অ্যাপশহর

নামী রেস্তোরাঁর হেঁশেলেও নরক

নিউ মার্কেটে গিয়ে আমিনিয়া, নিজামের বিরিয়ানি খাওয়া অনেকেরই একটা রেওয়াজের মধ্যে পড়ে৷ তার পর বরফের পান মুখে পুরে তবেই সেই বিরিয়ানি খাওয়ার তৃপ্তি সম্পূর্ণ হয়৷

EiSamay.Com 27 May 2017, 8:22 am
এই সময়: নিউ মার্কেটে গিয়ে আমিনিয়া, নিজামের বিরিয়ানি খাওয়া অনেকেরই একটা রেওয়াজের মধ্যে পড়ে৷ তার পর বরফের পান মুখে পুরে তবেই সেই বিরিয়ানি খাওয়ার তৃপ্তি সম্পূর্ণ হয়৷ কিন্ত্ত সেই আমিনিয়া , নিজাম , মুঘল প্যালেসের হেঁশেলে শুক্রবার ঢুঁ মেরে হতবাক কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা৷ প্রতিটি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের ভিতরে ঢুকতেই তাঁদের নাকে ভেসে আসছিল পচা জলের দুর্গন্ধ, কোথাও আবার কাটা আনাজের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছিল আরশোলা৷ শুধু এই নামী -দামি হোটেলই নয় , একই অভিযোগ আরও বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধেও৷ এদের অনেকেরই ফুড লাইসেন্স বা ট্রেড লাইসেন্স নেই৷ পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য ) অতীন ঘোষ শুক্রবার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে চালান এই অভিযান৷
EiSamay.Com presence of cockroaches flies rats and other scavengers are sure signs of an unhealthy kitchen environment of each restaurant
নামী রেস্তোরাঁর হেঁশেলেও নরক


কুড়িটির মতো হোটেল এবং রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি৷ শুধু খাবারের ভেজাল নয় , হেঁশেলেও ঢুকে পড়েন পুরকর্মীরা৷ হগ মার্কেটের পিছন দিকে যাঁরা শরবত বিক্রি করেন , তাঁদের বরফ পরীক্ষা করে দেখা যায় , দু-তিন জন এখনও বাণিজ্যিক বরফ দিয়ে শরবত বিক্রি করছেন৷ অতীন জানান , যাতে বাণিজ্যিক বরফ ব্যবহারে কেউ কোনও ফাঁকি দিতে না পারে , সে জন্য তিনি বাণিজ্যিক বরফ রঙিন করার ব্যবস্থা করছেন৷ একই সঙ্গে তিনি এই অঞ্চলের পুরোনো এবং প্রতিষ্ঠিত হোটেলগুলির হেঁশেলেও ঢুকে পড়েন৷ বিহার হোটেলের কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ তাঁরা পুর আধিকারিকদের বলেন , তাঁদের হোটেলের খাবারের মান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্ত্ত রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায় , কেটে রাখা আনাজের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা৷ জমে রয়েছে নোংরা জল৷ একই ছাদের নীচে রয়েছে নিজামের মতো পুরোনো হোটেল৷ ট্রেড লাইসেন্স , ফুড লাইসেন্স নেই তাদেরও৷ রান্নাঘরে শুধু ঝুল নয় , তেল চিটচিটে মেঝেতে পা পিছলে যাওয়ার জোগাড়৷ আমিনিয়ারও রান্নাঘরেও ঢুকে দেখা গিয়েছে জমা জলের গন্ধ৷ হোটেলের বাইরে যেমন বিরিয়ানির সুগন্ধ ম ম করে , ঠিক তার উল্টো চিত্র রান্না ঘরে৷ আমিনিয়া কর্তৃপক্ষ পুর অফিসারদের জানান , রান্নাঘর তো একটু-আধটু নোংরা হবেই৷

এরপর পুর কর্তারা যান এসএন ব্যানার্জি রোডের শরবত ও মিষ্টির দোকানে৷ সেখানে বেলের শরবত বানিয়ে রাখা ছিল একটি পাত্রে৷ পুরোটাই ফেলে দেন অতীন৷ শরবতের দোকানি বলেন যে , তাঁর জানা ছিল না যে শরবত বানিয়ে রাখা যাবে না৷ অবশ্য পুর -আধিকারিকরা তাঁকে শ ’খানেক টাকা দেন শরবত নষ্ট হওয়ার জন্যে৷ অভিযান চলে ডেকার্স লেনেও৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল