ঝিলম করঞ্জাই
কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে কত রক্ত মজুত রয়েছে? কোন গ্রুপের রক্তের পরিমাণই বা কত?
এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাউকে এই প্রশ্ন করলে নির্ভুল উত্তর দিতে পারবেন না তারা৷ এমনকি, আনুমানিক উত্তর দিতে হলেও একগুচ্ছ ফোন করতে হবে ওই কর্তাদের! স্বভাবতই সাধারণ মানুষ এই তথ্য পেতে কতটা নাজেহাল হয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশজুড়েই কম-বেশি একই হাল৷ তাই, রক্ত সঞ্চালনা পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে এবং রোগীর হয়রানি কমাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কয়েক মাস আগে এক বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করে৷ যাতে এক ক্লিকেই রক্ত মজুত সংক্রান্ত তথ্য জানা যায় ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে৷ নাম দেওয়া হয় ‘ই-ব্লাড ব্যাঙ্কিং’, যার ঠিকানা bloodbank.nhp.gov.in/৷
কিন্ত্ত চালুর প্রায় ছ’মাস পরও রাজ্যবাসীরা ওই ওয়েবসাইটের সুবিধে থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন৷ কারণ, রাজ্যের একটিও ব্লাড ব্যাঙ্কও ওই বিশেষ পোর্টালে নিজেদের তথ্য নথিভুক্তি করায়নি৷ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল নিয়ামককে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ অথচ, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, এমনকি ত্রিপুরার মতো অপেক্ষাকৃত ছোট রাজ্যও ইতিমধ্যে ব্লাড ব্যাঙ্ক নথিভুক্ত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে৷ স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে অবশ্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরেই এই অচলাবস্থা৷ স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ ড্রাগ কন্ট্রোলার চিন্তামণি ঘোষ থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী- কেউই সদুত্তর দেননি৷
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ওডিশা ও ছত্তিশগড়ের অসংখ্য ব্লাড ব্যাঙ্কের নাম ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত হয়েছে৷ অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাবের বহু ব্লাড ব্যাঙ্কও নিয়মিত তথ্য দেওয়াও শুরু করেছে৷ অথচ, চালুর ছ’মাস অসংখ্য চিঠি লেখা সত্ত্বেও এ রাজ্যের একটিও ব্লাড ব্যাঙ্ক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেনি এই ওয়েবসাইটে৷ কেন বলবত্ হচ্ছে না এই নিয়ম? স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরের গুঞ্জন, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরেই এই অচলাবস্থা৷ কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ নবান্নের ছাড়পত্র ছাড়া বলবত্ করা যাবে না বলেই ফরমান জারি রয়েছে৷ ফলে সবুজ সঙ্কেত আসেনি৷ যদিও স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘এই ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ আমরা ড্রাগ কন্ট্রোলকে অনুরোধ করে লাগাতার চিঠি পাঠাচ্ছি৷ এতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরই উপকার হবে৷’ঘটনা হল, ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে প্রথম এই প্রস্তাব ঘোষণা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয় তা৷ এর পর ২০১৬-র ডিসেম্বরে পরিপূর্ণ ভাবে চালু করা হয় ওই ওয়েবসাইট৷
কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে কত রক্ত মজুত রয়েছে? কোন গ্রুপের রক্তের পরিমাণই বা কত?
এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাউকে এই প্রশ্ন করলে নির্ভুল উত্তর দিতে পারবেন না তারা৷ এমনকি, আনুমানিক উত্তর দিতে হলেও একগুচ্ছ ফোন করতে হবে ওই কর্তাদের! স্বভাবতই সাধারণ মানুষ এই তথ্য পেতে কতটা নাজেহাল হয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশজুড়েই কম-বেশি একই হাল৷ তাই, রক্ত সঞ্চালনা পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে এবং রোগীর হয়রানি কমাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কয়েক মাস আগে এক বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করে৷ যাতে এক ক্লিকেই রক্ত মজুত সংক্রান্ত তথ্য জানা যায় ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে৷ নাম দেওয়া হয় ‘ই-ব্লাড ব্যাঙ্কিং’, যার ঠিকানা bloodbank.nhp.gov.in/৷
কিন্ত্ত চালুর প্রায় ছ’মাস পরও রাজ্যবাসীরা ওই ওয়েবসাইটের সুবিধে থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন৷ কারণ, রাজ্যের একটিও ব্লাড ব্যাঙ্কও ওই বিশেষ পোর্টালে নিজেদের তথ্য নথিভুক্তি করায়নি৷ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল নিয়ামককে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ অথচ, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, এমনকি ত্রিপুরার মতো অপেক্ষাকৃত ছোট রাজ্যও ইতিমধ্যে ব্লাড ব্যাঙ্ক নথিভুক্ত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে৷ স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে অবশ্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরেই এই অচলাবস্থা৷ স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ ড্রাগ কন্ট্রোলার চিন্তামণি ঘোষ থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী- কেউই সদুত্তর দেননি৷
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ওডিশা ও ছত্তিশগড়ের অসংখ্য ব্লাড ব্যাঙ্কের নাম ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত হয়েছে৷ অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাবের বহু ব্লাড ব্যাঙ্কও নিয়মিত তথ্য দেওয়াও শুরু করেছে৷ অথচ, চালুর ছ’মাস অসংখ্য চিঠি লেখা সত্ত্বেও এ রাজ্যের একটিও ব্লাড ব্যাঙ্ক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেনি এই ওয়েবসাইটে৷ কেন বলবত্ হচ্ছে না এই নিয়ম? স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরের গুঞ্জন, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরেই এই অচলাবস্থা৷ কেন্দ্রের কোনও নির্দেশ নবান্নের ছাড়পত্র ছাড়া বলবত্ করা যাবে না বলেই ফরমান জারি রয়েছে৷ ফলে সবুজ সঙ্কেত আসেনি৷ যদিও স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘এই ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক নয়৷ আমরা ড্রাগ কন্ট্রোলকে অনুরোধ করে লাগাতার চিঠি পাঠাচ্ছি৷ এতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরই উপকার হবে৷’ঘটনা হল, ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে প্রথম এই প্রস্তাব ঘোষণা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয় তা৷ এর পর ২০১৬-র ডিসেম্বরে পরিপূর্ণ ভাবে চালু করা হয় ওই ওয়েবসাইট৷