অ্যাপশহর

সরকারি কাজে গড়িমসি, তোপ শাসক বিধায়কের

‘সাত দিনে করতে হবে না, যদি সাত মাসে করতে পারেন তা হলে খুশি হব৷’ কোনও বিরোধী বিধায়ক নন , বিধানসভার অন্দরে শাসক দলের নেতাদের তুমুল অস্বস্তিতে ফেলে এই ভাষায় মন্ত্রীকে দুষলেন শাসক দলের বিধায়ক৷

EiSamay.Com 28 Nov 2017, 9:15 am
এই সময়: ‘সাত দিনে করতে হবে না, যদি সাত মাসে করতে পারেন তা হলে খুশি হব৷’ কোনও বিরোধী বিধায়ক নন , বিধানসভার অন্দরে শাসক দলের নেতাদের তুমুল অস্বস্তিতে ফেলে এই ভাষায় মন্ত্রীকে দুষলেন শাসক দলের বিধায়ক৷ পরিস্থিতি সামলাতে মুখ্য সচেতককে দৌড়ে গিয়ে শান্ত করতে হল ক্রদ্ধ বিধায়ককে৷ তৃণমূলের বিধায়কের তোপের মুখে মন্ত্রী বিপাকে পড়েছেন দেখে উচ্ছ্বসিত বিরোধী শিবির টেবিল চাপড়ে উল্লাস প্রকাশ করল৷ সোমবার হাওড়ার শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভায়৷ তৃণমূল জমানায় যে নজির খুব বেশি নেই৷
EiSamay.Com kalipada mondal insult churamani mahato in bidhan sava
সরকারি কাজে গড়িমসি, তোপ শাসক বিধায়কের


বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষাশ্রী প্রকল্প নিয়ে অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো শ্যামপুরের বিধায়কের তোপের মুখে পড়েন৷ কালীপদ প্রবীণ বিধায়ক৷ ২০০১ সাল থেকে শ্যামপুরে দফায় দফায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ এ দিন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে কত পড়ুয়া উপকৃত হয়েছেন , সে প্রশ্ন করায় চূড়ামণি তথ্য -পরিসংখ্যান দিয়ে অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে শুরু করেন৷ তফসিলি জাতি ও উপজাতির শংসাপত্র পেতে পদ্ধতির সরলীকরণ করা হচ্ছে এবং দ্রুত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে , এমনটাই দাবি করেন তিনি৷ চূড়ামণির ফিরিস্তি শেষ হতেই কালীপদ উত্তেজিত হয়ে বলেন , ‘মন্ত্রী বলছেন , সাত দিনের মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতির শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে৷ বাস্তবে এই শংসাপত্র পেতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে৷ ’

কালীপদর দাবি, শুধু তাঁর বিধানসভা এলাকা নয় , রাজ্যে বহু এলাকায় শংসাপত্র পেতে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষকে চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হচ্ছে৷ তোপের মুখে পড়ে চূড়ামণি সাফাই দেন, ‘আমি বলিনি সাত দিনের মধ্যে শংসাপত্র পাওয়া যাবে৷ আমি একমাস বলেছি৷ সরকারি কাজে সকালে সমান নন , অনেকে হয়তো গড়িমসি করেন৷ ’ চূড়ামণির বক্তব্য শুনে কালীপদ আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনি নিজে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করুন৷ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করুন৷’ কালীপদর তোপের মুখে ট্রেজারি বেঞ্চ চুপ করে গেলেও বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা টেবিল চাপড়ে প্রবীণ বিধায়কের বক্তব্য সমর্থন করেন৷ উত্তেজিত কালীপদকে শান্ত করতে নিজের বেঞ্চ থেকে দৌড়ে যান মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ৷

মন্ত্রী মলয় ঘটকও উঠে গিয়ে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন৷ এই পরিস্থিতিতে চূড়ামণির উদ্দেশে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘কালীপদবাবু যে বিষয়টি বলেছেন , আপনি সেটা নিচুতলায় কী অবস্থায় রয়েছে দেখুন৷’ মন্ত্রীকে তৃণমূলের বিধায়ক কাঠগড়ায় তোলায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন , ‘এতদিন আমরা যে কথা বলতাম , এখন শাসক দলের বিধায়করা সে কথা বলছেন৷ মন্ত্রী সাত মাসেও শংসাপত্র দিতে পারবেন কি না তানিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ এটা লজ্জার বিষয়৷ ’ সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ , ‘তৃণমূল বিধায়করা যে কী জ্বালায় জ্বলছেন তা কালীপদ মণ্ডল সকলের সামনে স্পষ্ট করে দিলেন৷ ’

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল