অ্যাপশহর

শেষ পর্যন্ত পার্থর দেহ নিলেন কাকা, দাহ কেওড়াতলায়

আত্মহত্যা করার চার দিনের মাথায় রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল কাণ্ডে ‘অভিযুক্ত’ পার্থ দে -র মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেলেন তাঁর কাকা অরুণ দে৷

EiSamay.Com 25 Feb 2017, 12:09 pm
এই সময় : আত্মহত্যা করার চার দিনের মাথায় রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল কাণ্ডে ‘অভিযুক্ত’ পার্থ দে -র মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেলেন তাঁর কাকা অরুণ দে৷ শুক্রবার সকালে তিনি প্রথমে ওয়াটগঞ্জ থানায় গিয়ে কাগজপত্র নিয়ে তার পর এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে যান৷ পুলিশ সূত্রের খবর , বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ফাদারের সঙ্গে অরুণ দে থানায় গিয়ে তাঁর সম্মতির কথা জানিয়ে এসেছিলেন৷ ফলে পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্ত্ততি নিয়ে রাখা হয়েছিল৷ এসএসকেএম থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের একটি চার্চে৷
EiSamay.Com kolkatas house of horrors lonely even in death partha des body reached at keoratala burning ghat
শেষ পর্যন্ত পার্থর দেহ নিলেন কাকা, দাহ কেওড়াতলায়


সেখানে প্রার্থনার পর সোজা কেওড়াতলা শ্মশানঘাটে৷ মর্গে অরুণ দে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন , ভাইপোর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেই আগে যোগাযোগ করতে পারেননি৷ আপনার সঙ্গে কি পার্থ দে -র যোগাযোগ ছিল ? অরুণ দে জানান , ‘যোগাযোগ ছিল৷ কিন্ত্ত আমি ওই ফ্ল্যাটে কখনও যাইনি৷ ’পুলিশ সূত্রে এ দিন দাবি করা হয়েছে , তাঁরা আগেই যোগাযোগ করেছিলেন পার্থর পরিজনের সঙ্গে৷ কিন্ত্ত তখন কোনও আত্মীয়ই আগ্রহ দেখাননি৷ সে জন্য তাঁরা মর্গে সাত দিন মৃতদেহ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ কিন্ত্ত ঘটনা বদলাতে থাকে এর পরেই৷ যিনি পার্থকে ২৪ ঘণ্টা নজরে রাখতেন , সেই ফাদার রডনি নিজে উদ্যোগ নেন৷ তিনি যোগাযোগ করেন পার্থর আত্মীয়দের সঙ্গে৷ তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন৷

শেষ পর্যন্ত অরুণ রাজি হন৷ তার পরেই তাঁরা বৃহস্পতিবার থানায় যান৷ সেখানেই পুলিশের সঙ্গে কথা হয়৷ এদিকে পার্থ দে -র ৩ নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ির মালিকানা ঘিরে যে প্রশ্ন সামনে এসেছিল , তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী অরবিন্দ দত্ত৷ মর্গে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান , ‘ওই বাড়ি এখনও বিক্রি হয়নি৷ তবে কথাবার্তা চলছে৷ ’ তা হলে পার্থ নিজের ফ্ল্যাট কেনার মতো টাকা পেলেন কী করে ? অরবিন্দ দত্ত এই প্রশ্নের উত্তর না -দিলেও , পুলিশ সূত্রের খবর , দক্ষিণ কলকাতার এক প্রোমোটারের সঙ্গে দে পরিবারের বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে৷ এমনকি , তাঁরা অগ্রিম হিসেবেও টাকা পেয়েছেন৷ সেই টাকাই পার্থ দে -র ওয়াটগঞ্জের ফ্ল্যাট কেনার জন্য দেওয়া হয়েছিল৷ এ বিষয়ে সত্যতা খোঁজার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পার্থর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও পরীক্ষা করে দেখা হয়৷

পুলিশকর্তাদের দাবি , পার্থর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল , তিনি আত্মহত্যাই করেছেন৷ এ দিন তাঁর কাকা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও অভিযোগ করেননি৷ ফলে এই মামলা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ তবে কঙ্কালকাণ্ড নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে , এই মামলার অভিযুক্তের মৃত্যু হওয়ায় তারা এই মামলায় ইতি টেনে দিতে চায়৷ সম্ভবত পরবর্তী তারিখে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল