এই সময়: বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলায় কার্যকর করা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও একাধিকবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প কার্যকরে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, রাজ্যের তরফ থেকে কৃষকদের যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল ওই প্রকল্প নিয়ে। কারণ, এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলেন বাংলার এমন প্রায় সাড়ে ন'লাখ কৃষকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের যুক্তি, ওইসব আবেদনে 'অসম্পূর্ণ তথ্য' দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ নবান্ন। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রককে।
নবান্নর সাফ কথা, আবেদন খারিজ হওয়ার জন্য কোনও ভাবেই দায়ী নয় আবেদনকারী কৃষক বা রাজ্য সরকার। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে নানা তথ্য চেয়েও আবেদনকারীরা তা হাতে পাননি। তাই আবেদনের সঙ্গে সেই তথ্য জমা দিতে পারেননি তাঁরা। ২০১৮ সালে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বছরে তিনটি কিস্তিতে ছ'হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়।
এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আগামী ৯ অগাস্ট সকাল ১১টায় ওই প্রকল্পের নবম কিস্তিতে অর্থসাহায্য দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩১ জন কৃষক আবেদন জানিয়েছিলেন। গত মে মাসে ভোটের পর রাজ্যে এই আবেদনকারীদের মধ্যে ৭ লাখ ৩ হাজার কৃষককে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাঁদের শুধুমাত্র একটি কিস্তির দু'হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বার প্রায় সাড়ে ন'লক্ষ কৃষকের আবেদন খারিজই করে দিল কেন্দ্র। কৃষি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।
দলের কিষানসভার সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু মঙ্গলবার বলেন, 'রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের BJP সরকারের বঞ্চনার এটা একটা নিদর্শন। ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তা হলে রাজ্যের কৃষকদের আবেদন এখন বাতিল করা হচ্ছে কেন?'
তাঁর প্রশ্ন, 'যাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল তাঁরা কেন পুরো টাকার বদলে মাত্র দু'হাজার টাকা পেলেন? বকেয়া টাকা কেন পাবে না? ভোটের প্রচারে বলা হয়েছিল তিন বছরের বকেয়া মেটানো হবে। কোথায় গেল প্রতিশ্রুতি?' যদিও বিজেপি পাল্টা কাঠগড়ায় তুলছে রাজ্যকেই।
দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, 'রাজ্য সরকার আবেদনকারীদের কাগজ পরীক্ষা করে দেয়নি। দেওয়া হয়নি নানা তথ্য। তাই তাঁদের আবেদন বাতিল হয়েছে। রাজ্য সরকারই এর জন্য দায়ী। ক্লাবগুলোকে বিলি করা টাকার সঙ্গে এই কৃষক প্রকল্পের টাকা প্রদান মিলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওখানে কোনও নথি লাগে না। এখানে লাগে।'
নবান্নর সাফ কথা, আবেদন খারিজ হওয়ার জন্য কোনও ভাবেই দায়ী নয় আবেদনকারী কৃষক বা রাজ্য সরকার। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে নানা তথ্য চেয়েও আবেদনকারীরা তা হাতে পাননি। তাই আবেদনের সঙ্গে সেই তথ্য জমা দিতে পারেননি তাঁরা। ২০১৮ সালে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বছরে তিনটি কিস্তিতে ছ'হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়।
এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, আগামী ৯ অগাস্ট সকাল ১১টায় ওই প্রকল্পের নবম কিস্তিতে অর্থসাহায্য দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩১ জন কৃষক আবেদন জানিয়েছিলেন। গত মে মাসে ভোটের পর রাজ্যে এই আবেদনকারীদের মধ্যে ৭ লাখ ৩ হাজার কৃষককে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাঁদের শুধুমাত্র একটি কিস্তির দু'হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বার প্রায় সাড়ে ন'লক্ষ কৃষকের আবেদন খারিজই করে দিল কেন্দ্র। কৃষি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও।
দলের কিষানসভার সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু মঙ্গলবার বলেন, 'রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের BJP সরকারের বঞ্চনার এটা একটা নিদর্শন। ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তা হলে রাজ্যের কৃষকদের আবেদন এখন বাতিল করা হচ্ছে কেন?'
তাঁর প্রশ্ন, 'যাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছিল তাঁরা কেন পুরো টাকার বদলে মাত্র দু'হাজার টাকা পেলেন? বকেয়া টাকা কেন পাবে না? ভোটের প্রচারে বলা হয়েছিল তিন বছরের বকেয়া মেটানো হবে। কোথায় গেল প্রতিশ্রুতি?' যদিও বিজেপি পাল্টা কাঠগড়ায় তুলছে রাজ্যকেই।
দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, 'রাজ্য সরকার আবেদনকারীদের কাগজ পরীক্ষা করে দেয়নি। দেওয়া হয়নি নানা তথ্য। তাই তাঁদের আবেদন বাতিল হয়েছে। রাজ্য সরকারই এর জন্য দায়ী। ক্লাবগুলোকে বিলি করা টাকার সঙ্গে এই কৃষক প্রকল্পের টাকা প্রদান মিলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওখানে কোনও নথি লাগে না। এখানে লাগে।'