্গণনার দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন Mamata Banerjee। মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে দাঁড়ানোর পর বুধবার বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে অনলাইনে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সমস্ত পক্ষের দলিল শোনার পর নন্দীগ্রামে ভোটে ব্যবহৃত EVM, ব্যালট পেপার সংরক্ষণের নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদে রাখতে হবে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফিও। এই নির্দেশের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কলকাতা হাইকোর্টকে প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন Suvendu Adhikari । এই কারণে মামলা সরানোর আর্জি বিধায়কের।
বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম আসনটি। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানিয়েছিলেন Mamata Banerjee। BJP-র তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মমতার পুরনো সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশ হয়। প্রাথমিকভাবে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে দেখা যায় Suvendu Adhikari ব্যালেট কাউন্টিংয়ে ১৯৫৩ ভোটে ওই আসনে জয়ী হয়েছেম। এরপরই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রভাব খাটিয়ে ওই আসনে জিতেছেন শুভেন্দু। দলের পক্ষ থেকে এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। মামলার শুনানি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুরু হতেই পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় তৃণমূল।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে কেন সেই মামলা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। হাইকোর্টে আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। মুখ্যমন্ত্রীর করা নন্দীগ্রাম মামলার এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতাদের একাংশও। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien) দু’টি ছবি টুইট করেন। যেখানে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় দেখা গিয়েছিল বিচারপতি চন্দকে। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মামলা যে বিচারপতির এজলাসে দেওয়া হয়েছে, সেই কৌশিক চন্দ আগে BJP-র ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।মামলা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের কাছে আবেদনও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ । তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা ও অপমান করার অভিযোগে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই টাকা হাইকোর্টের বার কাউন্সিলের জমা দিতে হবে।জরিমানার টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীদের পরিবারের সাহায্যে খরচ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।