অ্যাপশহর

করোনা রুখতে কড়াকড়ি শুরু কলকাতার বহু আবাসন চত্বরে

নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক সতর্কতার মধ্যে বাদ নেই কলকাতা বা আশপাশের আবাসনগুলিও। কী কী পদক্ষেপ করেছে আবাসনগুলি? উত্তর থেকে দক্ষিণ... জানুন বিস্তারিত...

EiSamay.Com 30 Mar 2020, 12:07 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও আবাসনের বাসিন্দাদের উপর নজর রাখতে তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স। কোথাও আবাসনের গেটে বহিরাগতদের ঢোকা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। লিফটে ওঠার ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম।
EiSamay.Com Kolkata’s apartment complexes are going extra mile to ensure protection against covid-19
কলকাতার আবাসনে কড়াকড়ি (প্রতীকী ছবি)

নিউ টাউনের অন্যতম বৃহত্তম আবাসন সুখবৃষ্টিতে বহিরাগত কেউ বাইক বা গাড়ি নিয়ে ঢুকলে আগে টোকেন দেওয়ার নিয়ম ছিল। করোনার জেরে সেই নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। পাঁচ হাজার বাসিন্দার বাস ওই আবাসনে ঢোকার মুখে প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। লিফটেও তিন জনের বেশি উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত নিরাপত্তাকর্মীকে ইতিমধ্যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। আবাসনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোনালিসা দাস জানিয়েছেন, ‘করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে আবাসন পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

সল্টলেকের লাবণী আবাসনেও হাজার দুয়েক লোকের বসবাস। বহিরাগতের ভিড় আটকাতে আবাসনের সাতটি গেটের মধ্যে এখন মাত্র দু’টি গেট দিয়ে লোক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, কলিং বেলে না স্পর্শ করে মুখে চিৎকার করে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ডাকার কথা নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়ে দিচ্ছেন পরিচারক, গাড়ি চালকদের। আবাসন কমিটির অন্যতম সদস্য অশেষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি মানুষের সমাগম ঠেকাতে। আবাসনে যেহেতু প্রচুর বাইরের মানুষ ঢোকেন, তাই এই সতর্কতা।’

দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে মার্লিন আবাসনের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের নিরাপত্তা কর্মী, কর্মচারী, মালিদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে মূল প্রবেশ পথে। অতিথিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আবাসনে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। লিফটের হ্যান্ডেল স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে। হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনেও বাসিন্দাদের তদারকি কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত নিরাপত্তা কর্মী, সাফাই কর্মী এবং পরিচারক-পরিচারিকাদের মাস্ক পরে কাজে আসতে হবে। সুইমিং পুল, লাইব্রেরি, জিম, কমিউনিটি হল বন্ধ থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। বাইরে গেলে বা আবাসনে ঢোকার সময়ে প্রত্যেককে নিরাপত্তা কর্মীদের থেকে স্যানিটাইজার নিয়ে হাতে মাখতে হবে।

সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনেও প্রায় ছ’হাজার বাসিন্দার বাস। সেখানকার সভাপতি রাধাগোবিন্দ শীল বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন সেই তথ্য সম্বলিত হোর্ডিংও কয়েকদিনের মধ্যে দেওয়া হবে।’ পিছিয়ে নেই ব্লক কমিটিগুলিও। সল্টলেক বিসি ব্লক কমিটি যেমন ইতিমধ্যেই লিফলেটের মাধ্যমে বাসিন্দাদের জানিয়ে দিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত, আর কোনটা অনুচিত। একসঙ্গে প্রচুর মানুষের ভিড় ঠেকাতে অন্নপূর্ণা পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল