এই সময়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পথসাথীর হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর । নবান্ন সূত্রের খবর, পথসাথীকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তার খোলনলচে বদলানো হবে। পেশাদারিত্ব আনতে বেসরকারি সংস্থার হাতে পথসাথী পরিচালনার ভার তুলে দিতে চায় পর্যটন দফতর । ঢেলে সাজা হবে পরিকাঠামো। উন্নত হবে পরিষেবার মান। মিলবে অনলাইন বুকিংয়ের সুবিধা। কর্মীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। বসবে সিসিটিভি। জোর দেওয়া হবে পরিচ্ছন্নতার উপর। সেই লক্ষ্যে পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের জন্য কয়েক দিন আগেই টেন্ডার ডেকেছে রাজ্য পর্যটন দফতর । প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী পথসাথীগুলিকে বিভিন্ন 'ক্লাস্টারে' ভাগ করা হবে। তার পর টেন্ডার ডেকে সেগুলিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। পথসাথীর পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে সুপারিশ করবে সংশ্লিষ্ট পরামর্শদাতা সংস্থা। পথসাথীতে সরকারি কর্পোরেশন অথবা স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত ফুড স্টল এবং হস্তশিল্পের দোকান থাকবে। তাদের সঙ্গে সরকারের চুক্তির শর্ত কী হবে, সেটাও ঠিক করবে পরামর্শদাতা সংস্থা।
আইআরটিসি'র (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড কেটারিং) অন্যতম কর্মকর্তা দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি তাঁদের কাছে সে রকম কোনও প্রস্তাব দেয়, তা হলে পথসাথী পরিচালনার জন্য পর্যটন দফতর ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে রাজি আছেন তাঁরা। তাঁর পরামর্শ, পথসাথীর মান উন্নত করতে সেখানকার কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পথসাথীতে যাঁরা রাত কাটাবেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দরকার। 'কোভিড সেফটি'র দিকটিও ভালো করে নজর দিতে হবে। সেখানে যাতে দূরপাল্লার বাস দাঁড়ায়, তারও ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। ভালো করে মার্কেটিং করতে হবে। রুমের ভাড়া হোটেলের থেকে কম রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা ফুড আউটলেট খোলা রাখা।
তিনি বলেন, 'আমেরিকায় হোটেলের থেকে লোকে মোটেল বেশি পছন্দ করে। এখানেও সেটা সম্ভব। কিন্তু করোনার কারণে এখন বাজার খুব মন্দা। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে পথসাথীর ব্যবসা খুব একটা বাড়বে না। পথসাথী যদি ভালো করে চালাতে হয়, তা হলে বেসরকারিকরণ সবথেকে ভালো পথ।'
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, 'পথসাথীতে যারা কাজ করবেন তাদের পেশাদারি প্রশিক্ষণ থাকা দরকার। পথসাথীর অবস্থান সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার হওয়া দরকার। পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া যেতে পারে। দিল্লি-রাজস্থান, ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়ে, বম্বে টু সুরাট হাইওয়ের ধারে মোটেলগুলো খুব ভালো চলে। রোড সাইড ট্যুরিজমের উপর কত মানুষের সংসার চলে। এখানেও সেটা হতে পারে।'
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, 'সরকার যদি পথসাথীগুলোর পরিচালন ভার আমাদের হাতে দেয়, আমরা চালাতে রাজি আছি। আমার মনে হয়, বেসরকারি হাতে দিলেই এগুলো ভালো চলবে। বর্তমানে যে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠী পথসাথী চালাচ্ছে, তাদের পক্ষে এত টাকা খরচ করে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।'
বণিক সংগঠন অ্যাসোচেমের অধিকর্তা পরমিন্দরজিৎ কাউর বলেন, 'এই ধরনের পান্থনিবাস পর্যটন শিল্পের পক্ষে খুবই সহায়ক। এই ধরনের পরিকাঠামো যত গড়ে উঠবে ততই ভালো। আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।' রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী 'এই সময়'কে বলেন, 'কয়েক দিন হলো আমরা পথসাথীর দায়িত্ব পেয়েছি। পথসাথী নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা আলোচনায় বসব। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।'
আইআরটিসি'র (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড কেটারিং) অন্যতম কর্মকর্তা দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি তাঁদের কাছে সে রকম কোনও প্রস্তাব দেয়, তা হলে পথসাথী পরিচালনার জন্য পর্যটন দফতর ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে রাজি আছেন তাঁরা। তাঁর পরামর্শ, পথসাথীর মান উন্নত করতে সেখানকার কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পথসাথীতে যাঁরা রাত কাটাবেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দরকার। 'কোভিড সেফটি'র দিকটিও ভালো করে নজর দিতে হবে। সেখানে যাতে দূরপাল্লার বাস দাঁড়ায়, তারও ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। ভালো করে মার্কেটিং করতে হবে। রুমের ভাড়া হোটেলের থেকে কম রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা ফুড আউটলেট খোলা রাখা।
তিনি বলেন, 'আমেরিকায় হোটেলের থেকে লোকে মোটেল বেশি পছন্দ করে। এখানেও সেটা সম্ভব। কিন্তু করোনার কারণে এখন বাজার খুব মন্দা। তাই আগামী এক বছরের মধ্যে পথসাথীর ব্যবসা খুব একটা বাড়বে না। পথসাথী যদি ভালো করে চালাতে হয়, তা হলে বেসরকারিকরণ সবথেকে ভালো পথ।'
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, 'পথসাথীতে যারা কাজ করবেন তাদের পেশাদারি প্রশিক্ষণ থাকা দরকার। পথসাথীর অবস্থান সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার হওয়া দরকার। পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া যেতে পারে। দিল্লি-রাজস্থান, ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়ে, বম্বে টু সুরাট হাইওয়ের ধারে মোটেলগুলো খুব ভালো চলে। রোড সাইড ট্যুরিজমের উপর কত মানুষের সংসার চলে। এখানেও সেটা হতে পারে।'
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, 'সরকার যদি পথসাথীগুলোর পরিচালন ভার আমাদের হাতে দেয়, আমরা চালাতে রাজি আছি। আমার মনে হয়, বেসরকারি হাতে দিলেই এগুলো ভালো চলবে। বর্তমানে যে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠী পথসাথী চালাচ্ছে, তাদের পক্ষে এত টাকা খরচ করে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।'
বণিক সংগঠন অ্যাসোচেমের অধিকর্তা পরমিন্দরজিৎ কাউর বলেন, 'এই ধরনের পান্থনিবাস পর্যটন শিল্পের পক্ষে খুবই সহায়ক। এই ধরনের পরিকাঠামো যত গড়ে উঠবে ততই ভালো। আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।' রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী 'এই সময়'কে বলেন, 'কয়েক দিন হলো আমরা পথসাথীর দায়িত্ব পেয়েছি। পথসাথী নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা আলোচনায় বসব। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।'