অ্যাপশহর

অসুস্থ বন্দির মৃত্যু, কোভিড নিয়ে গুঞ্জন প্রেসিডেন্সিতে

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক অসুস্থ বন্দির মৃত্যু ঘিরে বন্দি ও রক্ষীদের একাংশের মধ্যে করোনা-গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, তুষার দাস নামে মধ্যবয়স্ক এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।

EiSamay.Com 19 May 2020, 11:07 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক অসুস্থ বন্দির মৃত্যু ঘিরে বন্দি ও রক্ষীদের একাংশের মধ্যে কোভিড-গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
EiSamay.Com suspected coronavirus patient who was a presidency jail inmate, was died
প্রতীকী ছবি।


সংশোধনাগার সূত্রের খবর, তুষার দাস নামে মধ্যবয়স্ক এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। প্রবল শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি জ্বর-সহ তাঁর কিছু উপসর্গ ছিল। যেগুলোর মিল রয়েছে করোনার উপসর্গের সঙ্গে। রবিবার ওই ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্টের কারণে সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি ইলনেস) ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তুষার দাসের সোয়াবের নমুনা রবিবারই সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার রিপোর্ট সোমবার রাত পর্যন্ত না-আসায় তিনি কোভিড আক্রান্ত কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ওই বন্দির মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের অন্য বন্দি ও জেলকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দানা বেঁধেছে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।

মহারাষ্ট্রের আর্থার রোড সংশোধনাগার ও রাজস্থানের রোহিণী সংশোধনাগারে বন্দিদের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনও সংশোধনাগারে এখনও পর্যন্ত কারও কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। কিন্তু প্রেসিডেন্সির সাজাপ্রাপ্ত ওই বন্দির মৃত্যুতে কারা দপ্তরের দুশ্চিন্তা যে বাড়ল, সেটা ওই দপ্তরের কর্তাদেরই একাংশ স্বীকার করছেন।

কারা দপ্তর সূত্রের খবর, ফুসফুসে জল জমে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে তুষার দাস বেশ কিছু দিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক আধিকারিক জানান, তুষারের ওয়ার্ডে অন্য যে বন্দিরা ছিলেন, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এমনিতে নতুন করে কোনও বন্দি এখন সংশোধনাগারে এলে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। তা ছাড়া, এর বাইরে কোনও বন্দির জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলেও তাঁকে জেল হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়।

কারা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দিরা এমনিতে বাইরে বেরোন না। তবে কোনও বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে অনেক সময়েই সংশোধনাগারের রক্ষীদের হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সেই কারারক্ষীদের আলাদা করে কোনও শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে না। তাই, এই করোনা পরিস্থিতিতে জেলবন্দি ও রক্ষীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ছিলই। তার উপর জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভোগা এক বন্দির মৃত্যু এ দিন সেই উদ্বেগ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল