কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলনের পথেও হেঁটেছেন তাঁরা। দিন দিন আন্দোলনের ধার বাড়াচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টের অনুষ্ঠানে ফের একবার রাজ্য সরকারি কর্মী যাঁরা DA-র দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। DA আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ঠিক কী বার্তা?
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নয় অধিকার দেওয়ার পক্ষে। তবে তা অবশ্যই ন্যায্য বক্তব্য হতে হবে। কেন্দ্র রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। বামেরা এত ধার করে রেখে গিয়েছে। এই সরকার ধার শোধ করছে। একইসঙ্গে এখন ১ তারিখে বেতন এবং পেনশেনও দেওয়া হয়। যে সরকার এত মানবিক সেই সরকার নিয়ে ভাবেন না!”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, “রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। ষষ্ঠ পে কমিশন যে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার তা দিয়েছে। আপনারা যদি ভাবেন রাজ্য সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন তা তো হয় না! রাজ্য স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। এত কিছু করা হচ্ছে। আমি জীবনে জেনে শুনে অন্যায় করিনি।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্ট জয় হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু, এই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ধরনা, ধর্মঘট, আন্দোলনের পথে হাঁটছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই অনশন চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরেই রাজভবনে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের একাংশ। রাজ্যপাল তাঁদের জানান, তিনি মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান প্রয়োজন, জানান সিভি আনন্দ বোস।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। নিজেদের দাবির বিষয়ে জানাতে চান। যদি সেই আবেদনে রাজ্য সাড়া না দেয় সেক্ষেত্রে অনশন প্রত্যাহার তাঁরা করবেন না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ্য বাজেটের দিন তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, এরপরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। বরং তাঁদের ‘ভিক্ষে দেওয়া হচ্ছে’, এই দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। এরপরেই তাঁরা আরও জোর বাড়ান আন্দোলনের। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নয় অধিকার দেওয়ার পক্ষে। তবে তা অবশ্যই ন্যায্য বক্তব্য হতে হবে। কেন্দ্র রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। বামেরা এত ধার করে রেখে গিয়েছে। এই সরকার ধার শোধ করছে। একইসঙ্গে এখন ১ তারিখে বেতন এবং পেনশেনও দেওয়া হয়। যে সরকার এত মানবিক সেই সরকার নিয়ে ভাবেন না!”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, “রাজ্য সরকার রাজ্য সরকারের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। ষষ্ঠ পে কমিশন যে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার তা দিয়েছে। আপনারা যদি ভাবেন রাজ্য সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন তা তো হয় না! রাজ্য স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। এত কিছু করা হচ্ছে। আমি জীবনে জেনে শুনে অন্যায় করিনি।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্ট জয় হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু, এই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ধরনা, ধর্মঘট, আন্দোলনের পথে হাঁটছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই অনশন চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপরেই রাজভবনে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের একাংশ। রাজ্যপাল তাঁদের জানান, তিনি মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান প্রয়োজন, জানান সিভি আনন্দ বোস।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। নিজেদের দাবির বিষয়ে জানাতে চান। যদি সেই আবেদনে রাজ্য সাড়া না দেয় সেক্ষেত্রে অনশন প্রত্যাহার তাঁরা করবেন না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ্য বাজেটের দিন তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, এরপরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের। বরং তাঁদের ‘ভিক্ষে দেওয়া হচ্ছে’, এই দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। এরপরেই তাঁরা আরও জোর বাড়ান আন্দোলনের। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।