অ্যাপশহর

যোগ দিবসে পড়ুয়ার তিন প্রজন্মকে সামিলের বার্তা

শুধু পড়ুয়ায় রক্ষে নেই, এ বার তাদের বাবা -মা , ঠাকুরদা -ঠাকুমাকেও যোগ দিবসের মঞ্চে টেনে আনার নিদান দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি৷

EiSamay.Com 11 Jun 2017, 11:26 am
এই সময়: শুধু পড়ুয়ায় রক্ষে নেই, এ বার তাদের বাবা -মা , ঠাকুরদা -ঠাকুমাকেও যোগ দিবসের মঞ্চে টেনে আনার নিদান দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি৷ ৯ জুন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে ইউজিসি জানিয়েছে , ২১ জুন যোগ দিবস পালনে তিন প্রজন্মকে সামিল করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে৷ চিঠি পেয়ে রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছন রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তারা৷ এ দফায় চিঠির ভাষায় ‘চেষ্টা করা ’র কথা বলা হলেও আশঙ্কার মূলে রয়েছে ইদানীং বিভিন্ন বিষয়ে ইউজিসির বিধি প্রণয়নের প্রবণতা
EiSamay.Com on june 21 to be involved in the celebration of the joint day three generation will be zealous
যোগ দিবসে পড়ুয়ার তিন প্রজন্মকে সামিলের বার্তা


প্রকারান্তরে যা স্বাধিকার হরণেরই সামিল বলে মনে করছেন অনেকে৷ ভর্তির সময় আধার বাধ্যতামূলক করা , শিক্ষক দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শোনানো , একমাত্র ডিজিটাল ব্যবস্থাতেই ফি জমা নেওয়ার মতো নিত্য -নতুন নিদানের নজির টানছেন শিক্ষামহল৷ সে সব মানাও যে রীতিমতো দুঃসাধ্য , কবুল করছেন অনেকেই৷ কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পর থেকেই গত দু’বছর ধরে মহা সমারোহে যোগ দিবস পালন করা হচ্ছে৷ আইআইটি , আইআইএমের মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই এই অনুষ্ঠান করে আসছে৷ আর পাঁচটা বিষয়ের মতো যোগ দিবস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরাসরি কোনও আপত্তি না থাকায় রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিতে তেমন জাঁক-জমক না হলেও নিয়ম মাফিক পালন হয়৷ কিন্ত্ত তিন প্রজন্মকে জোগাড় করে যোগ দিবস পালনের নিদান কতটা বাস্তবসম্মত , তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে৷

এটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে পড়ে কিনা-তা নিয়েও অনেকে সরব৷ যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ বলছেন , ‘আমাদের শারীরশিক্ষা বিভাগ প্রতি বছরই যোগ দিবস পালন করছে৷ কিন্ত্ত বাবা -মা , দাদু-ঠাকুমাকে এই অনুষ্ঠানে হাজির করানো কতটা সম্ভব হবে বলা যাচ্ছে না৷ ’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘এটা কি স্কুল নাকি? ছেলেমেয়েরা সব প্রান্তবয়স্ক৷ অভিভাবকদের ডেকে আনার সার্থকতা কী ? এটা আমাদের কাজের মধ্যেও পড়ে না৷ ’ প্রেসিডেন্সির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার মন্তব্য , ‘ইউজিসি বলেছে যখন বাবা -মায়েদের একটা করে চিঠি পাঠিয়ে দেব৷ কিন্ত্ত কাউকে জোর করতে পারব না৷ ’ টিভি -বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ , যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ও মানছেন , ‘যোগ দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ কিন্ত্ত বাস্তবসম্মত উপায়ে তা করতে বলা হলে ভালো৷ ছেলেমেয়েরাই তো যোগ শিখছে৷ তারাই না হয় বাড়ি গিয়ে বাবা -মায়েদের শেখাবে৷ এই পর্যন্ত থাকলেই ভালো হত৷ ’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল