অ্যাপশহর

ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, এবার বলি বেলঘড়িয়ার শ্রমিক

টানা বৃষ্টিতে জমা জল বৃষ্টি থামার দুদিন পরও থামেনি। জমে থাকা জলেই রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে ঘটছে একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এই নিয়ে গত তিনদিনে ৮ জনের মৃত্য়ু হল...

Lipi 23 Sep 2021, 6:03 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জমা জলের বলি আরও এক প্রাণ। খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ার পর ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কারখানার শ্রমিকের। আজ সকালে বেলঘড়িয়া টেক্সমেকো কারখানায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন ওই কারখানার শ্রমিক সোনা রায়।
EiSamay.Com deadbody representative indiatimes


৪০ বছর বয়সী ওই শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল কারখানা চত্বর। মৃত শ্রমিকের সহকর্মীদের অভিযোগ, জমা জলের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের কাজ করায়। পরিবারের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বহীনতার কারণেই আজকের এই দুর্ঘটনা। কারখানা কর্তৃপক্ষ জোর করে কাজ করানোর ফলে এই কারখানার ভেতরে জমে থাকা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের শ্রমিকের। এ নিয়ে রাজ্যে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল আট জনের।

বুধবার সন্ধেতেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় দুই কিশোরীর। গতকাল সন্ধ্যায় দমদম বান্ধবনগরে এলাকা গিয়ে হাঁটছিল দুই বন্ধু- শ্রেয়া ও অনুষ্কা। আচমকা একজনের হাত লাইটপোস্টে পড়তেই ঘটে যায় বিপত্তি। একজনের হাত লাইটপোস্টে আটকে যায় এবং মুখ থেকে গ্যাজা বেরোতে শুরু করে। তাকে স্পর্শ করায় আরেকজন ছিটকে জলমগ্ন রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিকাশ দাস বলেন, ‘সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ দুটো বাচ্ছা খেলতে-খেলতে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে দুধের গাড়ি চলে আসায় পাশ কাটাতে গিয়ে একজনের হাত লাইটপোস্টে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সে ছিটকে পড়ে। তাকে বাঁচাতে গেলে আরেকজন পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।’

খবর পেয়েই দমদম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শ্রেয়া ও অনুষ্কাকে উদ্ধার করে আর.জি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকা জলমগ্ন হওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছেন বান্ধবনগরের প্রবীণ বাসিন্দা কৃষ্ণ বনিক। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই বৃষ্টি হলে এলাকায় জল জমে যায়। তবে এবারে বেশি জম জমেছে। লাইটপোস্টের গোড়ায় হয়ত শর্ট সার্কিট হয়েছিল। বাচ্ছা দুটি বুঝতে না পারায় অকালে চলে যেতে হল।’

অনুষ্কা এবং শ্রেয়ার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের নিশানায় পুর প্রশাসনও। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারও খড়দায় ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দুই নাবালিকার মৃত্যু ঘটল। বৃহস্পতিবারও এই নিয়ে নতুন করে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল