অ্যাপশহর

টাকার বিনিময়ে রেজাল্ট-কাণ্ডে তদন্ত চায় যাদবপুর

পরীক্ষা নিয়ামক নিজেই এদিন বিকেলে বলেন, ‘ফার্মেসির ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের ফলপ্রকাশ ঘিরে যে অডিয়ো টেপে টাকা দাবি করার কথা বলা হচ্ছে, তার ফল চলতি বছরের ২০ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। আর ওই কথোপকথন ২৬ মার্চের। শুধু তাই নয়, এই ভয়েস রেকর্ডিং আমার কাছেও আছে।’

EiSamay.Com 18 Apr 2019, 2:15 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে রেজাল্টের সংবাদে নড়েচড়ে বসল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বুধবার ফোনে বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার সত্যতা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বিবেচনা করছি। সংশ্লিষ্ট অডিয়ো ও ভিডিয়ো ক্লিপ যাচাই করে দেখা হবে।’
EiSamay.Com jadavpur university
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়


যদিও পরীক্ষা নিয়ামক সাত্যকি ভট্টাচার্য এদিনও জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি আমার দপ্তরের কর্মীদের বিভিন্ন স্কুলস ও সেন্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় দায় যদি সামলাতেই হয়, তার জন্য পৃথক অর্থ দিতেই হবে।’

এখানেই শেষ নয়। পরীক্ষা নিয়ামক নিজেই এদিন বিকেলে বলেন, ‘ফার্মেসির ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের ফলপ্রকাশ ঘিরে যে অডিয়ো টেপে টাকা দাবি করার কথা বলা হচ্ছে, তার ফল চলতি বছরের ২০ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে। আর ওই কথোপকথন ২৬ মার্চের। শুধু তাই নয়, এই ভয়েস রেকর্ডিং আমার কাছেও আছে।’

এখানেই প্রবল আপত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রবীণ অধ্যাপক ও আধিকারিকদের। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাশ সেকশনকে এড়িয়ে সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে?’ সে বিষয়ে অবশ্য পরীক্ষা নিয়ামক নীরবই। তিনি নিজেই এদিন দুপুরে ‘এই সময়’কে ফোন করে জানান, উপাচার্য আমাকে ডেকে গোটা বিষয়ে সত্যাসত্য জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগেরই প্রাক্তন গবেষক সরাসরি উপাচার্যর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ সম্পর্কে গুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘পিএইচডি-র কোর্সওয়ার্ক পরীক্ষার সময় আমাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফেল করানো হয়েছে। আমাদের পরিবার মহানগরের প্রতিষ্ঠিত পর্যটন সংস্থা। সে কথা আগাম জেনেই ঘুরপথে টাকা আদায়ের জন্য আমাকে ফেল করানো হত। সেই সঙ্গে আমার বাবার সঙ্গেও অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এই সব কারণে আমি নানা সময়েই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তাম। ফলে আমার গবেষণার কাজে অনেক বিলম্ব হয়েছে। ২০০৯ সালে শুরু করলেও তা শেষ হতে ২০১৬ সাল পেরিয়ে যায়। উপাচার্যের কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে যাদবপুরের মতো স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ রকম অসদাচরণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না-হলে সাধারণ পড়ুয়ারা বঞ্চিত হবেন।

পরীক্ষা নিয়ামক অবশ্য এদিন পরীক্ষার ফলপ্রকাশে সেন্টারগুলির ঘাড়েও দায় চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কোনও কোনও কোর্স ২০১৭ সালে শুরু হয়েছে। দু’বছর হতে চললেও, একটি সেন্টারের তরফে একসঙ্গে তিনটি সেমেস্টারের নম্বর পাঠানো হয়েছে। এতে আমাদের বিভাগের কী করার আছে?’

মঙ্গলবার তিনি বায়ো-ইকুইভ্যালেন্ট স্টাডি সেন্টারের অধিকর্তা সন্ময় কর্মকারের সঙ্গে নিজের ফোনেই কথা বলিয়ে দেন। সন্ময় জানান, ফলপ্রকাশে বিলম্বের জন্য সংশ্লিষ্ট সেন্টারও দায় এড়াতে পারে না।

পরের খবর

West bengal newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল