এই সময়: হাসপাতালই মশার আঁতুড়ঘর! তাও যে সে হাসপাতাল নয়৷ খোদ রাজ্যের একমাত্র সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম চত্বরেই বর্ষার জমা জলে মশার চাষ হচ্ছে৷ তার জন্য চলতি বছরে চার-চারবার আইনি নোটিস ধরানো হয়েছে৷ হাসপাতালকর্তৃপক্ষকে পুরসভার তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷ কিন্ত্ত তাতেও পরিস্থিতির এতটুকু বদল হয়নি৷ অবাধে চলছে রোগের উত্সের বংশবৃদ্ধি৷
রাজ্যের আর এক অত্যাধুনিক হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের ছবিটাও মোটের উপর একইরকম৷ সেখানেও জমে থাকা জলে বেড়ে উঠছে মশার লার্ভা৷ সোমবার মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে মশার একাধিক আঁতুড়ঘর আবিষ্কার করেছেন খোদ স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়রপারিষদ অতীন ঘোষ৷ পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশকরেন তিনি৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনও আইনি নোটিস ধরানোহয়নি৷ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেও এনআরএস হাসপাতালে গিয়েও বৃষ্টির জমা জলে এডিসইজিপ্টাইয়ের লার্ভার সন্ধান পেয়েছিলেন অতীন৷ প্রশ্ন উঠছে, এসএসকেএম, মেডিক্যাল এবং এনআরএসের মতো রাজ্যের নামকরাহাসপাতালের মধ্যেই যদি ডেঙ্গি মশার লার্ভার সন্ধান মেলে , তা হলে শহরের অন্যত্র কী অবস্থাহয়ে রয়েছে? হাসপাতালে রোগী ছাড়াও চিকিত্সক, নার্স, রোগীদের পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিদিন বেশ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন৷ ফলে সেখান থেকে ডেঙ্গি অথবাম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর যথেষ্ট সম্ভবনা থেকে যায়৷ সেটা জেনেওহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢিলেঢালা মনোভাব দেখানোয় তিতিবিরক্ত পুরসভার আধিকারিকরা৷
পুরসভার মশা দমন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘এত প্রচার করার পরও হাসপাতালকর্তৃপক্ষ যদি সতর্ক না হন, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী ভাবে বোঝাব?’পুরসভা সূত্রের খবর, এদিন মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ইডেন ভবনের ছাদেবায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব এবং অ্যাকাডেমিক ভবনের পিছনে এডিস এবং অ্যানোফিলিস, দুই ধরনের মশারই লার্ভা পাওয়া গিয়েছে৷ ডিএল খান রোডের মুখে নির্মীয়মাণ নতুন ভবন, উডবানওয়ার্ডের মাঠে এবং প্রশাসনিক ভবনের পাশে বদ্ধ নর্দমার জলে ডেঙ্গি মশার লার্ভা পাওয়াগিয়েছে৷ জল জমিয়ে রাখায় এসএসকেএম’কে ইতিমধ্যেই মোট চারবার নোটিস ধরানোহয়েছে৷ শেষ নোটিস দেওয়া হয়েছে মাত্র দু’সপ্তাহ আগে৷ কিন্ত্ত তার পরেও জমা জল সরানোরকোনও ব্যবস্থা হয়নি৷ হাসপাতালের তরফে পুরকর্তাদের জানানো হয়েছে , হাসপাতাল ভবনেররক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দপ্তর৷ জমা জল সরানোর দায়িত্ব তাদেরই৷ এ ব্যাপারে পূর্ত দপ্তরকে সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করছে না৷ জল জমানোর অপরাধে আলিপুর জেলভবানী ভবনকেও নোটিস দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ৷ তারাও পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে৷
পূর্ত দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানান , এসএসকেএম কিংবা মেডিক্যাল কলেজের মতো বিশালএলাকায় কোথায় জল জমছে কি না, সেদিকে নজর রাখার মতো পর্যাপ্ত কর্মী তাঁদের হাতে নেই৷
অভিযোগ পেলেই তারা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন, কিন্তু সবক্ষেত্রে পুরো সমাধান৷ ফলে সমস্যা মিটেও মেটে না৷
রাজ্যের আর এক অত্যাধুনিক হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের ছবিটাও মোটের উপর একইরকম৷ সেখানেও জমে থাকা জলে বেড়ে উঠছে মশার লার্ভা৷ সোমবার মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে মশার একাধিক আঁতুড়ঘর আবিষ্কার করেছেন খোদ স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়রপারিষদ অতীন ঘোষ৷ পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশকরেন তিনি৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনও আইনি নোটিস ধরানোহয়নি৷ প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেও এনআরএস হাসপাতালে গিয়েও বৃষ্টির জমা জলে এডিসইজিপ্টাইয়ের লার্ভার সন্ধান পেয়েছিলেন অতীন৷ প্রশ্ন উঠছে, এসএসকেএম, মেডিক্যাল এবং এনআরএসের মতো রাজ্যের নামকরাহাসপাতালের মধ্যেই যদি ডেঙ্গি মশার লার্ভার সন্ধান মেলে , তা হলে শহরের অন্যত্র কী অবস্থাহয়ে রয়েছে? হাসপাতালে রোগী ছাড়াও চিকিত্সক, নার্স, রোগীদের পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিদিন বেশ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন৷ ফলে সেখান থেকে ডেঙ্গি অথবাম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর যথেষ্ট সম্ভবনা থেকে যায়৷ সেটা জেনেওহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢিলেঢালা মনোভাব দেখানোয় তিতিবিরক্ত পুরসভার আধিকারিকরা৷
পুরসভার মশা দমন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘এত প্রচার করার পরও হাসপাতালকর্তৃপক্ষ যদি সতর্ক না হন, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী ভাবে বোঝাব?’পুরসভা সূত্রের খবর, এদিন মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ইডেন ভবনের ছাদেবায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব এবং অ্যাকাডেমিক ভবনের পিছনে এডিস এবং অ্যানোফিলিস, দুই ধরনের মশারই লার্ভা পাওয়া গিয়েছে৷ ডিএল খান রোডের মুখে নির্মীয়মাণ নতুন ভবন, উডবানওয়ার্ডের মাঠে এবং প্রশাসনিক ভবনের পাশে বদ্ধ নর্দমার জলে ডেঙ্গি মশার লার্ভা পাওয়াগিয়েছে৷ জল জমিয়ে রাখায় এসএসকেএম’কে ইতিমধ্যেই মোট চারবার নোটিস ধরানোহয়েছে৷ শেষ নোটিস দেওয়া হয়েছে মাত্র দু’সপ্তাহ আগে৷ কিন্ত্ত তার পরেও জমা জল সরানোরকোনও ব্যবস্থা হয়নি৷ হাসপাতালের তরফে পুরকর্তাদের জানানো হয়েছে , হাসপাতাল ভবনেররক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দপ্তর৷ জমা জল সরানোর দায়িত্ব তাদেরই৷ এ ব্যাপারে পূর্ত দপ্তরকে সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করছে না৷ জল জমানোর অপরাধে আলিপুর জেলভবানী ভবনকেও নোটিস দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ৷ তারাও পূর্ত দপ্তরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে৷
পূর্ত দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানান , এসএসকেএম কিংবা মেডিক্যাল কলেজের মতো বিশালএলাকায় কোথায় জল জমছে কি না, সেদিকে নজর রাখার মতো পর্যাপ্ত কর্মী তাঁদের হাতে নেই৷
অভিযোগ পেলেই তারা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন, কিন্তু সবক্ষেত্রে পুরো সমাধান৷ ফলে সমস্যা মিটেও মেটে না৷