কুবলয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ক্ষুদ্রতম থেকে বৃহত্তম, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পদার্থবিদ্যা নিয়ে যত রকম গবেষণা হচ্ছে, তার পথপ্রদর্শকদের অনেকেই বাঙালি। পরমাণুর মধ্যে কোন ধরণের কণা রয়েছে এবং তারা কী ভাবে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রাখে, সেই গবেষণায় যেমন বাংলার বিজ্ঞানীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন, তেমনই মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন নিয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছেন বাংলা।
বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্তারা। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের প্রাক্কালে সায়েন্স সিটিতে এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলার ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে একমত হলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরমাণু বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দল। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পরমাণুর মধ্যে থাকা কণার রহস্যভেদ করতে যে পথে চলতে শুরু করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহা, এখনকার বাঙালি বিজ্ঞানীরা সেই পথেই এগিয়ে চলেছেন।
ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভিইসিসি), সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এবং বসু বিজ্ঞান মন্দিরের গবেষণাগারে যে ধরনের গবেষণা করে চলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানীর দল, সেই কাজই গোটা দেশের পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাকে দিশা দেখাচ্ছে। যে ভাবে কম খরচে নানা ধরনের সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা, তা বিদেশি গবেষণা সংস্থাগুলিরও চোখ টেনেছে। সেই জন্যই এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের গবেষণায় ভারতরে পাশে চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্র।
সায়েন্স সিটি-র আলোচনায় যোগ দিতে এসেছিলেন দেশের পরমাণু শক্তি বিভাগের সচিব অরুণ শ্রীবাস্তব। বর্তমানে যে ধরনের গবেষণা চলছে দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে, তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের গবেষণার কাজ চলছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষণার মূল ভিত্তি তৈরি করে দিচ্ছেন কলকাতার গবেষকরাই।' এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিকে ধার। তিনি লাদাখে মেস দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরির অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত। ধারের কথায়, 'বাঙালি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আমাদের অবাক করে দেয়। সেই জন্যই সর্বত্র ওঁরা সমাদৃত হন।'
আলোচনাসভায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে যোগ দিতে এসেছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রে শুধুই পরমাণুর কণা নিয়ে নয়, গবেষণা চলছে 'ডার্ক ম্যাটার' নিয়েও। এই বিষয়ে গবেষক মালা দাস সুনাম অর্জন করেছেন।' মহাবিশ্বের সৃষ্টি কী করে হয়েছিল, তা নিয়েও আমাদের দেশে যে গবেষণা চলছে, সেই বিষয়ে কলকাতার বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন এই গবেষক। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে পার্টিকেল ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করেন সুপ্রিয় দাস। তাঁর বক্তব্য, 'পরমাণুর রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে 'অ্যান্টিপ্রোটন অ্যানাইহিলেটর' যন্ত্র। ডার্মস্টাড শহরে এই যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের গবেষকদের এখানে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।'
প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছাড়াও দেশে এমন অনেক গবেষণা চলছে, যেগুলিরর মূল ভিত্তিই হল বাঙালি গবেষকদের কাজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের দিব্যেন্দু নন্দীর গবেষণা। সূর্যে গবেষণাযান পাঠাতে ভারতের অভিযান 'মিশন আদিত্য এল-ওয়ান'-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবেষক তিনি। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের (আইইউকা) অধিকর্তা সোমক রায়চৌধুরীর নামও সসম্মানে উচ্চারণ করা হয় ওই আলোচনাসভায়।
ক্ষুদ্রতম থেকে বৃহত্তম, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পদার্থবিদ্যা নিয়ে যত রকম গবেষণা হচ্ছে, তার পথপ্রদর্শকদের অনেকেই বাঙালি। পরমাণুর মধ্যে কোন ধরণের কণা রয়েছে এবং তারা কী ভাবে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রাখে, সেই গবেষণায় যেমন বাংলার বিজ্ঞানীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন, তেমনই মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন নিয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছেন বাংলা।
বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্তারা। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের প্রাক্কালে সায়েন্স সিটিতে এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে এসে বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলার ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে একমত হলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরমাণু বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দল। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পরমাণুর মধ্যে থাকা কণার রহস্যভেদ করতে যে পথে চলতে শুরু করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহা, এখনকার বাঙালি বিজ্ঞানীরা সেই পথেই এগিয়ে চলেছেন।
ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভিইসিসি), সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এবং বসু বিজ্ঞান মন্দিরের গবেষণাগারে যে ধরনের গবেষণা করে চলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানীর দল, সেই কাজই গোটা দেশের পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাকে দিশা দেখাচ্ছে। যে ভাবে কম খরচে নানা ধরনের সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা, তা বিদেশি গবেষণা সংস্থাগুলিরও চোখ টেনেছে। সেই জন্যই এই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের গবেষণায় ভারতরে পাশে চাইছে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্র।
সায়েন্স সিটি-র আলোচনায় যোগ দিতে এসেছিলেন দেশের পরমাণু শক্তি বিভাগের সচিব অরুণ শ্রীবাস্তব। বর্তমানে যে ধরনের গবেষণা চলছে দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে, তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের গবেষণার কাজ চলছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গবেষণার মূল ভিত্তি তৈরি করে দিচ্ছেন কলকাতার গবেষকরাই।' এই বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিকে ধার। তিনি লাদাখে মেস দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরির অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত। ধারের কথায়, 'বাঙালি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আমাদের অবাক করে দেয়। সেই জন্যই সর্বত্র ওঁরা সমাদৃত হন।'
আলোচনাসভায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে যোগ দিতে এসেছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রে শুধুই পরমাণুর কণা নিয়ে নয়, গবেষণা চলছে 'ডার্ক ম্যাটার' নিয়েও। এই বিষয়ে গবেষক মালা দাস সুনাম অর্জন করেছেন।' মহাবিশ্বের সৃষ্টি কী করে হয়েছিল, তা নিয়েও আমাদের দেশে যে গবেষণা চলছে, সেই বিষয়ে কলকাতার বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন এই গবেষক। বসু বিজ্ঞান মন্দিরে পার্টিকেল ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করেন সুপ্রিয় দাস। তাঁর বক্তব্য, 'পরমাণুর রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে 'অ্যান্টিপ্রোটন অ্যানাইহিলেটর' যন্ত্র। ডার্মস্টাড শহরে এই যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের গবেষকদের এখানে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।'
প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছাড়াও দেশে এমন অনেক গবেষণা চলছে, যেগুলিরর মূল ভিত্তিই হল বাঙালি গবেষকদের কাজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের দিব্যেন্দু নন্দীর গবেষণা। সূর্যে গবেষণাযান পাঠাতে ভারতের অভিযান 'মিশন আদিত্য এল-ওয়ান'-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবেষক তিনি। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের (আইইউকা) অধিকর্তা সোমক রায়চৌধুরীর নামও সসম্মানে উচ্চারণ করা হয় ওই আলোচনাসভায়।