অ্যাপশহর

গ্রিন সিটিতে রাজ্য দ্বারস্থ কর্পোরেটের

গ্রিন সিটির অর্থ জোগাড়ে কর্পোরেটের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য৷ তবে শুধু কর্পোরেটই নয় , অন্যান্য বেসরকারি শিল্প সংস্থা , বণিকসভা , বড় ব্যবসায়ী , এমনকি বড় আবাসন প্রকল্পগুলিকেও সংশ্লিষ্ট পুর এলাকায় এ কাজের দায়িত্ব নিতে আবেদন জানাল রাজ্য৷ বাস্তবতা অনুযায়ী পুর এলাকায় এ কাজে তাদের অংশীদার করতে পুরসভাগুলিকেই নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার৷

EiSamay.Com 30 Nov 2016, 12:02 pm
এই সময় : গ্রিন সিটির অর্থ জোগাড়ে কর্পোরেটের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য৷ তবে শুধু কর্পোরেটই নয় , অন্যান্য বেসরকারি শিল্প সংস্থা , বণিকসভা , বড় ব্যবসায়ী , এমনকি বড় আবাসন প্রকল্পগুলিকেও সংশ্লিষ্ট পুর এলাকায় এ কাজের দায়িত্ব নিতে আবেদন জানাল রাজ্য৷ বাস্তবতা অনুযায়ী পুর এলাকায় এ কাজে তাদের অংশীদার করতে পুরসভাগুলিকেই নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার৷ গ্রিন সিটি প্রকল্পটির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ বৈঠকেই এই নির্দেশ দেন তিনি৷
EiSamay.Com state want investment to corporates for build green city
গ্রিন সিটিতে রাজ্য দ্বারস্থ কর্পোরেটের


নরেন্দ্র মোদীর স্মার্ট সিটির পরিবর্তে রাজ্যের নিজস্ব উদ্যোগেই গ্রিন সিটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকেই আনা হচ্ছে গ্রিন সিটির আওতায়৷ আধুনিক নগরজীবনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছাড়াও পরিবেশ রক্ষা, সবুজায়ন, সৌন্দর্যায়ন এবং ই -পরিষেবাগুলিকে যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যের গ্রিন সিটি প্রকল্পে৷

কিন্ত্ত, রাজ্যব্যাপী এই প্রকল্প বাস্তবায়নের টাকার সংস্থান হবে কী ভাবে? এ নিয়ে প্রথম থেকেই উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন৷

কারণ, বেশিরভাগ পুরসভাগুলিরই নিজস্ব আয়ও সীমিত৷ এই পরিস্থিতিতে গ্রিন সিটি প্রকল্পের অর্থের সংস্থানে পুরসভাগুলিকেই অর্থ সংস্থানের খানিকটা দায়িত্ব নিতে নির্দেশ রাজ্যের৷

ফিরহাদ হাকিম জানান, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানে তিনটি পদ্ধতির কথা ভাবা হয়েছে৷ প্রথমত, রাজ্য সরকার গ্রিন সিটির জন্য গঠন করছে ৪০০ কোটি টাকার একটি তহবিল৷ যা থেকে সহায়তা করা হবে পুরসভাগুলিকে৷ তবে, একই সঙ্গে রাস্তাই হোক বা জলাধার কিংবা পাইপলাইন পাতার মতো কাজে সংশ্লিষ্ট পুর এলাকার শিল্প সংস্থা, বণিকসভাগুলির সহায়তাও চাইছে রাজ্য৷ পুরপ্রধানদের বলা হয়েছে, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিটির (সিএসআর) মাধ্যমে কিছু কিছু প্রকল্প হাতে নিক তারা৷ তারা নিজেরাই জানাক , কে কোন কাজটি করতে চান৷ তার বিনিময়ে সেই প্রকল্পটিতে বিজ্ঞাপনের সুযোগও পাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি৷

তবে , কর্পোরেট , শিল্প সংস্থা বা বণিকসভাই শুধু নয় , রিয়েল এস্টেট কোম্পানি , বড় আবাসনগুলিকেও এ কাজে যুক্ত করতে বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে৷ ধরা যাক , কোনও একটি সংস্থা একটি পুর এলাকায় বড় একটি হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরি করবে৷ সেক্ষেত্রে পাইপলাইনই হোক কিংবা সৌন্দর্যায়নের কাজে খানিকটা অর্থ ব্যয় করতে হবে সংস্থাগুলিকে৷ পুরমন্ত্রী জানান , বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সময়েই সংস্থাগুলির সঙ্গে এই আলোচনাটি সারতে বলা হয়েছে পুরসভাগুলিকে৷

পরিবেশ রক্ষাতেও জোর দিতে চাইছে রাজ্য৷ সেই উদ্দেশেই পুর এলাকাগুলিতে কোথায় কত পরিমাণ জলাভূমি রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও তৈরি করতে বলা হয়েছে পুর প্রধানদের৷ পুর এলাকাগুলিকে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানোর বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে৷ সে কারণে পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে , কোন কোন রাস্তা , এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ তার তালিকা পাঠাতে৷ তার ভিত্তিতেই তা রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে রাজ্য৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল