স্নেহাশিস নিয়োগী
কলেজে ভর্তিতে সরকারি কড়াকড়ি নিয়ে শেষে বাদ সাধছেন অধ্যক্ষরাই !শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিদানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীনস্থ কলেজগুলি স্নাতকে নানা বিষয়ের আসনের হিসেব এ বার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞন্তি দিয়েছে৷ কিন্ত্ত ফি বছরের মতো এ বারও বিভিন্ন শাখায় সেই ‘সীমা ’ ছাড়িয়ে বাড়তি পড়ুয়া ভর্তির পক্ষে সওয়াল করছেন মহানগরের বেশ কিছু কলেজ অধ্যক্ষ৷
সেই সওয়ালের মূলে অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তরোত্তর বেশি সাফল্যের থেকেও কলেজ পরিচালনার যুক্তিকে হাতিয়ার করছেন৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন , ‘আমরা তো যত খুশি ভর্তির অনুমতি দিতে পারি না৷ পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিধিও আছে৷ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে মঙ্গলবার আমার কাছে এসেছিলেন৷ আমি বলেছি , আপনারা কী চাইছেন , কেন চাইছেন , তা লিখিত ভাবে দিন৷ ’ অধ্যক্ষদের বক্তব্য , দিনে দিনে পরিকাঠামোগত দিক থেকে অনেক নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে কলেজে৷ অথচ সেই সব পরিষেবা চালু রাখতে পর্যান্ত সরকারি অনুদান মেলে না৷ কম্পিউটার ব্যবহার থেকে ডিজিটাল লাইব্রেরি চালানো , গেস্ট টিচার থেকে ক্যাজুয়াল কর্মী নিয়োগ --- সব ক্ষেত্রেই নিজেদের অর্থ সংস্থান করতে হয় কলেজগুলিকে৷ উচ্চশিক্ষা দন্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন বেঁধে দেওয়া আসন সংখ্যার নিরিখে পড়ুয়া ভর্তি করা হলে সে সব পরিষেবা চালানো যাবে কী করে ?
যদিও বৃহস্পতিবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে গিয়ে কলেজে কলেজে অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির জন্য উপাচার্যকে কটাক্ষ করে কলেজ পরিদর্শক (আইসি ) দেবাশিস বিশ্বাসকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কাকতালীয় ভাবে বুধবারই তাঁর দন্তর কলেজ স্ট্রিট থেকে ন্যানো টেকনোলজিতে সরিয়ে নেওয়ার বিজ্ঞন্তি বেরিয়েছে৷ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন , ‘গত কয়েক বছরে পরিকাঠামো অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে৷ এখন বহুদিনের পুরোনো আসন সংখ্যা বেঁধে দিলে কী করে হবে ! পড়ুয়া ভর্তির জন্য আসন না -বাড়ালে বর্ধিত কাঠামোই বা সাপোর্ট পাবে কী করে ? তা ছাড়া যত পড়ুয়া প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় , তার এক -তৃতীয়াংশ মাত্র পার্ট থ্রির পরীক্ষায় বসে৷ সেই সঙ্গে আমাদের কলেজটা শিয়ালদহ স্টেশনের কাছেই হওয়ায় , দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়ে ভর্তি হতে চায়৷ এ বারই অনলাইনে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে৷ তার মধ্যে ২০ -২১ হাজার পড়ুয়াই ফর্মপূরণের টাকা জমা দিয়েছে৷ ’
কোন কোন বিষয়ে আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ? ইন্দ্রনীলের জবাব , ‘আমরা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিত্তিতে উপাচার্যের কাছে দরবার করিনি৷ ওঁর সঙ্গে দেখা করে সার্বিক ভাবে আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি৷ ’ তাঁর বক্তব্য , ‘যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে , তারা আলোর দিশা দেখবে না ? পড়ার ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকলেও আমরা তাদের বঞ্চিত করব ?’ সুরেন্দ্রনাথ উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণিমা বিশ্বাসও বলেন , ‘আমাদের এখানে কমার্স ও ইংরেজিতে ভর্তির চাপ খুব৷ ইনটেকের ডবল কেন , চার -পাঁচগুণ ছাপিয়ে যায়৷ সেটাই উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে বিবেচনা করতে বলেছি৷ কলেজে খরচও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে৷ ক্যাজুয়াল স্টাফ , গেস্ট টিচার এবং অনেক কম্পিউটার আছে৷ তাদের খরচ তো কলেজের ফান্ড থেকেই দিতে হয় ! সরকারি অনুদানে কী সব খরচ পোষায়৷ ’ সহ -উপাচার্য (শিক্ষা ) স্বাগত সেন বলেন , ‘বেঁধে দেওয়া সীমার অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির বিষয়ে একাধিক কলেজ অধ্যক্ষের চিঠি পেয়েছি৷ সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যেই কলেজগুলিকে ছাত্র ভর্তি করতে হবে৷ তবে আমরা বিষয়টি সিন্ডিকেটে বিবেচনার জন্য আনতে পারি৷ কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিলে সেই ফাঁক দিয়ে সব কলেজ না -হলেও , অধিকাংশই গলে যেতে চাইবে৷ ’
কলেজে ভর্তিতে সরকারি কড়াকড়ি নিয়ে শেষে বাদ সাধছেন অধ্যক্ষরাই !শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিদানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীনস্থ কলেজগুলি স্নাতকে নানা বিষয়ের আসনের হিসেব এ বার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞন্তি দিয়েছে৷ কিন্ত্ত ফি বছরের মতো এ বারও বিভিন্ন শাখায় সেই ‘সীমা ’ ছাড়িয়ে বাড়তি পড়ুয়া ভর্তির পক্ষে সওয়াল করছেন মহানগরের বেশ কিছু কলেজ অধ্যক্ষ৷
সেই সওয়ালের মূলে অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তরোত্তর বেশি সাফল্যের থেকেও কলেজ পরিচালনার যুক্তিকে হাতিয়ার করছেন৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন , ‘আমরা তো যত খুশি ভর্তির অনুমতি দিতে পারি না৷ পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিধিও আছে৷ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে মঙ্গলবার আমার কাছে এসেছিলেন৷ আমি বলেছি , আপনারা কী চাইছেন , কেন চাইছেন , তা লিখিত ভাবে দিন৷ ’ অধ্যক্ষদের বক্তব্য , দিনে দিনে পরিকাঠামোগত দিক থেকে অনেক নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে কলেজে৷ অথচ সেই সব পরিষেবা চালু রাখতে পর্যান্ত সরকারি অনুদান মেলে না৷ কম্পিউটার ব্যবহার থেকে ডিজিটাল লাইব্রেরি চালানো , গেস্ট টিচার থেকে ক্যাজুয়াল কর্মী নিয়োগ --- সব ক্ষেত্রেই নিজেদের অর্থ সংস্থান করতে হয় কলেজগুলিকে৷ উচ্চশিক্ষা দন্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন বেঁধে দেওয়া আসন সংখ্যার নিরিখে পড়ুয়া ভর্তি করা হলে সে সব পরিষেবা চালানো যাবে কী করে ?
যদিও বৃহস্পতিবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে গিয়ে কলেজে কলেজে অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির জন্য উপাচার্যকে কটাক্ষ করে কলেজ পরিদর্শক (আইসি ) দেবাশিস বিশ্বাসকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কাকতালীয় ভাবে বুধবারই তাঁর দন্তর কলেজ স্ট্রিট থেকে ন্যানো টেকনোলজিতে সরিয়ে নেওয়ার বিজ্ঞন্তি বেরিয়েছে৷ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন , ‘গত কয়েক বছরে পরিকাঠামো অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে৷ এখন বহুদিনের পুরোনো আসন সংখ্যা বেঁধে দিলে কী করে হবে ! পড়ুয়া ভর্তির জন্য আসন না -বাড়ালে বর্ধিত কাঠামোই বা সাপোর্ট পাবে কী করে ? তা ছাড়া যত পড়ুয়া প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় , তার এক -তৃতীয়াংশ মাত্র পার্ট থ্রির পরীক্ষায় বসে৷ সেই সঙ্গে আমাদের কলেজটা শিয়ালদহ স্টেশনের কাছেই হওয়ায় , দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়ে ভর্তি হতে চায়৷ এ বারই অনলাইনে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে৷ তার মধ্যে ২০ -২১ হাজার পড়ুয়াই ফর্মপূরণের টাকা জমা দিয়েছে৷ ’
কোন কোন বিষয়ে আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ? ইন্দ্রনীলের জবাব , ‘আমরা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিত্তিতে উপাচার্যের কাছে দরবার করিনি৷ ওঁর সঙ্গে দেখা করে সার্বিক ভাবে আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি৷ ’ তাঁর বক্তব্য , ‘যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে , তারা আলোর দিশা দেখবে না ? পড়ার ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকলেও আমরা তাদের বঞ্চিত করব ?’ সুরেন্দ্রনাথ উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণিমা বিশ্বাসও বলেন , ‘আমাদের এখানে কমার্স ও ইংরেজিতে ভর্তির চাপ খুব৷ ইনটেকের ডবল কেন , চার -পাঁচগুণ ছাপিয়ে যায়৷ সেটাই উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে বিবেচনা করতে বলেছি৷ কলেজে খরচও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে৷ ক্যাজুয়াল স্টাফ , গেস্ট টিচার এবং অনেক কম্পিউটার আছে৷ তাদের খরচ তো কলেজের ফান্ড থেকেই দিতে হয় ! সরকারি অনুদানে কী সব খরচ পোষায়৷ ’ সহ -উপাচার্য (শিক্ষা ) স্বাগত সেন বলেন , ‘বেঁধে দেওয়া সীমার অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তির বিষয়ে একাধিক কলেজ অধ্যক্ষের চিঠি পেয়েছি৷ সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যেই কলেজগুলিকে ছাত্র ভর্তি করতে হবে৷ তবে আমরা বিষয়টি সিন্ডিকেটে বিবেচনার জন্য আনতে পারি৷ কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিলে সেই ফাঁক দিয়ে সব কলেজ না -হলেও , অধিকাংশই গলে যেতে চাইবে৷ ’