অ্যাপশহর

বাঁশদ্রোণীতে মহিলা খুনে সন্দেহে স্বামীও

দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে সুরেশ আগরওয়ালকে। শনিবারে ছেলে আয়ুশকে আদালতে পাঠানো হলেও, সুরেশকে রিজেন্ট পার্ক থানায় জেরা করার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। তবে নিহত মমতা আগরওয়ালের স্বামী সুরেশকে সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ।

EiSamay.Com 21 Apr 2019, 12:42 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁশদ্রোণী প্লেসে মাকে খুন করেছে ছেলে। সেই দোষ কবুলও করেছে ছেলে আয়ুশ। আদালত তাকে আগামী ২ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তবে নিহত মমতা আগরওয়ালের স্বামী সুরেশকে সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ।
EiSamay.Com kolkata bansdroni murder case, police suspect that womans husband also involve the murder
বাঁশদ্রোণীতে মহিলা খুনে সন্দেহে স্বামীও


দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে সুরেশ আগরওয়ালকে। শনিবারে ছেলে আয়ুশকে আদালতে পাঠানো হলেও, সুরেশকে রিজেন্ট পার্ক থানায় জেরা করার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরেই তিনি বলেছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। পরে শুক্রবার রাতে আয়ুশ রিজেন্ট পার্ক থানায় বসে নিজের দোষ কবুল করে। সে স্বীকার করে যে সেই তার মাকে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে খুন করেছে। তার পরেও সুরেশের কোনও শোক তাপ নজরে আসেনি। তার আত্মীয় পার্থ বসু জানিয়েছেন, সুরেশ বারে বারে বলেছে, পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা খরচ করে সে ছেলেকে জেল থেকে বের করে আনবে। ছেলের জন্য উকিলও দিয়েছেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক কেমন ছিল আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। মমতাকে খুনে কোনওভাবে তাঁর প্ররোচণা ছিল কিনা দেখা হচ্ছে সেটাও। গোয়েন্দাদের একাংশের বক্তব্য, আচমকা ছেলে মাকে খুন করে থাকতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি খুন পর্যন্ত গড়ানোর পিছনে কোনওবাবে বাবার ভূমিকা ছিল কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া দরকার।

পাথর্র কথায়, ‘আগে আয়ুশের একটি মোটরবাইক ছিল। সেটিতে দুর্ঘটনা হয়। ফলে সে এখনও ঝুঁকে হাটে। সম্প্রতি সে আরও একটি মোটরবাইক কিনেছে। সেটি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিল। সেই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায় দিনই ঝগড়া হত। গত বৃহস্পতিবারেও তেমনটি হয়। হঠাৎ রাগে সে গলা টিপে ধরে মমতার। ধস্তাধস্তিতে আয়ুশের মুখে আচড়ের দাগ লাগে। সেদিন দুপুরে সে বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু পুলিশকে বলে সে অফিসে ছিল। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনে পুলিশ জানতে পারে সে রিজেন্টা পার্ক এলাকাতেই ছিল। সেখান থেকেই সন্দেহ। ঘটনার পুরর্নির্মাণে আয়ুশ দেখিয়েছে কিভাবে সে মেরেছে মাকে।

ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। তবে মমতার পরিজেনদের দাবি, বাড়ি থেকে সব কিছুই ছিল মমতার নামে। সে নিজের বোনকেও ছেলের অত্যাচারের কথা বলত। সুরেশ ছেলেকে প্রশ্রয় দিত। পরিজনেদের দাবি, সুরেশ ও আয়ূশ মিলে পরিকল্পনা করেই মমতাকে মেরেছে। সুরেশের কিছু আচরণ অস্বাভাবিক লাগছে পুলিশেরও। তাকে জেরা করা হচ্ছে।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল