এই সময়: কেউ ব্যস্ত একমাত্র মেয়ের বিয়ে নিয়ে, কেউ চলচ্চিত্র উৎসব ঘিরে, কেউ আবার লোকসভা অধিবেশনে। আর যাঁদের তেমন কোনও 'এনগেজমেন্ট' নেই, তাঁরা রাজ্য BJP দফতরে বসে হাই তুলছেন। কারণ, কলকাতা পুরভোট থেকে তাঁদের দূরেই রেখেছেন BJP-র শীর্ষ নেতৃত্ব।
উত্তর কলকাতায় পুরভোট সামলানোর ভার পড়েছে রাজ্য BJP-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উপর। কিন্তু সংসদ অধিবেশনের জন্য আপাতত তিনি দিল্লিতে। দক্ষিণ কলকাতায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং দলের অন্যতম রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুনও লোকসভায়, তাই বিশেষ সময় দিতে পারছেন না। আর আগামী ১৪ তারিখ রাজুর একমাত্র মেয়ের বিয়ে। তিনি পুরভোট নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামাতে পারছেন না। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকেও নির্বাচন পরিচালন কমিটির মাথায় বসিয়েছে BJP। তিনি এত দিন হায়দরাবাদে চলচ্চিত্র উৎসবে ব্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার ফিরেছেন।
ফলে কলকাতা পুরভোটের দায়িত্ব আপাতত কাদের কাঁধে, তা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তি গেরুয়া শিবিরে। BJP-র দুই শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারকেও দিল্লিতে বেশি সময় দিতে হচ্ছে লোকসভা অধিবেশনের কারণে। তাই দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসু, রাজকমল পাঠক অথবা জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো পদাধিকারীদের কেন কলকাতা পুরভোট পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না? এঁরা কেউই সাংসদ বা বিধায়ক নন। পুরোদস্তুর সাংগঠনিক নেতা। এবং কলকাতার ভোটারদের কাছেও যথেষ্ট পরিচিত মুখ। দূরের জেলার সাংসদদের বদলে এঁদের দায়িত্ব দিলে নিচুতলার কর্মীদের মনোবলও চাঙ্গা হতো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে দিলীপ ঘোষ বা জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোদের দাবি, দিল্লি থেকেও কলকাতা পুরভোট পরিচালনা করতে সমস্যা নেই। জ্যোতির্ময়ের কথায়, 'আমরা পর্যবেক্ষক। দিল্লি থেকেই ফোনে সব খবর রাখছি। নির্দেশ দিচ্ছি। আর সময় পেলেই কলকাতায় চলে আসছি।' দিলীপ বলেন, 'বিধায়করা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদরা কলকাতাতেই থাকবেন। রাজ্য নেতারা তো আছেনই।'
আপাতত কলকাতা পুরভোটের খুঁটিনাটি সামলাতে হচ্ছে রাজ্য BJP-র অন্যতম সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সামলাতে গিয়ে বুধবার রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁকে এবং দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থীদের জন্য প্রস্তাবক খুঁজতেই কালঘাম ছুটেছিল তাঁদের। তা ছাড়া বেশ কিছু ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল প্রতাপ-অমিতাভদের। শেষ পর্যন্ত ১৪৪টি ওয়ার্ডেই BJP মনোনয়ন জমা দিতে পারল কি না, তা জানতে সাংবাদিকরা এদিন দুপুরে রাজ্য BJP দফতরে হাজির হলে তাঁদের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। সবক'টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরাই অবশ্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পুরভোট নিয়ে BJP কতটা চাপে আছে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। রাজ্য BJP-র এক পদাধিকারীর কথায়, 'কিছু যোগ্য নেতাকে পার্টি বসিয়ে রেখেছে আর কিছু তুলনায় অনভিজ্ঞ নেতার উপরে সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফল যাওয়ার তা-ই হচ্ছে।' উদাহরণ দিয়ে ওই নেতা বলেন, 'সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারদের কলকাতা পুরভোটে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষদের নির্বাচন পরিচালন কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাঁদের উপরে অগাধ আস্থা শীর্ষ নেতৃত্বের। এর থেকে আশ্চর্যের আর কী হতে পারে!'
উত্তর কলকাতায় পুরভোট সামলানোর ভার পড়েছে রাজ্য BJP-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উপর। কিন্তু সংসদ অধিবেশনের জন্য আপাতত তিনি দিল্লিতে। দক্ষিণ কলকাতায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং দলের অন্যতম রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুনও লোকসভায়, তাই বিশেষ সময় দিতে পারছেন না। আর আগামী ১৪ তারিখ রাজুর একমাত্র মেয়ের বিয়ে। তিনি পুরভোট নিয়ে সে ভাবে মাথা ঘামাতে পারছেন না। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকেও নির্বাচন পরিচালন কমিটির মাথায় বসিয়েছে BJP। তিনি এত দিন হায়দরাবাদে চলচ্চিত্র উৎসবে ব্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার ফিরেছেন।
ফলে কলকাতা পুরভোটের দায়িত্ব আপাতত কাদের কাঁধে, তা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তি গেরুয়া শিবিরে। BJP-র দুই শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারকেও দিল্লিতে বেশি সময় দিতে হচ্ছে লোকসভা অধিবেশনের কারণে। তাই দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসু, রাজকমল পাঠক অথবা জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো পদাধিকারীদের কেন কলকাতা পুরভোট পরিচালনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না? এঁরা কেউই সাংসদ বা বিধায়ক নন। পুরোদস্তুর সাংগঠনিক নেতা। এবং কলকাতার ভোটারদের কাছেও যথেষ্ট পরিচিত মুখ। দূরের জেলার সাংসদদের বদলে এঁদের দায়িত্ব দিলে নিচুতলার কর্মীদের মনোবলও চাঙ্গা হতো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে দিলীপ ঘোষ বা জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোদের দাবি, দিল্লি থেকেও কলকাতা পুরভোট পরিচালনা করতে সমস্যা নেই। জ্যোতির্ময়ের কথায়, 'আমরা পর্যবেক্ষক। দিল্লি থেকেই ফোনে সব খবর রাখছি। নির্দেশ দিচ্ছি। আর সময় পেলেই কলকাতায় চলে আসছি।' দিলীপ বলেন, 'বিধায়করা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদরা কলকাতাতেই থাকবেন। রাজ্য নেতারা তো আছেনই।'
আপাতত কলকাতা পুরভোটের খুঁটিনাটি সামলাতে হচ্ছে রাজ্য BJP-র অন্যতম সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সামলাতে গিয়ে বুধবার রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁকে এবং দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থীদের জন্য প্রস্তাবক খুঁজতেই কালঘাম ছুটেছিল তাঁদের। তা ছাড়া বেশ কিছু ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল প্রতাপ-অমিতাভদের। শেষ পর্যন্ত ১৪৪টি ওয়ার্ডেই BJP মনোনয়ন জমা দিতে পারল কি না, তা জানতে সাংবাদিকরা এদিন দুপুরে রাজ্য BJP দফতরে হাজির হলে তাঁদের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। সবক'টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরাই অবশ্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পুরভোট নিয়ে BJP কতটা চাপে আছে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। রাজ্য BJP-র এক পদাধিকারীর কথায়, 'কিছু যোগ্য নেতাকে পার্টি বসিয়ে রেখেছে আর কিছু তুলনায় অনভিজ্ঞ নেতার উপরে সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফল যাওয়ার তা-ই হচ্ছে।' উদাহরণ দিয়ে ওই নেতা বলেন, 'সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারদের কলকাতা পুরভোটে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষদের নির্বাচন পরিচালন কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাঁদের উপরে অগাধ আস্থা শীর্ষ নেতৃত্বের। এর থেকে আশ্চর্যের আর কী হতে পারে!'