তাপস প্রামাণিক
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে, সে কথা ভেবে যখন প্রস্তুতি চলছে, সেই সময়ে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। সব ঠিক থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যেই ঢেলে সাজতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। যেখানে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে গোটা বাংলায় মোট চার হাজার নতুন সাব-সেন্টার গড়ে উঠবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে প্রাথমিক ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোলনলচে পুরোপুরি বদলে ফেলা হবে। গড়ে উঠবে নতুন ভবন, সংস্কার করা হবে পুরোনো ভবনগুলির। কেনা হবে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। গ্রামীণ হাসপাতালে মিলবে আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা। এই সব কিছুর জন্য মোট ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে এক লপ্তে এই বিপুল টাকার বিনিয়োগ এই প্রথম। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য উন্নয়ন খাতে এই অর্থ মঞ্জুর করেছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন। সেই টাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভোল বদলের জন্য একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তাতে ঠিক হয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ মোট ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আনুমানিক ২৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে বিভিন্ন পুরসভা এলাকায়। বাকি প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে গ্রামীণ এলাকার জন্য।
স্থানীয় স্তরে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে জেলাশাসকের অধীন 'ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি'। তাতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং অতিরিক্তি জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) থাকবেন। পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে পুর কমিশনারকে কমিটির সদস্য করা হবে।
ওই কমিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে রূপরেখা তৈরি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠাবে। চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই প্রথম কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ মঞ্জুর করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম শনিবার 'এই সময়'-কে বলেন, 'পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ হবে। মূলত প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে। প্রাথমিক পর্বে কোন জেলায় কী ধরনের কাজ হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলেই আমরা কাজ শুরু করব।'
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থ খরচের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর। নতুন যে চার হাজার সাব-সেন্টার তৈরির কথা বলা হয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিনেশন-সহ প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। প্রাথমিক ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলির সংস্কার হবে এবং বহু নতুন ভবন তৈরি হবে। আরবান হেল্থ সেন্টারে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হবে। যেখানে ডেঙ্গি, যক্ষ্মা নির্ণয়ে পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের সুবিধে এবং ইউএসজি-র ব্যবস্থা থাকবে।
সেই জন্য 'পিপিপি মডেল' অনুসরণ করা হবে। আরবান হেল্থ সেন্টারগুলির সঙ্গে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল কিংবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল 'মউ' স্বাক্ষর করবে। ওই ব্যবস্থায় আরবান হেল্থ সেন্টারের পরিকাঠামোকে হাসপাতালগুলি রোগী ভর্তি-সহ বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগাতে পারবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে, সে কথা ভেবে যখন প্রস্তুতি চলছে, সেই সময়ে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। সব ঠিক থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যেই ঢেলে সাজতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। যেখানে গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে গোটা বাংলায় মোট চার হাজার নতুন সাব-সেন্টার গড়ে উঠবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে প্রাথমিক ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোলনলচে পুরোপুরি বদলে ফেলা হবে। গড়ে উঠবে নতুন ভবন, সংস্কার করা হবে পুরোনো ভবনগুলির। কেনা হবে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। গ্রামীণ হাসপাতালে মিলবে আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা। এই সব কিছুর জন্য মোট ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে এক লপ্তে এই বিপুল টাকার বিনিয়োগ এই প্রথম।
স্থানীয় স্তরে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে জেলাশাসকের অধীন 'ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি'। তাতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং অতিরিক্তি জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) থাকবেন। পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে পুর কমিশনারকে কমিটির সদস্য করা হবে।
ওই কমিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে রূপরেখা তৈরি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠাবে। চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই প্রথম কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ মঞ্জুর করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম শনিবার 'এই সময়'-কে বলেন, 'পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ হবে। মূলত প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে। প্রাথমিক পর্বে কোন জেলায় কী ধরনের কাজ হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলেই আমরা কাজ শুরু করব।'
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থ খরচের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর। নতুন যে চার হাজার সাব-সেন্টার তৈরির কথা বলা হয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিনেশন-সহ প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। প্রাথমিক ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলির সংস্কার হবে এবং বহু নতুন ভবন তৈরি হবে। আরবান হেল্থ সেন্টারে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হবে। যেখানে ডেঙ্গি, যক্ষ্মা নির্ণয়ে পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের সুবিধে এবং ইউএসজি-র ব্যবস্থা থাকবে।
সেই জন্য 'পিপিপি মডেল' অনুসরণ করা হবে। আরবান হেল্থ সেন্টারগুলির সঙ্গে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল কিংবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল 'মউ' স্বাক্ষর করবে। ওই ব্যবস্থায় আরবান হেল্থ সেন্টারের পরিকাঠামোকে হাসপাতালগুলি রোগী ভর্তি-সহ বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগাতে পারবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।