এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেমূল তত্ত্ব (Bijemool) নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। তৃণমূল নাকি BJP? কে বড় শত্রু? এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন বাম নেতারা। আর এবার সরাসরি প্রকাশ্যে চলে এল সূর্য-সেলিম মতপার্থক্য। মুজফফর আহমেদের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূল ও BJP-কে এক সারিতে রেখে চলা নিয়ে ভুল স্বীকার করলেন CPIM রাজ্য সম্পাদক। আর সেখানেই সূর্যকান্তের (Surjya Kanta Mishra) বক্তব্য উড়িয়ে বিজেমূল তত্ত্বেই অনড় রইলেন মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। আর এতেই প্রকাশ্যে এল আলিমুদ্দিনের অন্দরের মতবিরোধ। এদিন প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে প্রথমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একে একে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান (Biman Bose) এবং CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক বুঝিয়ে দেন তাঁদের ‘বড় শত্রু’ আসলে BJP-ই। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ও BJP-কে এক ব্র্যাকেটে ফেল যে চরম ভুল, তা কার্যত ঠারেঠরে বুঝিয়ে দেন বিমান-সূর্য। দু'জনেই স্পষ্ট জানান, তাঁরা এই দুই দলকে এক চোখে দেখেন না। এমনকী, এও পরিষ্কার করে দেন, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে BJP বিরোধীতায় তৃণমূলের সঙ্গ দিতেও সমস্যা নেই বামেদের।
শেষে বক্তব্য রাখতে ওঠেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। নিজের বক্তব্যে বারবার সূর্য-বিমান (দা)-র নাম করলেও, তিনি যে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে গাইলেন, তা বুঝিয়ে দিলেন সেলিম। কাকাবাবুর জন্মদিনে CPIM-র দুই শীর্ষ নেতার মন্তব্য কার্যত উড়িয়ে সেলিমের দাবি, 'এখন অনেকে বলছেন বিজেমূল তত্ত্ব ভুল। নিজাম প্যালেস থেকে CBI-ED করে শঙ্কর প্রজাতির রাজনীতি ধরা পড়েনি। বক কচ্ছপ আলাদা। কিন্তু সুকুমার রায় বকচ্ছপ শব্দটা উল্লেখ করেছেন, হাঁসজারু শব্দটা উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেস-নকশাল জয়েন্ট অপারেশনের সময় আমরাও কংশাল শব্দটা প্রয়োগ করেছি। গরু এবং গাড়ি আলাদা হলেও দুটোর একটা জায়গায় মেশে গরুরগাড়ি হিসাবে। দুটো আলাদা উদ্দেশ্য হলেও বিষয়টা এক। ত্রিপুরায় মানিক সরকারকে সরাতে এক হয়নি? আজ আবার ২০২৩-এর আগে আলাদা হচ্ছে।' তাঁর এই বক্তব্যের পরেই প্রকাশ্যে চলে আসে সূর্য-সেলিম দ্বন্দ্ব। রাজ্যে শূন্যে নেমে আসার পরও সেলিম যে এখও পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছেন, তা ফের একবার বুঝিয়ে দেন তিনি।
এদিন মমতাকে বিঁধে সেলিম বলেন, 'তিনি তো RSS-কে দেশপ্রেমিক বলেছেন, তাই BJP এ রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।' এই নিয়েও সূর্যকান্তের গলায় শোনা গিয়েছে অন্য সুর। CPIM রাজ্য সম্পাদকের কথায়, 'হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমরাই বলেছি দুই দল একসঙ্গে ঘর করেছে। কিন্তু, এবারের বিধানসভায় তাঁরা এক হয়ে লড়েনি। BJP-তৃণমূল একে অপরকে হারানোর জন্যই লড়েছে।' দুই নেতার এই কাজিয়া কর্মী-সমর্থকরা যে খুব একটা ভালোভাবে নেবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ প্রসঙ্গে বিমান বসুর অবশ্য মন্তব্য, ‘পার্টির তরফে এই মর্মে কোনও দলিল বা প্রস্তাব নেই। বিজেমূল নিয়ে পার্টির কোনও থিওরি কোনওদিন ছিল না। হতেও পারে না। দলের কেউ কেউ এটা বলেছেন। মিডিয়া সেটা লুফে নিয়েছে। এখন আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’
শেষে বক্তব্য রাখতে ওঠেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। নিজের বক্তব্যে বারবার সূর্য-বিমান (দা)-র নাম করলেও, তিনি যে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে গাইলেন, তা বুঝিয়ে দিলেন সেলিম। কাকাবাবুর জন্মদিনে CPIM-র দুই শীর্ষ নেতার মন্তব্য কার্যত উড়িয়ে সেলিমের দাবি, 'এখন অনেকে বলছেন বিজেমূল তত্ত্ব ভুল। নিজাম প্যালেস থেকে CBI-ED করে শঙ্কর প্রজাতির রাজনীতি ধরা পড়েনি। বক কচ্ছপ আলাদা। কিন্তু সুকুমার রায় বকচ্ছপ শব্দটা উল্লেখ করেছেন, হাঁসজারু শব্দটা উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেস-নকশাল জয়েন্ট অপারেশনের সময় আমরাও কংশাল শব্দটা প্রয়োগ করেছি। গরু এবং গাড়ি আলাদা হলেও দুটোর একটা জায়গায় মেশে গরুরগাড়ি হিসাবে। দুটো আলাদা উদ্দেশ্য হলেও বিষয়টা এক। ত্রিপুরায় মানিক সরকারকে সরাতে এক হয়নি? আজ আবার ২০২৩-এর আগে আলাদা হচ্ছে।' তাঁর এই বক্তব্যের পরেই প্রকাশ্যে চলে আসে সূর্য-সেলিম দ্বন্দ্ব। রাজ্যে শূন্যে নেমে আসার পরও সেলিম যে এখও পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছেন, তা ফের একবার বুঝিয়ে দেন তিনি।
এদিন মমতাকে বিঁধে সেলিম বলেন, 'তিনি তো RSS-কে দেশপ্রেমিক বলেছেন, তাই BJP এ রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।' এই নিয়েও সূর্যকান্তের গলায় শোনা গিয়েছে অন্য সুর। CPIM রাজ্য সম্পাদকের কথায়, 'হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমরাই বলেছি দুই দল একসঙ্গে ঘর করেছে। কিন্তু, এবারের বিধানসভায় তাঁরা এক হয়ে লড়েনি। BJP-তৃণমূল একে অপরকে হারানোর জন্যই লড়েছে।' দুই নেতার এই কাজিয়া কর্মী-সমর্থকরা যে খুব একটা ভালোভাবে নেবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ প্রসঙ্গে বিমান বসুর অবশ্য মন্তব্য, ‘পার্টির তরফে এই মর্মে কোনও দলিল বা প্রস্তাব নেই। বিজেমূল নিয়ে পার্টির কোনও থিওরি কোনওদিন ছিল না। হতেও পারে না। দলের কেউ কেউ এটা বলেছেন। মিডিয়া সেটা লুফে নিয়েছে। এখন আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’