অ্যাপশহর

আবার বাজির শব্দমাত্রা ৯০ বেঁধে দিল পর্ষদ

রাজ্যে ফের বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলে বাঁধার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷

EiSamay.Com 10 May 2017, 10:25 am
এই সময়: রাজ্যে ফের বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলে বাঁধার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷ ৫ মে পর্ষদের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে , বাজি ফাটানোর উত্সস্থল থেকে পাঁচ মিটারের মধ্যে ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় , এমন কোনও শব্দবাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ৷ রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোনওরকম শব্দবাজিই ব্যবহার করা যাবে না৷ ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় , এরকম বাজির বিক্রি ও ব্যবহার রাজ্যের কোনও জায়গায় করা যাবে না৷
EiSamay.Com state pollution control board issued guidelines for restriction on volume 90 decibels in the state
আবার বাজির শব্দমাত্রা ৯০ বেঁধে দিল পর্ষদ


তবে পর্ষদের এই নতুন নির্দেশিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা৷ তাঁদের যুক্তি , নতুন নির্দেশিকায় শুধুমাত্র ৯০ ডেসিবেলের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন শব্দবাজির বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিন্ত্ত নিষিদ্ধ বাজির উত্পাদন ও মজুত করার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷ ফলে নতুন নির্দেশিকাতেও বাজির শব্দতাণ্ডব কতখানি রোখা যাবে , তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷

গত ২২ মার্চ বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলে রাখার জন্য পর্ষদের পুরোনো নির্দেশিকা পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য খারিজ করে দেয়৷ বর্তমানে গোটা দেশে বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল৷ ফলে এতদিন রাজ্যে নতুন নির্দেশিকা না -থাকায় এখানেও বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেলই ছিল৷ পর্ষদের নতুন নির্দেশিকার ফলে আবার বাজির শব্দসীমা পুরোনো জায়গায় ফিরে এল৷ বাজির শব্দমাত্রা বেশি হলে তা মানবদেহে কী প্রভাব ফেলে , তা নিয়ে সত্যজিত্ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটে দু’জনের উপর সমীক্ষা চালিয়ে তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় পর্ষদ৷

বেঞ্চ ওই নির্দেশিকা খারিজ করলেও জানিয়ে দেয় , পর্ষদ তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট ও নতুন করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ফের নির্দেশিকা জারি করতে পারে৷ এসআরএফটিআই -এর ওই সমীক্ষা রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই পর্ষদ নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে বলে আগেই জানিয়েছিল ‘এই সময় ’৷ পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায় ওই রিপোর্টে প্রান্ত তথ্য একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি পর্ষদ জানিয়েছে , তাদের ও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে , কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির দৌরাত্ম্যের জেরে আবাসিক এলাকার শব্দমাত্রা সাধারণ দিনের চেয়ে গড়ে ১৩ ডেসিবেল এবং নির্দিষ্ট শব্দমাত্রার তুলনায় ১৫ ডেসিবেল বেড়ে যায়৷ তাতে মানুষের আংশিক বা দীর্ঘস্থায়ী বধিরতার সম্ভাবনা থাকে৷ রক্তে কর্টিসলের মাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়৷ সবদিক বিচার করে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন পর্ষদের সদস্য সচিব৷

পরিবেশকর্মী বিশ্বজিত্ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য , ‘শব্দমাত্রা ফের ৯০ ডেসিবেল হল , এটা আশার দিক৷ কিন্ত্ত যদি নিষিদ্ধ বাজির উত্পাদন বা মজুত করা আটকানো না -যায় , তাহলে তো তা সাধারণ মানুষের হাতে চলেই আসবে৷ সেটাও নির্দেশিকায় বন্ধ করা উচিত ছিল৷ অতীতে এ নিয়ে পর্ষদকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ আমরা পর্ষদকে এ নিয়ে চিঠি দিচ্ছি৷ ’ বাজি প্রস্ত্ততকারক ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে বাবলা রায় বলেন , ‘আমরা এখনও নির্দেশিকা হাতে পাইনি৷ সেটা পেলেই আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্ত্ততি নিচ্ছি৷ ’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল