এই সময়: শহরের বিভিন্ন গুদামঘরে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে শহরের বাইরে অন্যত্র গুদাম সরিয়ে ফেলতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিলেন তিনি।
কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, শহরের গুদাম সরানো নিয়ে আলোচনা চলছে সেই বাম আমল থেকে। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময়ে সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, হাওড়া কিংবা উত্তর চব্বিশ পরগনায় একাধিক ট্রাক টার্মিনাল বানানো হবে। তার পাশেই বড় বড় গুদামঘর তৈরি করা হবে। সেখান থেকে ছোট ছোট গাড়িতে করে শহরে বিভিন্ন বাজারে মালপত্র সরবরাহ করা হবে। ফলে শহরে আর বড় ট্রাক ঢোকানোর প্রয়োজন হবে। তাতে শহরের যানজট কমবে। বায়ু দূষণও অনেকটাই রোধ করা যাবে। তারই অঙ্গ হিসেবে হাওড়ার ধূলাগড়িতে ট্রাক টার্মিনাল তৈরি হয়েছিল। গড়ে উঠেছে একাধিক বেসরকারি গুদামঘর। তা সত্ত্বেও শহর থেকে গুদাম পুরোপুরি সরানোর পরিকল্পনা অধরাই থেকে গিয়েছে।
কারণটা কী?
পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, 'নিজেদের উদ্যোগে জমি কিনে গুদামঘর বানাতে গেলে ব্যবসার সমস্ত পুঁজি নিয়োগ করতে হবে। এই মন্দার বাজারে কোনও ব্যবসায়ী এত টাকা বিনিয়োগ করতে চাইবেন না। একমাত্র সরকার যদি গুদামঘর বানিয়ে অল্প পয়সায় ভাড়া দেয়, সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা উৎসাহ দেখাতে পারেন।'