এই সময়: কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ মঙ্গলবারও ঘোষণা করল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করা নিয়ে বিজেপির জনস্বার্থ মামলার শুনানি। তার পরই নির্বাচন কমিশনের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তা হলে আজই ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব। তা যদি না-হয়, তা হলে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে গেলে কিন্তু জটিলতা তৈরি হতে পারে। কারণ, ১৯ ডিসেম্বর ভোট করতে হলে ওই দিনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, তার পরে নয়। পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও কতগুলি প্রক্রিয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে প্রথমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে তার পরে। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলাশাসককেও দুই পুরসভার জন্য ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও জটিলতা থেকে গিয়েছে হাওড়া পুরসভার ভোট করানো নিয়ে। কারণ, সদ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সায় দেননি। রাজ্যপালের সম্মতি না-পেলে ১৯ ডিসেম্বর হাওড়ার ভোট করানো কঠিন। রাজ্যপাল এদিন রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে। ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয় দু'পক্ষের। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বৈঠকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সুরেই সৌরভকে প্রশ্ন করেন, কেন শুধুমাত্র দু'টি পুরসভার ভোট করানো হচ্ছে? কেন বাকি মেয়াদ-উত্তীর্ণ বাকি পুরসভার ভোটও একসঙ্গে হবে না?
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁর বক্তব্য, 'পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের পথে চলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এটা সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। মনে রাখবেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা।' এই চিঠির প্রতিলিপিও রাজ্যপাল টুইট করেন। টুইটারেও তিনি লেখেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
এর ফলে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজভবনের নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা চাই, হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হোক। বিধানসভার ঐতিহ্য ও গরিমাকে মান্যতা দিয়ে যথা সময়ে কলকাতা ও হাওড়া পুরভার ভোট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল যে আচরণ করছেন, তাতে উনি বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন বলে মনে হচ্ছে।' তৃণমূল নেতা তাপস রায়েরও কটাক্ষ, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হলে স্বশাসনের কী প্রয়োজন?'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'পুরভোট না-করিয়ে বেআইনি ভাবে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকারি অর্থ তছরুপ করা হচ্ছে। আমরা চাই, সব পুরসভার ভোট হোক এক সঙ্গে।' বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, 'কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট আলাদা করে করানোর পিছনে গোপন অ্যাজেন্ডা কী?' রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও প্রশ্ন, 'কেন শুধু কলকাতা আর হাওড়া পুরনিগমের ভোট হবে? কেন বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল পুরনিগমের মতো সব মেয়াদ-উত্তীর্ণ পুরসভার ভোট একসঙ্গে হবে না?'
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে কড়া ভাষায় চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁর বক্তব্য, 'পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের পথে চলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এটা সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। মনে রাখবেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা।' এই চিঠির প্রতিলিপিও রাজ্যপাল টুইট করেন। টুইটারেও তিনি লেখেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
এর ফলে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজভবনের নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরা চাই, হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হোক। বিধানসভার ঐতিহ্য ও গরিমাকে মান্যতা দিয়ে যথা সময়ে কলকাতা ও হাওড়া পুরভার ভোট করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল যে আচরণ করছেন, তাতে উনি বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন বলে মনে হচ্ছে।' তৃণমূল নেতা তাপস রায়েরও কটাক্ষ, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হলে স্বশাসনের কী প্রয়োজন?'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'পুরভোট না-করিয়ে বেআইনি ভাবে প্রশাসক নিয়োগ করে সরকারি অর্থ তছরুপ করা হচ্ছে। আমরা চাই, সব পুরসভার ভোট হোক এক সঙ্গে।' বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, 'কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট আলাদা করে করানোর পিছনে গোপন অ্যাজেন্ডা কী?' রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও প্রশ্ন, 'কেন শুধু কলকাতা আর হাওড়া পুরনিগমের ভোট হবে? কেন বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল পুরনিগমের মতো সব মেয়াদ-উত্তীর্ণ পুরসভার ভোট একসঙ্গে হবে না?'