কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন কৌস্তুভ বাগচি (Koustav Bagchi)? নেতার একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শীঘ্রই বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি। কিন্তু, কেন আচমকা দলের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হল তাঁর?
এদিকে, সাগরদিঘি উপ নির্বাচন ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ত্রিমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করেই নির্বাচনে লড়ছে। আর তাতেই এখন উপনির্বাচনের সম্মুখ সমরে সামনে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল আর অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস।
ফেসবুকে কী লিখেছেন কৌস্তুভ বাগচি
আইনজীবী তথা কংগ্রেসের নেতা কৌস্তুভ বাগচি তাঁর ফেসবুক পোস্টে (Koustav Bagchi Facebook Post) লিখেছেন, "কংগ্রেস ছাড়ার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না। কিন্তু, সম্মানের সঙ্গে এই দল করাটা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে কারণ আমার পক্ষে স্তাবকতা সম্ভব না।" একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, "খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।"কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত?
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে AICC-র সদস্য তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে মোট ৬৮ জন নির্বাচিত সদস্য রয়েছে। ২০ জনকে রাখা হয়েছে কোয়াপ্ট তালিকায়। কিন্তু, কোনও তালিকাতেই নাম নেই কৌস্তুভের। জানা গিয়েছে, AICC-র এই সদস্য তালিকা তৈরি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান এবং মনোজ চক্রবর্তীরা। তাহলে কী এই তালিকা থেকে বাদ পড়াতেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কৌস্তুভ? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।তবে কি দলবদল করবেন কৌস্তুভ বাগচি?
সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, "হয়ত রাজনীতি ছেড়ে পুরোপুরি পেশায় মনোনীবেশ করতে পারি। দলে থেকেই আমি পি চিদম্বরমের বিরদ্ধে বিক্ষওভ দেখিয়েছিলাম। দল ছাড়িনি। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। দলে থেকেও দলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারি। আবার রাজনৈতিক পসিবিলিটি এক্সপ্লোর করতে পারি। তবে ঠিক কী করব, তা এখনও চিন্তাভাবনা করিনি। স্তাবকতা মেনে চলতে পারব না। এখন কোন দল করব, সেইসব ভাবিনি। আমি আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ।" রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, দলের তৈরি সদস্যদের তালিকা না পসন্দ কৌস্তুভ বাগচির। আর সেই থেকেই এই ক্ষোভ। সে ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে অন্য কোনও দল যোগাযোগ করেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।এদিকে, সাগরদিঘি উপ নির্বাচন ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ত্রিমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করেই নির্বাচনে লড়ছে। আর তাতেই এখন উপনির্বাচনের সম্মুখ সমরে সামনে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল আর অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস।