আর কোনও ছাড় নয়, লকডাউন ভাঙায় কলকাতায় 'গ্রেফতার' ৮৮৬!
করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারের অনুনয়-বিনয়ে কাজ হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার লকডাউনে কড়া অবস্থান নিল প্রশাসন। লকডাউন অমান্য করা, মাস্ক না পরা কিংবা প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যে ব্যবস্থা নেওয়া হল অনেকের বিরুদ্ধেই।
EiSamay.Com 23 Jul 2020, 9:05 pm
হাইলাইটস
- প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে করোনা।
- লকডাউন সাধারণ মানুষের অধিকাংশই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানলেও এখনও অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না।
- বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শুধু কলকাতায় লকডাউন অমান্য করায় গ্রেফতার (আটকও) করা হয়েছে ৮৮৬ জনকে!
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ লকডাউন করেও করোনাকে রোখা যায়নি। বরং লকডাউন থেকে আনলকের পথে হাঁটার পর থেকেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যজুড়ে লকডাউন চলছে। লকডাউন হবে আগামী শনি ও বুধবারও। কিন্তু সেই লকডাউন সাধারণ মানুষের অধিকাংশই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানলেও এখনও অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। সেই কারণেই 'কারণ' ছাড়া এদিনও রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার আরও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে প্রশাসন। সেই কড়া মনোভাব যে শুধু কথার কথা নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে পুলিশের তৎপরতাতেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শুধু কলকাতায় লকডাউন অমান্য করায় গ্রেফতার (আটকও) করা হয়েছে ৮৮৬ জনকে! বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩০টি গাড়ি। এখানেই শেষ নয়, মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরোনোর জন্যে গ্রেফতার (আটকও) করা হয়েছে ৫৫২ জনকে। প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যেও আর কোনও ছাড় নয়। এদিন প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে!
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিদিনই দু'হাজারের উপর হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা দিনপ্রতি বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কঠোর ভাবেই লকডাউন কার্যকর করতে চাইছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে। জনপরিবহণও সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল বৃহস্পতিবার। প্রতিটি এলাকায় ছিল পুলিশের বিশেষ নজরদারি। শুধু কনটেইনমেন্ট এলাকায় নয়, গোটা রাজ্যের কোণায়-কোণায় পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে, এ কথাও অস্বীকার করার নেই, সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবেই লকডাউন মেনে চলেছিলেন। রাস্তাঘাট ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য কোনও দ্রব্যের দোকানও খোলেনি। বন্ধ ছিল বাজারও।
আগে থেকেই পুলিশকে সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রাস্তায় মানুষের জটলা দেখা মাত্রই তাঁদের প্রথমে বাড়ি চলে যেতে বলা হবে। না-শুনলে লকডাউন ভাঙার অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিন সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই একটা বড় সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাস্ক না-পরলে গুনতে হবে ১ লাখ, লকডাউন বিধি ভাঙলে ২ বছরের জেল!
কলকাতায় ৩০টি পয়েন্টে ছিল বিশেষ নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত। সেখানে গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে প্রত্যেককে। বাইরে বেরোনোর কারণ জরুরি না হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
অবশ্য শুধু বৃহস্পতিবারই নয়, বুধবারও মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরির জন্য ৩৮১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এ ছাড়াও নিয়ম ভেঙে জটলা করায় ২৫৪ জন, যত্রতত্র থুতু ফেলার অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। ৫২টি এফআইআর'ও করেছিল পুলিশ।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিদিনই দু'হাজারের উপর হয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা দিনপ্রতি বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কঠোর ভাবেই লকডাউন কার্যকর করতে চাইছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রাখা হয়েছে। জনপরিবহণও সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল বৃহস্পতিবার। প্রতিটি এলাকায় ছিল পুলিশের বিশেষ নজরদারি। শুধু কনটেইনমেন্ট এলাকায় নয়, গোটা রাজ্যের কোণায়-কোণায় পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে, এ কথাও অস্বীকার করার নেই, সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবেই লকডাউন মেনে চলেছিলেন। রাস্তাঘাট ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য কোনও দ্রব্যের দোকানও খোলেনি। বন্ধ ছিল বাজারও।
আগে থেকেই পুলিশকে সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রাস্তায় মানুষের জটলা দেখা মাত্রই তাঁদের প্রথমে বাড়ি চলে যেতে বলা হবে। না-শুনলে লকডাউন ভাঙার অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিন সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই একটা বড় সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাস্ক না-পরলে গুনতে হবে ১ লাখ, লকডাউন বিধি ভাঙলে ২ বছরের জেল!
কলকাতায় ৩০টি পয়েন্টে ছিল বিশেষ নাকা চেকিংয়ের বন্দোবস্ত। সেখানে গাড়ি আটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে প্রত্যেককে। বাইরে বেরোনোর কারণ জরুরি না হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
অবশ্য শুধু বৃহস্পতিবারই নয়, বুধবারও মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরির জন্য ৩৮১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এ ছাড়াও নিয়ম ভেঙে জটলা করায় ২৫৪ জন, যত্রতত্র থুতু ফেলার অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। ৫২টি এফআইআর'ও করেছিল পুলিশ।