অ্যাপশহর

বর্জ্য পরিষ্কারে গ্রামে ‘শহুরে’ উদ্যোগ

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মিশন নির্মল বাংলা কিংবা স্বচ্ছ ভারত অভিযান যতই হোক , গ্রামেগঞ্জে যত্রতত্র পড়ে থাকে প্লাস্টিক , বোতল , টিনের কৌটো , স্যানিটারি ন্যাপকিন , থার্মোকলের থালা -প্লেট৷ জমে নোংরা জলও৷

EiSamay.Com 14 Nov 2017, 12:10 pm
প্রশান্ত ঘোষ ■ রাজারহাট
EiSamay.Com panchayat samiti arrenged 16 garbage dirt which was cleared of garbage
বর্জ্য পরিষ্কারে গ্রামে ‘শহুরে’ উদ্যোগ

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মিশন নির্মল বাংলা কিংবা স্বচ্ছ ভারত অভিযান যতই হোক , গ্রামেগঞ্জে যত্রতত্র পড়ে থাকে প্লাস্টিক , বোতল , টিনের কৌটো , স্যানিটারি ন্যাপকিন , থার্মোকলের থালা -প্লেট৷ জমে নোংরা জলও৷ ফলে বাড়ছে মশা৷ ইতিমধ্যে শহুরে রোগের তকমা সরিয়ে ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে গ্রামেও৷ শহুরে এলাকায় বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সে সবের বালাই নেই৷ কিন্ত্ত এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার প্রশ্নে রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি আর পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়৷ আপাতত রাজারহাট -বিষ্ণপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদিন ১৬টি করে ময়লার গাড়ি আবর্জনা পরিষ্কারে নেমেছে৷ রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কর্মীরাই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন৷ সেই বর্জ্য জমা হবে ২১১ রোডের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে৷ তা থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য বাছাই করা হবে৷

পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরির কাজ শুরু করেছে সমিতি৷ তা থেকে প্রান্ত জৈব সার মাত্র পাঁচ টাকা কেজি দরে চাষিদের বিক্রি করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয় পোদরার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফলের গাছ লাগানো হয়েছে৷ সমিতির উদ্যোগে পোলট্রিও শুরু হয়েছে৷ উদ্দেশ্য বর্জ্যের মধ্যে অবস্থিত ম্যাগোট জাতীয় পোকা পোলট্রির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা৷ সেই সঙ্গে ফল ও মুরগি থেকে বাড়তি উপার্জন তো রয়েইছে৷ এই কাজে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ১৬ টি ভ্যান -রিকশা কাজে লাগানো হয়েছে৷ রাজারহাটের বিডিও অনির্বাণ দত্ত বলেন , ‘আমাদের ব্লকে দিন দিন জমি কমছে এবং মানুষ বাড়ছে৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণ৷ তাই পরিবেশ দূষণ রুখতে এবং বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ’ রাজ্যের আর কোনও পঞ্চায়েত সমিতি এমন উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করছেন রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির কর্তা-ব্যক্তিরা৷ কিন্ত্ত কেন এমন পদক্ষেপ পঞ্চায়েত সমিতির ? রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন , ‘এ দেশে প্রতি বছর ৬২০ লক্ষ টন বর্জ্য পদার্থ জমে৷ যার মধ্যে ৫৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য৷

কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী , দেশের প্রতিটি নাগরিক প্রত্যহ গড়ে ন্যূনতম ৪০০ গ্রাম করে বর্জ্য তৈরি করেন৷ সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাহাড় প্রমাণ বর্জ্যের আতঙ্ক বাড়ছে এ রাজ্যেও৷ উত্তর ২৪ পরগনার শহর -কেন্দ্রিক এই ব্লকে প্রতিনিয়ত নগরোয়ন্নন ও শিল্পায়নের চাপে জনসংখ্যা বাড়ছে৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাহাড়প্রমাণ বর্জ্য , আবর্জনা ও নিকাশি নালার সংখ্যা৷ একই হারে বাড়ছে মশা এবং অন্যান্য পতঙ্গের উত্পাত৷ সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এই উদ্যোগ৷ ’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল