অ্যাপশহর

রাজ্যে নজর সাত ‘হটস্পটে’

এর মধ্যে রয়েছে কম্যান্ড হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, তাঁর পরিবার ও গাড়ির চালক দক্ষিণ কলকাতার যে এলাকার বাসিন্দা, সেই অঞ্চলটিও। বাকি হটস্পটগুলিও আক্রান্ত ব্যক্তিদেরই এলাকা। আজ, বুধবার সন্দেহভাজনদের চিহ্নিতকরণের সুবিধার্থে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করছে সরকার।

EiSamay.Com 8 Apr 2020, 10:17 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রকোপ বেশি, বাংলায় এমন সাতটি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করল স্বাস্থ্য দপ্তর। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সিংহভাগই মাত্র সাতটি অঞ্চলের সাতটি পরিবারের সদস্য অথবা ওই পরিবারগুলির সাথে তাঁদের যোগ আছে। এ দিন প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পং, তেহট্ট, এগরা, হলদিয়া, হাওড়া ও কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু এলাকাকেই ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানকার লোকজনের গতিবিধি, বাড়িতে থাকা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ইত্যাদির উপর বিশেষ নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য দপ্তর।
EiSamay.Com State health department identified seven corona hotspots in west bengal
বাংলায় করোনা হটস্পট



মঙ্গলবারও মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬৯ জনের সঙ্গেই যোগ রয়েছে মাত্র ন’টি পরিবারের। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘অ্যাক্টিভ কোভিড-১৯’ রোগীর সংখ্যা ৬১ থেকে আরও আটটি বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে এ যাবৎ রাজ্যে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৯। মিলেছে আরও দু’টি মৃত্যুর খবরও। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এ যাবৎ ৯১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেও মোট আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে ৯১ দাবি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ যাবৎ করোনার বলি রাজ্যে পাঁচ জন। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, সম্প্রতি পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এক পুরুষ (পেশায় রেলকর্মী) মারা গিয়েছিলেন। দু’জনেই করোনা পজিটিভ ছিলেন। ডেথ অডিট কমিটি তাঁদের চিকিৎসা নথি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়েছে, ওঁদের মৃত্যু করোনার জেরেই হয়েছে। ফলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে বর্তমানে পাঁচ। আরও চার জন করোনা পজিটিভ ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ করোনাই কি না, তা নিয়ে অবশ্য এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্তারা।

যদিও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ইতিমধ্যে ১৩ জন সুস্থও হয়ে উঠেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন, যা ঠিক নয়। সেটা হলে পজিটিভের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেত। কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক সূত্রে বা অন্য সংস্রবের কারণে স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তা যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণে পরিণত না-হয়, সে জন্যই লকডাউনের মাঝেই একেবারে স্থানীয় স্তরে হটস্পট চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’

পরের খবর