অ্যাপশহর

শারারা ও পাঠান স্যুটের ঈদে টক্কর পাগড়ি টুপির

নির্বাচন চলায় ঈদের বাজারে একটু ভাটা চলছিল। কিন্তু নির্বাচন পর্ব মিটতেই তা জমে উঠেছে। রবিবার ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে পোশাক, জুতো, প্রসাধনী থেকে ঘর সাজানোর জিনিসের দোকানে ছিল দেশিবিদেশি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

EiSamay.Com 27 May 2019, 10:23 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল পডুয়া দুই মেয়েকে এ বারের ঈদে একই রকম পোশাক কিনে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন নাজমা খাতুন। রবিবার ছুটির দিনে হাওড়া থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে নিউ মার্কেটে পৌঁছন নাজমা। কিন্তু পোশাকের দোকানে পৌঁছে ছোট মেয়ে সালমার নাছোড় জেদ, শারারা কিনে দিতে হবে তাকে। সেটাই এ বার ঈদের ট্রেন্ড। শেষমেশ মেয়ের জেদের কাছে হার মানতে হয় নাজমাকে। বড় মেয়ে শবনমের আবার শারারা নয়, পছন্দ লং ড্রেস। দুটি লং ড্রেস, সঙ্গে মানানসই অক্সিডাইজড জুয়েলারি থেকে জুতো, প্রায় সব কেনাকাটা শেষ।
EiSamay.Com shopping for eid celebrations on full swing in new market
ঈদের বাজার জমে ওঠে


নির্বাচন চলায় ঈদের বাজারে একটু ভাটা চলছিল। কিন্তু নির্বাচন পর্ব মিটতেই তা জমে উঠেছে। রবিবার ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে পোশাক, জুতো, প্রসাধনী থেকে ঘর সাজানোর জিনিসের দোকানে ছিল দেশিবিদেশি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের মধ্যে কলকাতা ও আশপাশের অঞ্চলের লোকজন তো আছেনই, ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও।

মার্কেট স্ট্রিটে দোকান রামচন্দ্র জয়সওয়ালের। মূলত মেয়েদের পোশাক বিক্রি করেন তিনি। রামচন্দ্র জানালেন, এ বার ঈদের বাজারে বাচ্চা থেকে বড়, সকলের জন্য শারারা এবং লং ড্রেসের ফ্যাশন রয়েছে। সাধারণ সালোয়ার স্যুটের থেকে এই সব পোশাকই বিকোচ্ছে বেশি। ছোটোদের শারারা, লেহেঙ্গা শুরু ২৫০ টাকা থেকে। ঊর্ধ্বসীমা মোটামুটি ৮০০ টাকা। আবার বড়দের এই পোশাকগুলির দাম ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, রমজান শুরুর কিছুদিন পর থেকেই অন্যান্য বার ঈদের বাজার জমে ওঠে। তবে এ বার নির্বাচনের জন্য তাতে খানিকটা সময় লাগছিল। দিন দুয়েক হল সেই বাজার জমতে শুরু করেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী পারভেজ আলম। ভালোই বিক্রি হচ্ছে তাঁর। ছেলেদের পোশাকে অবশ্য সেই পাঞ্জাবি, শেরওয়ানির চাহিদাই বহাল। চিরন্তন সেই পোশাকেই নানা কারুকার্য, স্টাইলের ছড়াছড়ি।

দীর্ঘদিন ধরে পোশাক তৈরির সঙ্গে জড়িত এম সেলিম জানালেন, পাঠান স্যুটের চাহিদা ফি বছর বেশিই থাকে। এ বারও এই স্যুটই কমবয়সি ছেলেরা বেশি তৈরি করতে দিচ্ছে। তবে ঈদের বাজারে পাগড়ি টুপি যে বাকি সবকিছুকে নিত্য গোল দিচ্ছে, বিক্রির পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। টুপি বিক্রেতা মহম্মদ আক্রম জানালেন, ৫৫ টাকা থেকে শুরু হওয়া এই টুপি গড়ে ৫০০ করে বিকোচ্ছে। বন্ধুর সঙ্গে শপিংয়ে আসা সল্টলেকের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী মহম্মদ তৌসিফ বললেন, ‘আমরা বন্ধুরা এ বার কালো স্যুট কিনেছি। তবে নমাজ পড়ার জন্য সাদা পাঞ্জাবিই পছন্দ।’

চুড়ি, ওড়না, গয়নাগাঁটি, ব্যাগ থেকে জুতো --- আপাতত কোনও দোকানেই তিলধারণের জায়গা নেই। সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। এক অবস্থা নিউ মার্কেট চত্বরের শপিং মলগুলির। খুলনা থেকে শহরে বেড়াতে এসেছেন নব দম্পতি আসরফ ও শাকিনা। এখান থেকেই ঈদের বাজার করে দেশের ফেরার ইচ্ছে তাঁদের। শাকিনার কথায়, ‘ইতিমধ্যে ১০-১২ হাজার টাকার কেনাকাটা করে ফেলেছি। এখনও কিছু আত্মীয়ের জন্য উপহার কেনা বাকি আছে।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল