অ্যাপশহর

যাতায়াতের পথে হয়তো দেখা পাবেন তাঁর, পারলে পাশে দাঁড়ান

বয়স সত্তর, পঁচাত্তর বা হয়তো আশি। তবু জীবনযুদ্ধে হার মেনে নিতে রাজি নন পদ্মাদেবী। অনুগ্রহ বা অনুদান নয়, অশক্ত শরীরেও পরিশ্রম করে রোজগারে বিশ্বাসী সাতগাছির এই বাসিন্দা।

EiSamay.Com 24 Aug 2016, 8:52 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স সত্তর, পঁচাত্তর বা হয়তো আশি। তবু জীবনযুদ্ধে হার মেনে নিতে রাজি নন পদ্মাদেবী। অনুগ্রহ বা অনুদান নয়, অশক্ত শরীরেও পরিশ্রম করে রোজগারে বিশ্বাসী সাতগাছির এই বাসিন্দা।
EiSamay.Com please do not ignore this lion hearted lady she is living by her own terms
যাতায়াতের পথে হয়তো দেখা পাবেন তাঁর, পারলে পাশে দাঁড়ান


মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ব্যস্ত বাগুইআটি জংশনের কাছে শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কাছে ভিড়ের মাঝে নজর কাড়লেন এক বৃদ্ধা। পরণে আটপৌরে সাদা খোলের শাড়ি, চোখে চশমা, কাঁধে কালো স্ট্র্যাপওয়ালা ব্যাগ। তাঁর শান্ত মুখে লেগে রয়েছে মিষ্টি হাসি। পথচলতি জনতার কাছে ব্যাগ-বোঝাই ধূপকাঠি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। প্রতি প্যাকেট ধূপকাঠির দাম মাত্র দশ টাকা। কাউকে বিরক্ত না করে মৃদু স্বরে তাঁর পণ্য কেনার অনুরোধ করছেন বৃদ্ধা।

শুধু এদিনই নয়, রোজগারের তাগিদে রোজই পথে নামতে হয় পদ্মাদেবীকে। সংসারে তিনিই যে একমাত্র রোজগেরে। একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যুর পরে পূত্রবধূ আর দুই স্কুলপড়ুয়া নাতিকে নিয়ে চারজনের পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের দায় স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এই কারণে শুধুমাত্র অটুট জেদ আর অসীম সাহস সম্বল করে তাঁকে প্রতিদিন অশক্ত শরীরে পথে নামতে হয়।

কারও অনুগ্রহ বা দয়ার মুখাপেক্ষী নন পদ্মাদেবী। রোজ সকালে সাতগাছির বাড়ি থেকে ব্যাগ-ঠাসা ধূপকাঠি নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন। সারাদিন পথে পথে ঘুরে বিক্রি করে চলেন সওদা। রাতের ট্রেন ধরে ফের বাড়ি ফেরা। তাঁর পথ চেয়ে বসে থাকে বাকি তিন জন।

পাঠকদের কাছে অনুরোধ, যাতায়াতের পথে কখনও চোখে পড়লে এই অসম সাহসিকা হার-না-মানা মহীয়সীকে নিরাশ করবেন না। মনে রাখবেন, ভিক্ষা নয়, সসম্মানে আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

তথ্য সৌজন্য: ঋতুশ্রী দত্ত

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল