অ্যাপশহর

ফেসবুক লাইভে উষ্মা, পরে ভুল বুঝলেন মদন

সকালের রাগই বদলে গেল বিকেলে.. প্রথমে ফেসবুক লাইভে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেও পরে রাজ্যের ১ নম্বর সরকারি সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নিয়ে নিজের মন্তব্য বদলে ফেললেন মদন মিত্র... এমনকী হল যাতে এই মত পরিবর্তন! জানতে পড়ুন....

Ei Samay 12 Feb 2021, 12:05 pm
এই সময়: এসএসকেএম হাসপাতালে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য হলঘর মেলেনি। তারপরেই বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে (Facebook Live) হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল বিষোদ্গার করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। রাজ্যের ১ নম্বর সরকারি সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অধিকর্তার দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবার, ঘণ্টাকয়েকের মধ্যে 'ভুল বোঝাবুঝি'র কথা বলে দুঃখপ্রকাশও করেন রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী।
EiSamay.Com madan mitra
মদন মিত্র (File Photo)


এ দিন এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়েই ফেসবুক লাইভ করেন মদন। সেখানে তিনি দাবি করেন, 'পিজি এখন আর মানবদরদী নেই। মানববিরোধী হয়ে উঠছে।' এবং এ জন্য পিজি-র অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁকে পিজি-ছাড়া করার আন্দোলনের ডাকও দেন। জনপ্রিয় তৃণমূল (TMC) নেতার অনুগামীর সংখ্যা বিশেষ কম নয় বলে সে পোস্ট ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। শাসকদলের জন্য তা খানিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিকেলেই বিষয়টিকে 'ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে' বলে জানান মদন। তবে এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অধিকর্তা। সূত্রের খবর, মণিময়কে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

'জয় শ্রীরাম কি পাকিস্তানে বলব?' হিন্দু তাসে শাহের মুখে 'চলো পাল্টাই' ডাক

ঘটনার সূত্রপাত এসএসকেএমের (SSKM Hospital )প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াদের মিটিং ঘিরে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুগামী ওই প্যারামেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও মিটিংয়ের জন্য হলঘর পাননি। এমনকী, রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাসকে দিয়ে অধিকর্তাকে ফোন করিয়েও লাভ হয়নি বলে উষ্মাপ্রকাশ করেন মদন। ফলে হাসপাতাল চত্বরেই তাঁকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে মিটিং সারতে হয়। চটে গিয়ে ফেসবুক লাইভে মদন একের পর এক অভিযোগ তোলেন অধিকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালকে গোটা দেশে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও অধিকর্তা পরিকল্পনা করে একে তৃণমূল-বিরোধী হিসাবে গড়ে তুলছেন।

সন্ধ্যায় অবশ্য মদন জানান, দু'-একটি টেন্ডার নিয়ে ভুল বুঝেছিলেন তিনি। সে জন্যই রুষ্ট হয়েছিলেন অধিকর্তার প্রতি। পরে উপলব্ধি করেন, তিনিই আদতে ভুল বুঝেছেন। এ-ও বুঝেছেন যে চাইলেই সব সময় চট করে হলঘর না-ই মিলতে পারে।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।

পরের খবর