অ্যাপশহর

শুরু হবে ভাঙা, ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে পুরোপুরি বন্ধ টালা ব্রিজ

টালা ব্রিজের বিকল্প লেভেল ক্রসিং নিয়ে কাজ চলছে। পুরনো চিৎপুর ব্রিজের পাশে তৈরি হচ্ছে এই লেভেল ক্রসিং। নতুন লেভেল ক্রসিংয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে রেল। তবে এটি নির্মাণের খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে। এ জন্য খরচ হচ্ছে ১৪ কোটি টাকা।

EiSamay.Com 24 Jan 2020, 11:32 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জীর্ণ টালা ব্রিজ ভাঙা হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। দফায় দফায় দিন বদলের পরে অবশেষে আগামী ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই টালা ব্রিজে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেএমডিএ। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে শুক্রবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে, যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরেই শুরু হবে প্রাচীন এই ব্রিজ ভাঙার কাজ। টালা ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৮০০ মিটার। এটি ভাঙতে আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
EiSamay.Com tala bridge


পাশাপাশি টালায় নতুন ব্রিজ তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে সরকার। নতুন ব্রিজ হবে ৪ লেনের হবে। এটি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ইতোমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার শর্ত দেওয়া হয়েছে দরপত্রে।

টালা ব্রিজের বিকল্প লেভেল ক্রসিং নিয়ে কাজ চলছে। পুরনো চিৎপুর ব্রিজের পাশে তৈরি হচ্ছে এই লেভেল ক্রসিং। নতুন লেভেল ক্রসিংয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে রেল। তবে এটি নির্মাণের খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে। এ জন্য খরচ হচ্ছে ১৪ কোটি টাকা।

টালা ব্রিজের কারণে ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে বাস চলাচলের রুট। ব্রিজ বা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট নতুন পরিবর্তিত পথে চলছে। ব্যারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক- নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারের রাস্তায় চলাচল করছে। অন্যদিকে, কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরমুখী বাস শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়া মোড় হয়ে বি টি রোডে এসে উঠছে।

শুধু তাই নয়, নতুন টালা ব্রিজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ছোটছোট রুটে অটো চালানো ব্যবস্থা করেছে সরকার। এ ছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে কলকাতার দিকে আসতে আর এখন নিবেদিতা সেতু ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পরিবর্তে পণ্যবাহী লরি দ্বিতীয় হুগলি সেতু অথবা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে টালা ব্রিজ দিয়ে বাস-লরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দফায় দফায় পরীক্ষার পর শেষপর্যন্ত টালা ব্রিজ ভাঙার পক্ষেই রায় দিয়েছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সংস্থা। এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন সেতু গড়ার কাজ শুরু করতে হবে। এমনকী এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে নতুন ব্রিজের কাজ। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও তা কতটা সম্ভব, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল