এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় তিনকাঠা পর্যন্ত জমির উপর বাড়ি বানাতে পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান প্রয়োজন হবে না বলে ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তা শুনে প্রাথমিক ভাবে খুশি নাগরিকরা। কিন্তু বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া কী করে বাড়ি বানানোর অনুমতি দেওয়া হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি নিয়ে বেশ বিপাকে। যদিও পুর কমিশনার জানিয়েছেন, যে সব ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন তাঁরা।
বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের আশঙ্কা, প্ল্যানে পুরসভার সিলমোহর না পড়লে ব্যাঙ্কগুলি সহজে গৃহঋণ দিতে রাজি হবে না। যে কারণে বাড়ি তৈরি এবং ফ্ল্যাট বিক্রিতে সমস্যা হতে পারে। যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে চান, বিপাকে পড়বেন তাঁরাও। এটা জানার পর কতজন জমির মালিক পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া বাড়ি বানাতে আগ্রহ দেখাবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তাঁরা। আবার, পুরসভার অনুমোদনহীন বাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কার উপর বর্তাবে, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাই বিকল্প রাস্তা খোঁজার কাজ শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুর কমিশনার খলিল আহেমদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে সহজে, দ্রুত, ঝঞ্ঝাট ছাড়াই বাড়ি বানাতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে নয়া নিয়ম তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ঋণ-সহ যে সব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো কী ভাবে মেটানো যায়, তা দেখতে আমরা আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। তবে সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে।’
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, তিন কাঠা জমির বিল্ডিং প্ল্যানে প্রাথমিক ছাড়পত্র দেবেন পুরসভার তালিকাভুক্ত এলবিএস (লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়র) এবং আর্কিটেক্টরা। সে জন্য শহরের নামকরা এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের তালিকা তৈরি করা হবে। তাঁরাই এই ধরনের বাড়ির নকশা অনুমোদন করবেন। ওই বিল্ডিং প্ল্যান অনলাইনে পাঠাতে হবে পুরসভার কাছে। পুরসভার সাইট থেকেই বিল্ডিং প্ল্যান ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। তাতে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বদলে সংশ্লিষ্ট আর্কিটেক্ট অথবা এলবিএস-এর সই থাকবে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন নেওয়ার জন্য আগের মতো পুরসভার শরণাপন্ন হতে হবে না ছোট জমির মালিকদের।
তিন কাঠা জমিতে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পুরসভার কাছ থেকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করানোর প্রয়োজন না হলেও সমস্ত নিয়ম-নীতি এবং বিল্ডিং রুলস মেনে চলতে হবে জমির মালিককে। আর পাঁচটা বাড়ির মতো এ ক্ষেত্রেও নির্মীয়মাণ বাড়ির চারপাশে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়তে হবে। বিল্ডিং রুলস অমান্য করলে কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী সেই মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুরসভা। বেআইনি বাড়ি ভাঙা যাবে। নিয়ম মেনে পুরসভাকে বিল্ডিং ফি-ও জমা করতে হবে। কেবল বিল্ডিং প্ল্যানের ঝক্কির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর বাড়তি কোনও সুবিধা পাওয়া যাবে না।
বিল্ডিং বিভাগের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, ‘বিল্ডিং প্ল্যানে পুরসভার সিলমোহর থাকতেই হবে, পুর আইনে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ব্যাঙ্ক ঋণের কথা মাথায় রেখে বিল্ডিং প্ল্যানে সিলমোহরের বদলে ‘ওয়াটার মার্ক’ বা জলছাপ দেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তেমনটা হলে পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। তাতে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে কোনও সমস্যা হবে না।’
