এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Westbengal Governor Jagdeep Dhankhar) বনাম রাজ্য সরকার সংঘাত অব্যাহত। এই আবহে কি রাজ্যপালকে সরানো হচ্ছে? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'ওঁকে সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ২-৩ বার চিঠি লিখেছি'।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বারবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫০ জন BJP বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তার পরের দিনই দিল্লি উড়ে যান রাজ্যপাল। অন্যদিকে, একুশের নির্বাচন পরবর্তী বাংলায় (Westbengal) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে সোচ্চার হন দুই BJP নেতা। ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে সরব হন ব্যারাকপুরের BJP সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। অর্জুন সিং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছি, আইন অনুযায়ী ৩৫৬ ধারা জারি করুন'। অন্যদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, '৩৫৬ ধারা যেসব কারণে লাগু করা হয়, তার থেকেও খারাপ অবস্থা বাংলায়'।
কিছুদিন আগে কার্যত পরোক্ষে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্যপালের গলায়। নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনের গ্রেফতারি ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে কলকাতায়। নিজাম প্যালেসে CBI দফতরের সামনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো টুইটারে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন,'এই নৈরাজ্যের পরিণতি কী হতে পারে, আশা করি আপনারা সেটা বুঝতে পারছেন'।এই ঘটনায় যেভাবে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, তা নিয়ে রাজ্যপালের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। টুইট বার্তায় তাহলে কীসের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল? তাহলে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে? এমন চর্চাও চলে রাজ্য রাজনীতিতে। এই আবহে ধনখড়ের দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলায় কোনও রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে না। বিজেপির গিমিক ভায়োলেন্স।বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির জমি বিক্রি করে দেব নাকি। আমাদের এখানে কোনও গন্ডগোল নেই। দিল্লির পুলিশের থেকে আমাদের পুলিশ ভালো কাজ করে'।