এই সময় : সিবিআই ধরপাকড়ে গতি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোজভ্যালি মামলায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের রায় সামান্য স্বস্তি দিতে পারে আমানতকারীদের৷ আবার আইকোর -এ টাকা রেখে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণের জন্যও এ দিনই তালুকদার কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে আদালত৷ বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ রোজভ্যালি ও তার ডিরেক্টরদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি এবং কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ পাশাপাশি , হাইকোর্ট ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে , রোজভ্যালির যত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বা আরও যত সম্পত্তি চিহ্নিত হয়েছে --তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে৷ একই ভাবে সিবিআই এবং সেবি -কেও রোজভ্যালির সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকলে তা লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের মামলাটি উঠবে৷
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেই বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ প্রথম রোজভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত আদালতের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে ইডি৷ সেই মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে৷ যদিও এ দিন বিচারপতি বসু ও বিচারপতি বাগচির বেঞ্চের নির্দেশের পর আর পুরোনো কোনও নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না বলেই মত আইনজীবীদের৷
অন্য দিকে মঞ্জুলা চেল্লুর প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে আমানতকারীদর টাকা ফেরাতে কমিটি গড়ে দেয় হাইকোর্ট৷ সেই কমিটি এমপিএস -সহ অন্য সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করে বিক্রি করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলে হাইকোর্ট৷ কিন্ত্ত সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ইডি৷ তবে তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ এ দিন হাইকোর্টে আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য রোজভ্যালির সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থাপন করলে আদালত নির্দেশ দেয় , রোজভ্যালি ও তার ডিরেক্টরদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি বা কেনাবেচা যেন না হয়৷ সম্প্রতি ইডি -র তরফে রোজভ্যালির ১২৫০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করা হয়েছে৷ তার বাইরেও বিভিন্ন রাজ্যে আরও বহু সম্পত্তি রয়েছে৷ সেই সব সম্পত্তি খুঁজে বের করে দ্রুত তার হিসেব দিলে পরবর্তীতে তালুকদার কমিটির মাধ্যমে তা বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে আমনতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান৷
এ দিনই হাইকোর্ট আর এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর -এর সব সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তালুকদার কমিটির হাতেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছে৷ ফলে এ রাজ্যে এমপিএসের পরে হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটির মাধ্যমে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইকোর -এর আমানতকারীরাও উপকৃত হবেন৷ আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন , বাজারে তাদের ৯০০ কোটি বকেয়া রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে আইকোর৷ আবার তাদের যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তা বিক্রি করে ওই টাকা ফেরত দেওয়া যাবে বলেই দাবি ওই সংস্থার৷ এ দিন আদালত তালুকদার কমিটিকে আইকোর -এর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব করতে বলেছে৷
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেই বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ প্রথম রোজভ্যালির সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে দিয়েছিল৷ কিন্ত্ত আদালতের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে ইডি৷ সেই মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে৷ যদিও এ দিন বিচারপতি বসু ও বিচারপতি বাগচির বেঞ্চের নির্দেশের পর আর পুরোনো কোনও নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না বলেই মত আইনজীবীদের৷
অন্য দিকে মঞ্জুলা চেল্লুর প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে আমানতকারীদর টাকা ফেরাতে কমিটি গড়ে দেয় হাইকোর্ট৷ সেই কমিটি এমপিএস -সহ অন্য সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করে বিক্রি করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলে হাইকোর্ট৷ কিন্ত্ত সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ইডি৷ তবে তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ এ দিন হাইকোর্টে আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য রোজভ্যালির সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থাপন করলে আদালত নির্দেশ দেয় , রোজভ্যালি ও তার ডিরেক্টরদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি বা কেনাবেচা যেন না হয়৷ সম্প্রতি ইডি -র তরফে রোজভ্যালির ১২৫০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করা হয়েছে৷ তার বাইরেও বিভিন্ন রাজ্যে আরও বহু সম্পত্তি রয়েছে৷ সেই সব সম্পত্তি খুঁজে বের করে দ্রুত তার হিসেব দিলে পরবর্তীতে তালুকদার কমিটির মাধ্যমে তা বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে আমনতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান৷
এ দিনই হাইকোর্ট আর এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর -এর সব সম্পত্তি বাজেয়ান্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তালুকদার কমিটির হাতেই দায়িত্ব তুলে দিয়েছে৷ ফলে এ রাজ্যে এমপিএসের পরে হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটির মাধ্যমে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইকোর -এর আমানতকারীরাও উপকৃত হবেন৷ আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন , বাজারে তাদের ৯০০ কোটি বকেয়া রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে আইকোর৷ আবার তাদের যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তা বিক্রি করে ওই টাকা ফেরত দেওয়া যাবে বলেই দাবি ওই সংস্থার৷ এ দিন আদালত তালুকদার কমিটিকে আইকোর -এর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব করতে বলেছে৷