অ্যাপশহর

ভর্তি ঘিরে বেনিয়ম, ইস্তফা স্কটিশ চার্চ কলেজ অধ্যক্ষের

‘নিরাপত্তা’-র দাবিতে জয়পুরিয়া কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের মাঝেই ইস্তফা দিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষ অমিত আব্রাহাম৷ মেধা তালিকার বাইরে থেকে ছাত্র ভর্তি নিয়ে প্রবল চাপের জেরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর৷

EiSamay.Com 28 Aug 2016, 6:10 pm
এই সময়: ‘নিরাপত্তা’-র দাবিতে জয়পুরিয়া কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের মাঝেই ইস্তফা দিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষ অমিত আব্রাহাম৷ মেধা তালিকার বাইরে থেকে ছাত্র ভর্তি নিয়ে প্রবল চাপের জেরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর৷
EiSamay.Com principal of scottish church college resigns
ভর্তি ঘিরে বেনিয়ম, ইস্তফা স্কটিশ চার্চ কলেজ অধ্যক্ষের


অধ্যক্ষ পদ থেকে কেন তিনি ইস্তফা দিলেন? এই প্রশ্নে অমিতের দার্শনিক সুলভ উত্তর, ‘আমি সেবার জন্য এখানে এসেছিলাম৷ শাসনের জন্য নয়৷ কিন্ত্ত আমি অনেকের মন জয় করতে শুরু করায়, কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ রুষ্ট ও ক্ষুব্ধ৷’ চার্চেস অব নর্থ ইন্ডিয়ার বিশপ রেভারেন্ড অশোক বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওঁর পদত্যাগপত্র পেয়েছি৷ সঠিক জায়গায় তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷’ সূত্রের খবর, শাসকদলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এবং মেয়র পারিষদরা মেধা তালিকার বাইরে থাকা পড়ুয়াদের ভর্তির সুপারিশ করেছিলেন৷ তার মধ্যে সিংহভাগই কার্যকর হয়নি৷ পাশাপাশি কলেজের ‘প্রভাবশালী’ গোষ্ঠী যে সব প্রার্থীদের ভর্তির সুপারিশ করেছিল, তা পুরোমাত্রায় বাস্তবায়িত হয়েছে বলে অভিযোগ৷

ফলে গত কয়েকদিন ধরেই শাসকদলের তরফে প্রবল চাপ তৈরি করা হচ্ছিল অধ্যক্ষের উপর৷ সেই চাপ তিনি সহ্য করতে না পেরেই দায়িত্ব ছাড়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন৷ অভিযোগ, কলেজের কিছু প্রাক্তনীও পিছনের দরজা দিয়ে ছাত্র ভর্তির জন্য নিয়মিত চাপ দিচ্ছিলেন৷ নানা রকম সংরক্ষণ ও স্পোর্টস কোটায় অনেকদিন থেকেই এই কলেজে মেধা তালিকার বাইরে থাকা পড়ুয়াদের ভর্তির চল ছিল৷ তবে গত তিন বছরে ধরে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিপত্তির শুরু৷ অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি হয়৷ সেই মতো বিভিন্ন শাখায় শূন্য আসনের নিরিখে একাধিক দফায় পড়ুয়া ভর্তি হয়৷ কলেজের ভর্তি কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙে অনলাইনের বাইরে কিছু পড়ুয়ার চাপ আসছিল৷ সেটা উভয় তরফেই আসছিল৷ শাসকদলের পাশাপাশি কলেজেরই বিশেষ গোষ্ঠীও, যাঁরা নানা পদাধিকার বলে পরিচালন সমিতিতে আসীন৷ কিন্ত্ত দু’পক্ষের চাপ কাটিয়ে উঠতে অমিত আব্রাহাম ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন৷’

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে ভর্তি নিয়ে শাসকদলের চাপেই এটা হয়েছে৷ আমি বলছি, কে চাপ দিয়েছে? কোথায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছে, নাম-সহ আমাকে জানাক না৷ দেখুন, কী ব্যবস্থা নিই৷ এটা কলেজের নিজস্ব বিষয়৷ আমরা ওখানে নিয়োগও করি না৷ আমাদের কাছে কেউ পদত্যাগপত্রও পাঠায়নি৷’ কলেজ কাউন্সিলের সদস্য তথা ডায়োসেস অফ কলকাতার সাম্মানিক সচিব রেভারেন্ড আবীর অধিকারী ভর্তি নিয়ে অধ্যক্ষের উপর বিশেষ কোনও চাপের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এরকম কোনও খবর আমার জানা নেই৷ আপনার থেকেই প্রথম শুনলাম৷ খোঁজ নিয়ে দেখব৷ কয়েক দিনের মধ্যে পরিচালন সমিতির বৈঠক আছে৷ সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল