ঝিলম করঞ্জাই
ইএম বাইপাসের এক নামজাদা কর্পোরেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলেন এক রোগী৷
অভিযোগ , পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে দিনকর অধিকারী নামে ৪৬ বছরের ওই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর দু’ ঘণ্টা পর পিছিয়ে আসেন ডাক্তার৷ শান্তিপুরের বাসিন্দা ওই রোগীর বুক কাটা হয়ে গিয়েছিল তখন৷ ডাক্তার রোগীর পরিজনকে জানান , অপারেশন করা অসম্ভব৷ করলে প্রবল বিপদ৷ এর পর সেই কাটা জায়গা সেলাই করে রোগীকে ফের বের করে আনা হয় অপারেশন থিয়েটার থেকে৷ অপারেশন ব্যর্থ হলেও , প্যাকেজের পুরো টাকাই গুনে নেয় ওই কর্পোরেট হাসপাতাল৷ এখানেই শেষ নয় , কর্পোরেট হাসপাতালটি প্যাকেজের থেকে বাড়তি আরও সত্তর হাজার টাকা আদায় করে ওই হতভাগ্য পরিবারের থেকে৷
দিনকরের পরিজন জয়দেব লালার অভিযোগ , ‘চিকিত্সা তো হয়ইনি , বরং রোগীকে আরও সঙ্কটজনক করে ছেড়ে দিয়েছে৷ ’ মঙ্গলবার পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়৷ পুলিশও মামলা রুজু করেছে ওই কর্পোরেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ তবে , অভিযুক্ত কার্ডিয়োথোরাসিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন , বুক কাটার আগে পরিস্থিতি এতটা জটিল তা বোঝার উপায় ছিল না৷ কিন্ত্ত কেসটা নিরাপদ ছিল না৷ তাই অপারেশন স্থগিত করা হয়৷
ঘটনার সূত্রপাত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ৷ দিনকরের বুকে হঠাত্ ব্যথা ওঠে৷ সে দিন বাইপাসের এক কর্পোরেট হাসপাতালের চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে আসেন৷ চিকিত্সক অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে জানান , বাইপাস সার্জারি করতে হবে৷ পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক৷ সেই মতো পরের দিন হাসপাতালে ভর্তি হন দিনকর৷ প্যাকেজ অনুযায়ী এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা জমা করা হয়৷ করা হয় নানাবিধ টেস্ট৷ রোগীকে জানানো হয় , সোমবার ২ জানুয়ারি বাইপাস অপারেশন হবে৷ রোগীর পরিজন জয়দেব বলছেন , ‘রবিবার রাতে ফোন করে বলা হয় , রোগীর একটি জটিলতা আছে৷ আরও টাকা লাগবে৷ আমি রাজি হয়ে যাই৷’ এর পর প্যাকেজ অনুযায়ী পুরো টাকা গুনে নিয়ে তবেই অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয় রোগীকে৷ কিন্ত্ত অপারেশন শুরুর ঘণ্টা দু’য়েক পরে আচমকা পিছিয়ে আসেন ডাক্তাররা৷ জয়দেব বলেন , ‘আমাকে ডাকা হয়৷ আমাকে মোবাইলে দুটো ছবি দেখান ডাক্তার৷ বলা হয় , একটা বিশেষ আস্তরণ তৈরি হয়েছে শরীরের ভিতর৷ এই অবস্থায় বাইপাস অপারেশন হলে বিপদ প্রচণ্ড৷ তত ক্ষণে কিন্ত্ত দিনকরের বুক কাটা হয়ে গিয়েছে৷ ’ বিপদের আশঙ্কায় অগত্যা অপারেশন থামানোয় সম্মতি দেন জয়দেব৷ অপারেশন থামাতে সম্মত হয়৷ রোগীর বুক সেলাই করে ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে৷
রোগীর পরিজনের অভিযোগ , ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়৷ রোগীকে সপ্তাহখানেক ভর্তি রাখা হয় হাসপাতালে৷ এর মধ্যে পরিবার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত করে৷ কিন্ত্ত , বিলও চড়চড় করে বাড়ছিল৷ মাঝে -মধ্যেই বাড়তি টাকা চাইছিল হাসপাতাল৷ শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার৷ তখনই মাথায় হাত অবস্থা হয় পরিবারের৷
বিল তখন প্যাকেজ ছাড়িয়ে ৭০ হাজারেরও বেশি হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয় , পুরো বিল না -দিলে ছুটি মিলবে না৷ তখনই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে দিনকরের পরিবারের৷ মঙ্গলবার ২ লাখ ২ হাজার টাকার মতো মোট বিল দিয়ে রোগীর ছুটি হয় দিনকরের৷ এর পর পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করা হয় রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে৷ যদিও , অভিযোগ মানতে নারাজ ডাক্তাররা৷ হাসপাতালের বিল সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু না বলতে চাননি কেউই৷ তবে কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জনের দাবি , অপারেশন না -করার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল৷ মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল৷ রোগীর স্বার্থে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল৷
