পুরসভার সিদ্ধান্তে প্রশ্নে বসতবাড়ির রেস্তোরাঁ-ভবিষ্যৎ
এবার কোপ পড়তে চলেছে হোটেল- রেস্তোরাঁর ব্যবসায় (Restaurant)। অগ্নিকান্ডের মতো বিপদ এড়াতে রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে থাকা রেস্তোরাঁগুলি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।
Ei Samay 17 Jun 2021, 6:12 pm
হাইলাইটস
- রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণ অবৈধ।
- এ ধরনের রেস্তোরাঁর লাইসেন্স আর রিনিউ করবে না কলকাতা পুরসভা।
- শহরে বর্তমানে যে রেস্তোরাঁগুলি রয়েছে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে।
এই সময়: রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের রেস্তোরাঁর লাইসেন্স আর রিনিউ করবে না কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি, রাজ্য সরকার একটি নতুন বিল এনেছে। তাতে বসত বাড়ির নীচে ২১টি ব্যবসা চালানোর কথা বলা হলেও, রেস্তোরাঁর কথা বলা নেই। ঘটনা হলো, শহরে বর্তমানে যে রেস্তোরাঁগুলি রয়েছে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে। এর মধ্যে অনেক বিল্ডিংয়ের একতলা অবশ্য কমার্শিয়াল বিল্ডিং হিসেবে পুরসভার খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে থাকা যে বিল্ডিংগুলি কর্মাশিয়াল হিসেবে নথিভুক্ত নেই, সেখানে থাকা রেস্তোরাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে? এ প্রসঙ্গে কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে সাধারণত ফায়ার লাইসেন্স মেলে না। এর বাইরে ওই রেস্তোরাঁ চালানোর জন্য ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, পুলিশের অনুমোদন আছে কি না, তা কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার অফিসাররা খতিয়ে দেখবেন।' যদি সব ঠিক না-থাকে তবে কী রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে? প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, 'এটা পুরসভা করতে পারে না। পুলিশের বিষয়। তবে, নিয়ম মেনে ব্যবসা না-চললে তার লাইসেন্স রিনিউ করা হবে না।' এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, 'পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করেই পদক্ষেপ করা হবে।'
নতুন করে যাঁরা ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন, তাঁদের বড় রাস্তার ধারে (৪০ ফুট চওড়া) ব্যবসা করার আর্জি জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, 'বড় রাস্তার ধারে রেস্তোরাঁ, মল-সহ যে কোনও ব্যবসা কেউ করতেই পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষ সুবিধেও দেওয়া হবে।' স্বাভাবিক ভাবেই পুরসভার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসতে মাথায় বাজ পড়েছে রেস্তোরাঁ মালিকদের অনেকের। হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলছেন, 'বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু শহরে যা রেস্তোরাঁ আছে তার ৫০ শতাংশই তো রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে! আমরা কয়েকদিনের মধ্যে পুর প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করব। পুরসভা ঠিক কী করতে চাইছে, কেন এমন পদক্ষেপ তা জানতে চাইব। আমাদেরও বক্তব্য জানাব।'
মালিকরা ছাড়াও রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত কর্মী, ডেলিভারি বয়দের অনেকে এই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন। নাগরিকদের একাংশও চিন্তিত কারণ এই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচতলায় থাকা রেস্তোরাঁ থেকেই অনেকে দু'বেলা হোম ডেলিভারি নিয়ে থাকেন। কিন্তু, হঠাৎ করে কেন রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে রেস্তোরাঁ নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত? পুরসভা জানাচ্ছে, শহরে পরপর রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে দু'টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে গোটা বিল্ডিংয়ে গেট মাত্র একটি। ফলে, বিপদের সময় জিনিস বের করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে দমকলের। অল্পের জন্য এড়ানো গিয়েছে বিপত্তি।
পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়। বাম আমল থেকেই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে রেস্তোরাঁ চালাতে দেওয়া হবে না, এমন কথা বলা হয়ে আসছে। যদিও, তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের বড় অংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে হলেও একতলায় যেখানে রেস্তোরাঁ তা আদপে কর্মাশিয়াল বিল্ডিং হিসেবেই চিহ্নিত। যাবতীয় নথি মেনেই তাঁরা ব্যবসা করেন। যেমন হিন্দুস্থান পার্কের পঞ্চমের আড্ডায় রেস্তোরাঁর মালিক অমৃতা অ্যানি বলছেন, 'উপরের তলাগুলি রেসিডেন্সিয়াল হলেও নীচের তলা কর্মাশিয়াল। নিময় মেনেই আমরা ব্যবসা করছি। যাবতীয় করও নির্দিষ্ট জায়গায় দিয়ে থাকি।'
নতুন করে যাঁরা ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন, তাঁদের বড় রাস্তার ধারে (৪০ ফুট চওড়া) ব্যবসা করার আর্জি জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, 'বড় রাস্তার ধারে রেস্তোরাঁ, মল-সহ যে কোনও ব্যবসা কেউ করতেই পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষ সুবিধেও দেওয়া হবে।' স্বাভাবিক ভাবেই পুরসভার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসতে মাথায় বাজ পড়েছে রেস্তোরাঁ মালিকদের অনেকের। হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলছেন, 'বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু শহরে যা রেস্তোরাঁ আছে তার ৫০ শতাংশই তো রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে! আমরা কয়েকদিনের মধ্যে পুর প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করব। পুরসভা ঠিক কী করতে চাইছে, কেন এমন পদক্ষেপ তা জানতে চাইব। আমাদেরও বক্তব্য জানাব।'
মালিকরা ছাড়াও রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত কর্মী, ডেলিভারি বয়দের অনেকে এই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন। নাগরিকদের একাংশও চিন্তিত কারণ এই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচতলায় থাকা রেস্তোরাঁ থেকেই অনেকে দু'বেলা হোম ডেলিভারি নিয়ে থাকেন। কিন্তু, হঠাৎ করে কেন রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে রেস্তোরাঁ নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত? পুরসভা জানাচ্ছে, শহরে পরপর রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে দু'টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে গোটা বিল্ডিংয়ে গেট মাত্র একটি। ফলে, বিপদের সময় জিনিস বের করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে দমকলের। অল্পের জন্য এড়ানো গিয়েছে বিপত্তি।
পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়। বাম আমল থেকেই রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ের নীচে রেস্তোরাঁ চালাতে দেওয়া হবে না, এমন কথা বলা হয়ে আসছে। যদিও, তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের বড় অংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিংয়ে হলেও একতলায় যেখানে রেস্তোরাঁ তা আদপে কর্মাশিয়াল বিল্ডিং হিসেবেই চিহ্নিত। যাবতীয় নথি মেনেই তাঁরা ব্যবসা করেন। যেমন হিন্দুস্থান পার্কের পঞ্চমের আড্ডায় রেস্তোরাঁর মালিক অমৃতা অ্যানি বলছেন, 'উপরের তলাগুলি রেসিডেন্সিয়াল হলেও নীচের তলা কর্মাশিয়াল। নিময় মেনেই আমরা ব্যবসা করছি। যাবতীয় করও নির্দিষ্ট জায়গায় দিয়ে থাকি।'