পুরসভার নয়া নিয়ম অনুযায়ী, শহরে কোনও বাড়ি তৈরির জন্য জলের লাইন, নিকাশি, বিএলআরও, দমকল কিংবা বিদ্যুতের জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে না। এখন থেকে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ পদ্ধতিতে অনলাইন সমস্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। অনুমোদনের কপিও অনলাইন হাতে পাবেন নাগরকিরা। শহরে বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য পুরসভার অনুমোদন পেতে হলেও সিইএসসি এবং ডব্লুবিএসইডিসিএলের মতো সংস্থাকে অনলাইন আবেদন জানাতে হবে।
বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের আশঙ্কা, প্ল্যানে পুরসভার সিলমোহর না পড়লে ব্যাঙ্কগুলি সহজে গৃহঋণ দিতে রাজি হবে না। যে কারণে বাড়ি তৈরি এবং ফ্ল্যাট বিক্রিতে সমস্যা হতে পারে। যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনতে চান, বিপাকে পড়বেন তাঁরাও। এটা জানার পর কতজন জমির মালিক পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া বাড়ি বানাতে আগ্রহ দেখাবেন, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তাঁরা। আবার, পুরসভার অনুমোদনহীন বাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কার উপর বর্তাবে, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাই বিকল্প রাস্তা খোঁজার কাজ শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুর কমিশনার খলিল আহেমদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে সহজে, দ্রুত, ঝঞ্ঝাট ছাড়াই বাড়ি বানাতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে নয়া নিয়ম তৈরি হচ্ছে। ব্যাঙ্ক ঋণ-সহ যে সব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো কী ভাবে মেটানো যায়, তা দেখতে আমরা আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি। তবে সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে।’
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, তিন কাঠা জমির বিল্ডিং প্ল্যানে প্রাথমিক ছাড়পত্র দেবেন পুরসভার তালিকাভুক্ত এলবিএস (লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়র) এবং আর্কিটেক্টরা। সে জন্য শহরের নামকরা এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের তালিকা তৈরি করা হবে। তাঁরাই এই ধরনের বাড়ির নকশা অনুমোদন করবেন। ওই বিল্ডিং প্ল্যান অনলাইনে পাঠাতে হবে পুরসভার কাছে। পুরসভার সাইট থেকেই বিল্ডিং প্ল্যান ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। তাতে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বদলে সংশ্লিষ্ট আর্কিটেক্ট অথবা এলবিএস-এর সই থাকবে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন নেওয়ার জন্য আগের মতো পুরসভার শরণাপন্ন হতে হবে না ছোট জমির মালিকদের।
তিন কাঠা জমিতে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পুরসভার কাছ থেকে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করানোর প্রয়োজন না হলেও সমস্ত নিয়ম-নীতি এবং বিল্ডিং রুলস মেনে চলতে হবে জমির মালিককে। আর পাঁচটা বাড়ির মতো এ ক্ষেত্রেও নির্মীয়মাণ বাড়ির চারপাশে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়তে হবে। বিল্ডিং রুলস অমান্য করলে কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী সেই মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে পুরসভা। বেআইনি বাড়ি ভাঙা যাবে। নিয়ম মেনে পুরসভাকে বিল্ডিং ফি-ও জমা করতে হবে। কেবল বিল্ডিং প্ল্যানের ঝক্কির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর বাড়তি কোনও সুবিধা পাওয়া যাবে না।
বিল্ডিং বিভাগের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, ‘বিল্ডিং প্ল্যানে পুরসভার সিলমোহর থাকতেই হবে, পুর আইনে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ব্যাঙ্ক ঋণের কথা মাথায় রেখে বিল্ডিং প্ল্যানে সিলমোহরের বদলে ‘ওয়াটার মার্ক’ বা জলছাপ দেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তেমনটা হলে পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। তাতে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে কোনও সমস্যা হবে না।’
পুরসভার নয়া নিয়ম অনুযায়ী, শহরে কোনও বাড়ি তৈরির জন্য জলের লাইন, নিকাশি, বিএলআরও, দমকল কিংবা বিদ্যুতের জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে না। এখন থেকে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ পদ্ধতিতে অনলাইন সমস্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। অনুমোদনের কপিও অনলাইন হাতে পাবেন নাগরকিরা। শহরে বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য পুরসভার অনুমোদন পেতে হলেও সিইএসসি এবং ডব্লুবিএসইডিসিএলের মতো সংস্থাকে অনলাইন আবেদন জানাতে হবে।