ইএম বাইপাসের এক নামজাদা কর্পোরেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলেন এক রোগী৷
অভিযোগ , পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে দিনকর অধিকারী নামে ৪৬ বছরের ওই রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর দু’ ঘণ্টা পর পিছিয়ে আসেন ডাক্তার৷ শান্তিপুরের বাসিন্দা ওই রোগীর বুক কাটা হয়ে গিয়েছিল তখন৷ ডাক্তার রোগীর পরিজনকে জানান , অপারেশন করা অসম্ভব৷ করলে প্রবল বিপদ৷ এর পর সেই কাটা জায়গা সেলাই করে রোগীকে ফের বের করে আনা হয় অপারেশন থিয়েটার থেকে৷ অপারেশন ব্যর্থ হলেও , প্যাকেজের পুরো টাকাই গুনে নেয় ওই কর্পোরেট হাসপাতাল৷ এখানেই শেষ নয় , কর্পোরেট হাসপাতালটি প্যাকেজের থেকে বাড়তি আরও সত্তর হাজার টাকা আদায় করে ওই হতভাগ্য পরিবারের থেকে৷
দিনকরের পরিজন জয়দেব লালার অভিযোগ , ‘চিকিত্সা তো হয়ইনি , বরং রোগীকে আরও সঙ্কটজনক করে ছেড়ে দিয়েছে৷ ’ মঙ্গলবার পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়৷ পুলিশও মামলা রুজু করেছে ওই কর্পোরেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে৷ তবে , অভিযুক্ত কার্ডিয়োথোরাসিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন , বুক কাটার আগে পরিস্থিতি এতটা জটিল তা বোঝার উপায় ছিল না৷ কিন্ত্ত কেসটা নিরাপদ ছিল না৷ তাই অপারেশন স্থগিত করা হয়৷
ঘটনার সূত্রপাত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ৷ দিনকরের বুকে হঠাত্ ব্যথা ওঠে৷ সে দিন বাইপাসের এক কর্পোরেট হাসপাতালের চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে আসেন৷ চিকিত্সক অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে জানান , বাইপাস সার্জারি করতে হবে৷ পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক৷ সেই মতো পরের দিন হাসপাতালে ভর্তি হন দিনকর৷ প্যাকেজ অনুযায়ী এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা জমা করা হয়৷ করা হয় নানাবিধ টেস্ট৷ রোগীকে জানানো হয় , সোমবার ২ জানুয়ারি বাইপাস অপারেশন হবে৷ রোগীর পরিজন জয়দেব বলছেন , ‘রবিবার রাতে ফোন করে বলা হয় , রোগীর একটি জটিলতা আছে৷ আরও টাকা লাগবে৷ আমি রাজি হয়ে যাই৷’ এর পর প্যাকেজ অনুযায়ী পুরো টাকা গুনে নিয়ে তবেই অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয় রোগীকে৷ কিন্ত্ত অপারেশন শুরুর ঘণ্টা দু’য়েক পরে আচমকা পিছিয়ে আসেন ডাক্তাররা৷ জয়দেব বলেন , ‘আমাকে ডাকা হয়৷ আমাকে মোবাইলে দুটো ছবি দেখান ডাক্তার৷ বলা হয় , একটা বিশেষ আস্তরণ তৈরি হয়েছে শরীরের ভিতর৷ এই অবস্থায় বাইপাস অপারেশন হলে বিপদ প্রচণ্ড৷ তত ক্ষণে কিন্ত্ত দিনকরের বুক কাটা হয়ে গিয়েছে৷ ’ বিপদের আশঙ্কায় অগত্যা অপারেশন থামানোয় সম্মতি দেন জয়দেব৷ অপারেশন থামাতে সম্মত হয়৷ রোগীর বুক সেলাই করে ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে৷
রোগীর পরিজনের অভিযোগ , ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়৷ রোগীকে সপ্তাহখানেক ভর্তি রাখা হয় হাসপাতালে৷ এর মধ্যে পরিবার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত করে৷ কিন্ত্ত , বিলও চড়চড় করে বাড়ছিল৷ মাঝে -মধ্যেই বাড়তি টাকা চাইছিল হাসপাতাল৷ শেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার৷ তখনই মাথায় হাত অবস্থা হয় পরিবারের৷
বিল তখন প্যাকেজ ছাড়িয়ে ৭০ হাজারেরও বেশি হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয় , পুরো বিল না -দিলে ছুটি মিলবে না৷ তখনই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে দিনকরের পরিবারের৷ মঙ্গলবার ২ লাখ ২ হাজার টাকার মতো মোট বিল দিয়ে রোগীর ছুটি হয় দিনকরের৷ এর পর পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত আভিযোগ দায়ের করা হয় রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে৷ যদিও , অভিযোগ মানতে নারাজ ডাক্তাররা৷ হাসপাতালের বিল সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু না বলতে চাননি কেউই৷ তবে কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জনের দাবি , অপারেশন না -করার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল৷ মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল৷ রোগীর স্বার্থে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল৷