অ্যাপশহর

হাত বাড়ালেই বন্ধু, দুঃস্থ মেধাবীদের পাশে ‘এসো কিছু করি’

এখন পর্যন্ত রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৪০০ পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াতে পেরেছে এই সংগঠন। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে খুঁজে বার করা হয় প্রকৃত অভাবী অথচ দারুণ মেধাবী পড়ুয়াদের।

EiSamay.Com 1 Sep 2019, 9:47 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট অর্কুটে ২০০৬ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘এসো কিছু করি’ সংস্থা। সেই শুরু। সোশ্যাল মিডিয়াকে একেবারে প্রথম দিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের জন্য কিছু করতে কলকাতার যে ক’টি সংগঠন উদ্যোগী হয়েছিল এই সংস্থা তাদের অন্যতম। ২০০৭ সালে ‘এসো কিছু করি’ পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী নিজেদের নথিভুক্ত করে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৪০০ পড়ুয়ার পাশে দাঁড়াতে পেরেছে এই সংগঠন। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে খুঁজে বার করা হয় প্রকৃত অভাবী অথচ দারুণ মেধাবী পড়ুয়াদের।
EiSamay.Com needy students


এরপর তাঁদের পড়াশোনার সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার যথাযথ দিশা দেওয়া হয়। সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কলকাতায় ডেকে পড়াশুনোর জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় বই-খাতা-পেন-ক্যালকুলেটর ইত্যাদি দেওয়া হয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা তাদের সঙ্গে এক নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়।’ এর পর স্টাডি ট্যুরের মাধ্যমে তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখে আসে সংস্থার সদস্য-স্বেচ্ছাসেবকেরা। পাশাপাশি চলে এইসব পড়ুয়ার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা। পরের বছর দ্বাদশ শ্রেণীর বই দেওয়ার অনুষ্ঠানের সঙ্গে তাদের ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়াশুনো করা যায় সেই বিষয়েও বিস্তারিত জানানো হয়।

ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কোনও সরকারি কলেজে সুযোগ পাওয়া ছাত্র বা ছাত্রীর পাশে দাঁড়ায় ‘এসো কিছু করি’। কৌশিক বলেন, ‘এই সংগঠনের সব থেকে বড় সাফল্য, এইসব পড়ুয়াদের সঙ্গে সারা জীবনের সম্পর্ক গড়ে তোলা। লেখাপড়া করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এই সব ছাত্রছাত্রীরাই এগিয়ে আসছেন সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’ এই সংগঠনের পুরো কর্মকাণ্ড চলে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের চাঁদা আর সাধারণের ডোনেশনের মাধ্যমে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল