অ্যাপশহর

উঠল শবরীমালার প্রসঙ্গ, করোনাকালে সাগর মেলায় ভিড় নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রাপথে মাঝে মাঝে থাকবে মোট ১০টি বাফার জোন। মেলায় আসা প্রত্যেকটি বাস এবং জলপথের ভেসেল ও বার্জগুলিতে জিপিএস লাগানো হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমে বসেই বাস ও ভেসেলের গতিবিধি সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবে পুলিশ।

Ei Samay 7 Jan 2021, 5:52 pm
এই সময়: করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখার আবেদনের মামলায় উঠল শবরীমালা মন্দিরের ভিড়ের প্রসঙ্গ। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণনের বক্তব্য, দক্ষিণ ভারতের এই মন্দিরটি ঘিরে যে মেলা বসে, সেখানে এ বার কেরালা হাইকোর্ট পাঁচ হাজার পুণ্যার্থীকে একদিনে মেলায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল। পুজো কমিটিও মেলায় কোনও ভক্ত আসতে চাইলে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করেছে। সাগরমেলায় কী হবে, সে ব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
EiSamay.Com Calcutta HC
কলকাতা হাইকোর্ট


প্রতি বছর সাগর মেলায় ছয় থেকে আট লক্ষ লোক হয় বলে রাজ্য সরকারের দাবি। এই অবস্থায় সাগর মেলা হলে করোনার সংক্রমণ বাড়বে, এই আশঙ্কা থেকে এ বার মামলা করে মেলা বন্ধের আবেদন করা হয়েছে। বুধবার মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলকারীর তরফে প্রসঙ্গ তুলতেই প্রধান বিচারপতি টেনে আনেন শবরীমালা মন্দির ও মেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ। যদিও সাগরে মূল মেলা চলে ছ'দিন। এখান পাঁচ হাজার করে লোক একদিনে গেলে সব মিলিয়ে কত পুণ্যার্থী সাগরে যেতে পারবেন, তা নিয়ে প্রমাদ গুনছে প্রশাসন।

তবে এ দিন রাজ্যের তরফে অবস্থান বা পরিকল্পনা জানানো হয়নি। তাই আদালতের নির্দেশ, রাজ্য ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, করোনা বিধি মেনে মেলা করার ব্যাপারে কী ভেবেছে, তা জানাক আদালতকে। তার পরে আদালত তার বিস্তারিত শুনানি করবে। আজ, বৃহস্পতিবার মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা।

মামলাকারীর দাবি ছিল, সাগরের মেলার মাঠ এবং কলকাতার বাবুঘাটকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হোক। সে ক্ষেত্রে এই দুই জায়গায় আর বাইরে থেকে মানুষ ভিড় করতে পারবে না। তবে যে নাগা সাধুদের কথা মাথায় রেখে এই মেলা, সেই সাধুদের করোনা বিধি মেনে সাগরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল মামলায়। কিন্তু হাইকোর্ট যে ভাবে শবরীমালা মন্দিরের মেলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছে, তাতে এখন চাপ বাড়তে পারে রাজ্য সরকারের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মেলার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। সেখানকার এক শীর্ষ অফিসার বলছেন, 'কলকাতা থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তায় মাথা গুনে পুণ্যার্থী নিয়ে যাওয়া, আবার সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা বাস্তবে কঠিন। সাগরের ভৌগোলিক অবস্থানও এক একটা বড় কারণ। তার থেকে একেবারে মেলা বন্ধ করা সোজা।' যদিও আদালত শেষ পর্যন্ত কী রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে প্রশাসন।


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর