অ্যাপশহর

উৎসবের অ্যালেন পার্কে সম্প্রীতির মিলনমেলা

বহু জায়গায় যখন অসহিষ্ণুতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ, সেই সময়ে সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির উষ্ণতা নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্ক মেতেছে বড় দিনের উৎসবে।

EiSamay.Com 20 Dec 2019, 9:27 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বহু জায়গায় যখন অসহিষ্ণুতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ, সেই সময়ে সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির উষ্ণতা নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্ক মেতেছে বড় দিনের উৎসবে।
EiSamay.Com Park Street celebrating Christmas
আলোয় আলোয় সেলফি।


বড়দিনের অবশ্য এখনও দিন সাতেক বাকি। তবু এখনই অ্যালেন পার্কে পুরোপুরি ‘ফেস্টিভ মুড’। এলইডি আলোর চাঁদোয়ায় ঢাকা, আলো ঝলমলে অ্যালেন পার্ক এখন উৎসবে মাতোয়ারা। গান-বাজনা-খাওয়াদাওয়া আর হইহুল্লোড়ে অ্যালেন পার্ক এখন যেন সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগেই চলছে এই মেলা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাস ট্রি-তে আলো জ্বেলে বড়দিন উৎসবের সূচনা করেন।

তার পর থেকে অনেকেই অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বড়দিনের উৎসবের আমেজ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন অ্যালেন পার্কে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়ও। চাঁদনি চকের সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মী পরিতোষ গোস্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সহকর্মী সুতপা সরকারের সঙ্গে এই পার্কে এসেছিলেন। ঠান্ডায় গরমাগরম চিকেন কাবাব কিনে দু’জন জলযোগ সারলেন। এর পর গানের মঞ্চের দিকে এগোনোর সময়ে সুতপা কিনলেন চারটি চকোলেট। গান শুনতে শুনতে দু’জনে খাবেন বলে। মঞ্চে তখন চলছে একটি ইংরেজি ব্যান্ডের গান।

আবার, বেশি টাকাপয়সা সঙ্গে না-থাকায় ৪০ টাকা দিয়ে একটাই ফিশফ্রাই কিনেছে সোমা, কাকলি, আলো আর মিতা। দক্ষিণ শহরতলির বোড়ালের এই চার কিশোরী অ্যালেন পার্কে আসার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুপুর ২টো নাগাদ। সন্ধ্যা ৭টায় তারা চার জন একটা ফিশফ্রাই চার টুকরো করে খেল। তার পর চার বান্ধবী দু’কাপ কফি কিনে চার ভাগ করে খেয়ে গান শুনতে বসে পড়ল চেয়ারে।

সার্কাস রেঞ্জ থেকে মহম্মদ ইউনুস এসেছিলেন স্ত্রী আর নাতি-নাতনিদের নিয়ে। তাঁর নাতি-নাতনিদের কেউ চড়ছে স্লিপে, কেউ খেলছে পার্কের ঘোরানো চেয়ারে। সেই সময়ে উত্তর কলকাতার হেদুয়ার অলিভিয়া রায় আর তার বন্ধু বসার জায়গা না-পেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিলেন ব্যান্ডের গান। বছর সত্তরের ইউনুস সেটা দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে যুগলকে বসার জায়গা ছেড়ে দিলেন। নাছোড় ইউনুস বসিয়েই ছাড়লেন অলিভিয়া আর তার বন্ধুকে, তার পরে নিজে স্ত্রীর পাশে গিয়ে বসলেন। বৃদ্ধ হাসতে হাসতে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিল, তাই জায়গাটা ছেড়ে দিলাম।’

ট্যাংরার সুদীপ রায় তাঁর বান্ধবী মারিয়া গোমসকে নিয়ে সেলফি তুলছিলেন। তাই, সে দিকে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালেন মাঝবয়সী রীতা খান্না। সেলফি তোলা শেষ হলে রীতা ওই যুগলের উদ্দেশে বললেন, ‘ইউ আর ভেরি নাইস কাপল।’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল