অ্যাপশহর

দোলে অসভ্যতা না হয়, সতর্ক সবক’টি ক্যাম্পাস

স্কটিশের সহকারী অধ্যক্ষ সুপ্রতিম দাস জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো এ বারও ক্যাম্পাসে, ক্লাসরুমে বা হস্টেলে রং খেলা যাবে না বলে পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

EiSamay.Com 3 Mar 2020, 9:04 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দোলযাত্রা এবং হোলি উপলক্ষে তটস্থ কলকাতার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রং খেলা উপলক্ষে প্রতিবারই ক্যাম্পাসগুলিকে রাঙিয়ে তোলেন পড়ুয়ারা। আবার সেই রং খেলার সঙ্গেই মিশে থাকে নানা অভব্যতা। গতবারই যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনজন বেহুঁশ ছাত্রছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাতে হয়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও একজনকে মাদকাসক্ত অবস্থায় উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে এ বার বাড়তি সতর্কতা নিতে শুরু করেছে ক্যাম্পাসগুলি।
EiSamay.Com Kolkata’s educational institutions taking extra precaution in campuses for holi celebrations
কলকাতায় দোল উত্‌সব


সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, হস্টেল, ক্লাসরুম, করিডর-সহ ক্যাম্পাসের কোথাও যেন রং খেলা নিয়ে কোনও শিষ্টাচার-বিরোধী আচরণ করা না-হয়। বজায় থাকে ক্যাম্পাসের সুস্থ সংস্কৃতি এবং শান্তি। বিশৃঙ্খলা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। এমনকী, দোলযাত্রার দু’-তিন দিন আগে থেকেই যে ভাবে হইহল্লা করে ক্যাম্পাসে রং খেলা শুরু হয়, তাও অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই পড়ুয়াদের কাছে রেজিস্ট্রারের আবেদন, বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়া বজায় রাখুন। যাঁরা রং মাখতে চান না, তাঁদের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। নজর রাখুন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি বা বাইরে থেকে কাজে আসা মানুষেরা কোনও অসুবিধায় না-পড়েন।

তবে যাদবপুরের থেকেও দোল নিয়ে যে ক্যাম্পাসের দিকে সকলে চেয়ে থাকেন, তা হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশৃঙ্খলা ও ভিড়ের চাপ এড়াতেই জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব বছর দুয়েক আগে বিটি রোড ক্যাম্পাসে সরিয়ে আনা হয়েছে। বসন্তোৎসবে প্রবেশে রাশ টেনে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া শুরু করা হয়েছে গত বছর থেকে। কিন্তু তার পরেও উৎসবকে পুরোপুরি গোলমালমুক্ত করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এ বছর ছাত্র সংসদ আয়োজিত এই বসন্তোৎসবের সময়সীমা কমানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রও কম ছাপানো হয়েছে। স্থির হয়েছে, আধ ঘণ্টার বেশি ক্যাম্পাসে দোল খেলতে দেওয়া হবে না। ঝিলপাড় বা অন্যান্য কোণ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো থাকবে, যাতে কেউ তা টপকাতে না-পারে। ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শঙ্খশুভ্র হালদার বলেছেন, ‘গত বছরের তুলনায় আরও বেশি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে, বেশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অনুষ্ঠান দুপুর ১২টার বদলে ২টো থেকে শুরু করা হবে।’ আর এক সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ হাজরা বলেছেন, ‘মদ-মাদক পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তার জন্য নজর রাখা হবে। সন্দেহ হলেই প্রশাসনের হাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তুলে দেওয়া হবে। আধ ঘণ্টার বেশি আবির খেলা যাবে না। আবির ছাড়া অন্যান্য রং পুরোপুরি নিষিদ্ধ।’

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস জানিয়েছেন, দোলের ব্যাপারে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিষ্টাচার মেনে রং খেলতে হবে। অনিচ্ছুক পড়ুয়াদের রং দেওয়া যাবে না। ক্যাম্পাসে মাইক বাজানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেবাশিসের কথায়, ‘ক্যাম্পাসের শালীনতা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তারক্ষীদের বলা হয়েছে।’ প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদও দোলযাত্রা পালন করবে। তবে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল