কুবলয় বন্দ্যোপাধ্যায় যথাযথ কোভিডবিধি মেনে মণ্ডপ তৈরি হলে এবং দর্শকদের জন্য মাস্ক-স্যানিটাইজার ও নিরাপদ দূরত্ববিধি বজায় রাখার ব্যবস্থা থাকলে শহরের পুজো দেখার ক্ষেত্রে অন্তত কলকাতা পুলিশের কোনও আপত্তি থাকবে না। শুক্রবার কলামন্দিরে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
একই সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে কর্মরত কারিগরদের রাত করে বাড়ি ফেরায় কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য তাঁদের বিশেষ পাস দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। বৈঠকে পুলিশের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকলবিভাগ, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
করোনা সংক্রমণে লাগাম দিতে ২০২০-র মতো এ বছর ফের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। গত বছর আদালতের রায়ে তৃতীয়ার দিন দর্শকদের জন্য মণ্ডপের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল শহরের পুজোকমিটিগুলি। কিন্তু এ বছর দর্শকদের নিয়ে পুজো হওয়ার বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী তারা।
গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ। খোলামেলা মণ্ডপ, চওড়া প্রবেশ ও নির্গম পথ, বিনামাস্কে মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধের নির্দেশ - তবু টিকার ডবল ডোজ এবং দৈনিক সংক্রমণ রিপোর্টই এবার শহরের পুজোকমিটিগুলির সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। তাই পুজোর দু'সপ্তাহ আগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়া নিয়ে তেমন চিন্তায় নেই উদ্যোক্তারা।
গত বছর আদালতের নির্দেশের আগেই পুজোয় দর্শকদের জন্য মণ্ডপ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। এ বছর পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সজল ঘোষ বলছেন, 'গত বছরের পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম ছিল। এবছর অবস্থা অনেকটাই ভালো। বহু মানুষের দু'ডোজ টিকা হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ অনেক কম। মণ্ডপ বন্ধ রাখার কোনও পরিকল্পনা এখনও নেই।'
টিকার ডবল ডোজের কথা উল্লেখ করেই শহরের পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদত শাশ্বত বসু বলছেন, 'গত বছর আমাদের কাছে টিকা ছিল না। এ বছর এখনই শহরের ৭০ শতাংশ মানুষের ডাবল ডোজ সম্পূর্ণ। প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার পুলিশকর্তাদের কথাতেও আমরা আশা পেয়েছি।'
পুজো বন্ধে জনস্বার্থ মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একশো বছরের বেশি প্রাচীন পুজো টালা বারোয়ারির অন্যতম উদ্যোক্তা অভিষেক ভট্টাচার্য- 'সব কিছুই তো চলছে। বাজারে তুমুল ভিড়, ট্রেনে বাদুড়ঝোলা অবস্থা। আর ভাইরাসের সংক্রমণ শুধু পুজোর মণ্ডপে!'
ফোরামের দক্ষিণ কলকাতা শাখার সহকারী সম্পাদক এবং বাদামতলা আষাঢ় সংঘের উদ্যোক্তা সন্দীপ চক্রবর্তী বলছেন, 'বহু মানুষের রুজি-রুটি পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে। এই বিরাট অর্থনীতি গত বছর ভয়াবহ ধাক্কা খেয়েছিল। এবছর ছোট আয়োজনে হলেও পুজো হোক এমনটাই চাইব।' শিবমন্দির পুজোকমিটির পক্ষ থেকে পার্থ ঘোষ বলছেন, 'করোনা থেকেই যাবে। আমাদের চলাও থামবে না। কাজেই পুজো বন্ধ রাখা কোনও সমাধান নয়। উপযুক্ত সতর্কতা নিয়েই পুজো করতে হবে।'
একই সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে কর্মরত কারিগরদের রাত করে বাড়ি ফেরায় কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য তাঁদের বিশেষ পাস দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। বৈঠকে পুলিশের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকলবিভাগ, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
করোনা সংক্রমণে লাগাম দিতে ২০২০-র মতো এ বছর ফের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। গত বছর আদালতের রায়ে তৃতীয়ার দিন দর্শকদের জন্য মণ্ডপের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল শহরের পুজোকমিটিগুলি। কিন্তু এ বছর দর্শকদের নিয়ে পুজো হওয়ার বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী তারা।
গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ। খোলামেলা মণ্ডপ, চওড়া প্রবেশ ও নির্গম পথ, বিনামাস্কে মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধের নির্দেশ - তবু টিকার ডবল ডোজ এবং দৈনিক সংক্রমণ রিপোর্টই এবার শহরের পুজোকমিটিগুলির সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। তাই পুজোর দু'সপ্তাহ আগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়া নিয়ে তেমন চিন্তায় নেই উদ্যোক্তারা।
গত বছর আদালতের নির্দেশের আগেই পুজোয় দর্শকদের জন্য মণ্ডপ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। এ বছর পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সজল ঘোষ বলছেন, 'গত বছরের পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম ছিল। এবছর অবস্থা অনেকটাই ভালো। বহু মানুষের দু'ডোজ টিকা হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ অনেক কম। মণ্ডপ বন্ধ রাখার কোনও পরিকল্পনা এখনও নেই।'
টিকার ডবল ডোজের কথা উল্লেখ করেই শহরের পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদত শাশ্বত বসু বলছেন, 'গত বছর আমাদের কাছে টিকা ছিল না। এ বছর এখনই শহরের ৭০ শতাংশ মানুষের ডাবল ডোজ সম্পূর্ণ। প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার পুলিশকর্তাদের কথাতেও আমরা আশা পেয়েছি।'
পুজো বন্ধে জনস্বার্থ মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একশো বছরের বেশি প্রাচীন পুজো টালা বারোয়ারির অন্যতম উদ্যোক্তা অভিষেক ভট্টাচার্য- 'সব কিছুই তো চলছে। বাজারে তুমুল ভিড়, ট্রেনে বাদুড়ঝোলা অবস্থা। আর ভাইরাসের সংক্রমণ শুধু পুজোর মণ্ডপে!'
ফোরামের দক্ষিণ কলকাতা শাখার সহকারী সম্পাদক এবং বাদামতলা আষাঢ় সংঘের উদ্যোক্তা সন্দীপ চক্রবর্তী বলছেন, 'বহু মানুষের রুজি-রুটি পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে। এই বিরাট অর্থনীতি গত বছর ভয়াবহ ধাক্কা খেয়েছিল। এবছর ছোট আয়োজনে হলেও পুজো হোক এমনটাই চাইব।' শিবমন্দির পুজোকমিটির পক্ষ থেকে পার্থ ঘোষ বলছেন, 'করোনা থেকেই যাবে। আমাদের চলাও থামবে না। কাজেই পুজো বন্ধ রাখা কোনও সমাধান নয়। উপযুক্ত সতর্কতা নিয়েই পুজো করতে হবে।'