তাপস প্রামাণিক
গ্রামীণ আবাস (PM Awas Yojana) নির্মাণে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্যের। এ নিয়ে একাধিক বার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার পাল্টা এ বার রাজ্যের দিকেই অভিযোগের তির ঘুরিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য সরকারই আবাসের অনুমোদন আটকে রেখেছে। ফলে প্রকল্প রূপয়াণে বিলম্ব হচ্ছে। কয়েক দিন আগে কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্যে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল।
কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও লক্ষ্যমাত্রার ৫৮,৩১০টি বাড়ির অনুমোদন দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। গোটা দেশে এই সংখ্যা ১১ লক্ষ ১৮ হাজারের কাছাকাছি। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদ জানিয়েছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া অতি অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে রাজ্যকে। অন্যথায় কেন্দ্রীয় গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্য, তা অধরাই থেকে যাবে। আর কাজ যাতে সময় মেনে হয়, তার জন্যেও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। তার কারণ, ২০২৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৩৮ লক্ষ বাড়ি বানানোর সঙ্কল্প নিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকের জমির কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্যেই অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, 'রাজ্য বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিতে কেন দেরি করছে, এটা নিয়ে হইচইয়ের কোনও মানে হয় না। তার আগে ওরা বলুক, কেন্দ্র কেন আবাস যোজনার টাকা ছাড়ছে না।' তবে ২০২৩ সালে গ্রামীণ আবাস যোজনা রূপায়ণে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা, তার বিস্তারিত 'অ্যাকশন প্ল্যান'ও জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে রাজ্য বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই তথ্যও পাঠাতে হবে দিল্লিতে। বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। ৯ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য অনলাইনে জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্তে একাধিক প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লি টাকা না ছাড়ায় গ্রামীণ আবাস নির্মাণে প্রতিপদে হোঁচট খেতে হচ্ছে রাজ্যকে। তার মধ্যেই কেন্দ্র নতুন করে 'অ্যাকশন প্ল্যান' জমা দিতে বলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য। নবান্নের কর্তাদের আশঙ্কা, সময়ের মধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান জমা না দিতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো যোজনার টাকাই মিলবে না। আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তাই অবিলম্বে সেই কাজ করে ফেলতে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ আবাস (PM Awas Yojana) নির্মাণে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্যের। এ নিয়ে একাধিক বার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার পাল্টা এ বার রাজ্যের দিকেই অভিযোগের তির ঘুরিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য সরকারই আবাসের অনুমোদন আটকে রেখেছে। ফলে প্রকল্প রূপয়াণে বিলম্ব হচ্ছে। কয়েক দিন আগে কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্যে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল।
কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও লক্ষ্যমাত্রার ৫৮,৩১০টি বাড়ির অনুমোদন দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। গোটা দেশে এই সংখ্যা ১১ লক্ষ ১৮ হাজারের কাছাকাছি। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদ জানিয়েছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া অতি অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে রাজ্যকে। অন্যথায় কেন্দ্রীয় গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে রাজ্য, তা অধরাই থেকে যাবে। আর কাজ যাতে সময় মেনে হয়, তার জন্যেও বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। তার কারণ, ২০২৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে মোট ২ কোটি ৩৮ লক্ষ বাড়ি বানানোর সঙ্কল্প নিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকের জমির কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্যেই অনুমোদনে দেরি হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, 'রাজ্য বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিতে কেন দেরি করছে, এটা নিয়ে হইচইয়ের কোনও মানে হয় না। তার আগে ওরা বলুক, কেন্দ্র কেন আবাস যোজনার টাকা ছাড়ছে না।' তবে ২০২৩ সালে গ্রামীণ আবাস যোজনা রূপায়ণে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা, তার বিস্তারিত 'অ্যাকশন প্ল্যান'ও জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে রাজ্য বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেই তথ্যও পাঠাতে হবে দিল্লিতে। বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। ৯ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য অনলাইনে জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্তে একাধিক প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লি টাকা না ছাড়ায় গ্রামীণ আবাস নির্মাণে প্রতিপদে হোঁচট খেতে হচ্ছে রাজ্যকে। তার মধ্যেই কেন্দ্র নতুন করে 'অ্যাকশন প্ল্যান' জমা দিতে বলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য। নবান্নের কর্তাদের আশঙ্কা, সময়ের মধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান জমা না দিতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো যোজনার টাকাই মিলবে না। আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তাই অবিলম্বে সেই কাজ করে ফেলতে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।